দিনমজুর বাবার স্বপ্ন পূরণের আগেই চির নিদ্রায় শায়িত হলেন ইবি শিক্ষার্থী মনির
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০৪ PM , আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০৪ PM
চির নিদ্রায় শায়িত হলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেধাবী শিক্ষার্থী মনির হোসেন। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১০ টায় কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার তেবাড়িয়ায় নিজ গ্রামে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাকে স্থানীয় সম্মিলিত কবরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়।
মনির হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গতকাল ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার পথে কুমারখালীর কালুর মোড় এলাকায় মাহিন্দ্রার-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনি মারাত্মক আহত হয়। পরে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মনির হোসাইনের অকাল মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তার নামাজে জানজায় বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল মোত্তালিবসহ অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা মরহুমের আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। এছাড়াও গতকাল তার মৃত্যুর খবরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নব নিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ হাসপাতালে যান এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
আরবি বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, মনির হোসেন একজন খুব ভদ্র এবং মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি তার এলাকার ঐতিহ্যেবাহী মসজিদের খতিব এবং ইদের নামাজেরও খতিব ছিলেন। তার এলাকার মানুষজন তার সম্পর্কে খুব ভালো কথা বলে। আমরা তার অকাল প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছি। আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুন।
শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান বলেন, দিনমজুর বাবার আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন, অসুস্থ মায়ের বেঁচে থাকার অবলম্বন। সেই স্বপ্ন আজকে ট্রাকের চাপায় দুমড়ে মুচড়ে গেছে, বেঁচে থাকার অবলম্বন এখন একটি নিথর দেহ। কিন্তু গল্পটা ভিন্নরকম হতে পারতো। যদি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিগত ৩০ বছর ধরে কুমারখালী-খোকসা অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের একটি যৌক্তিক দাবিকে উপেক্ষা, অবজ্ঞা এবং অবহেলা না করতো। সেটি হলো ক্যাম্পাস-পান্টি-কুমারখালী রুটে বাস চালুর দাবি। এটি চালু হলে হয়ত আর কোনো শিক্ষার্থীর প্রাণ ঝরবে না।