গণবিশ্ববিদ্যালয়ে খেলার মাঠে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ২৫

ফুটবল টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র সংঘর্ষ
ফুটবল টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র সংঘর্ষ  © টিডিসি ফটো

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দফায় দফায় চলা এ সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবির আইন ও বিএমবি বিভাগের শিক্ষার্থীদের খেলা চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে। পরদিন বৃহস্পতিবার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আইন বিভাগে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেয় এবং প্রশাসনিক ভবন ও উপাচার্যের কক্ষের সামনে মিছিল করে।

শুধু তাই নয়; মারামারির ঘটনায় সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (গবিসাস) কার্যালয়ের সামনে জমায়েত সৃষ্টি করে সংগঠন বন্ধ ও তালা মারার হুমকি দেয়। এ সময় ক্ষমা চাওয়ার আল্টিমেটাম দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সবশেষে উপাচার্যের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগের খেলোয়াড় হাসিবুল শান্ত বলেন, ‘খেলার শেষের দিকে মাত্র চার মিনিট বাকি থাকা অবস্থায় একটি উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আইন বিভাগের দল উত্তর দিকের গোলপোস্টে আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে বিএমবি বিভাগের একজন খেলোয়াড় বল নিয়ে গোল লাইনের বাইরে চলে যান, যার ফলে প্রতিপক্ষ দল একটি কর্নার কিক লাভ করে। 

এসময় একটি দুর্ঘটনা ঘটে যখন আইন বিভাগের একজন খেলোয়াড় পিছলে পড়ে যান। দুই দলের খেলোয়াড়রা সৌহার্দ্য পূর্ণভাবে কথা বলছিলেন, কিন্তু পরিস্থিতি হঠাৎ করেই জটিল আকার ধারণ করে যখন আইন বিভাগের কিছু উত্তেজিত দর্শক মাঠে প্রবেশ করে এবং খেলোয়াড়দের প্রতি আক্রমণাত্মক মনোভাব প্রদর্শন করে। এসময় পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি ঘটে এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ’

ঘটনার দিন ম্যাচ পরিচালনাকারী ক্রীড়া শিক্ষক মো: হাবিব উদ্দিন বলেন, খেলার সময়ে উত্তর পাশের বারের দিকে দুই প্লেয়ার স্লাইড ট্যাকেল করে চলে যায়। একজন আইন বিভাগের আমিনুল আরেকজন বিএমবির খেলোয়াড়। দুইজনেই একটু রিয়্যাক্ট করে, এগুলো খেলার অংশ। গোলপোস্টের পেছনে আইনের শিক্ষার্থীরা ছিল তারা হুট করে মাঠে ঢুকে বিএমবির খেলোয়াড়কে মারতে শুরু করে। পরবর্তীতে বিএমবির যারা ছিল তারাও মারামারিতে জড়িয়ে যায়। আমরা রেফারি ছিলাম। গন্ডগোল যাতে না হয় সে চেষ্টা করছিলাম। এক পর্যায়ে দেখি বিএমবির এক খেলোয়াড়ের (মুয়াজ) মাথা ফেটেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.আবুল হোসেন বলেন, ‘আমাদের এই অভিযোগটি বর্তমানে স্থগিত রেখে প্রতিবেদন জমা করা হয়েছে। এটির মূল কারণ আবিদ নিজেই। সে আলাদাভাবে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে। আমাদের কিছু না জানিয়ে সে মামলা করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তেও সাহায্য করেনি।’


সর্বশেষ সংবাদ