২৬তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল কুবির

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

ইতিহাস ও ঐতিহ্যের জেলা কুমিল্লা। শিক্ষা ও সংস্কৃতির আঁতুড়ঘর বলে পরিচিত কোটবাড়ির শালবন বিহার বহন করছে হাজার বছরের ঐতিহ্য। প্রাচীন এই বিদ্যাপীঠের নতুন সংস্করণ বলা যায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে। হাঁটি হাঁটি পা পা করে ১৮ বছর পেছনে ফেলে ১৯-এ পা দিল কুমিল্লা গণমানুষের চার দশকের আন্দোলনের ফসল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। পেছনে আঠারো বছর আর সামনে অগণিত পথ! অতীত কতটা মসৃণ কিংবা কণ্টকাকীর্ণ ছিল সেই হিসেব হয়ত কষানো হয়েছে বহুবার। সামনের পথ কতটা নিষ্কণ্টক রাখা যায় সেই ভাবনা এখন নিত্যদিনকার।

আঁকাবাঁকা রাস্তা আর উঁচু-নিচু পাহাড়ি টিলার পথের বুকে এক সবুজ বিদ্যাপীঠ। এখানে পথের বাঁকে নানান প্রজাতির বৃক্ষরা নিজস্ব সৌন্দর্য ছড়ায়। যেন প্রকৃতি এখানে ঢেলে দিয়েছে তার সমস্ত শোভা।প্রকৃতিতে সবুজকে বলা হয় তার নিজস্ব রং। সে রংয়েই ছেয়ে আছে পুরো ক্যাম্পাস। সবুজ আমাদের প্রাণের স্পন্দন। সবুজ মানেই প্রকৃতি, সবুজ মানেই প্রাণ।

লালমাই পাহাড়ের বুক চিরে এই ক্যাম্পাস হওয়াতে পাহাড়ের নিজস্ব সৌন্দর্য এই অর্ধশত একরের মধ্যেও খুব ভালোভাবে ছোঁয়া যায়। লাল মাটির পরশ ছায়া সারা ক্যাম্পাস জুড়েই। যেন লাল রক্তাভ স্নেহের হাতে আগলে রেখেছে প্রাণের ভালোবাসাটাকে। প্রতিবছরই সারাদেশ থেকে অসংখ্য পর্যটক এখানে ঘুরতে আসেন। উপভোগ করেন ছবির মতোই সাজানো সুন্দর মনোরম বিশ্ববিদ্যালয়টিকে।

কুমিল্লার এই অঞ্চলটির জ্ঞানচর্চার ইতিহাস বেশ পুরনো। প্রাচীন সমতট নামে পরিচিত এই কুমিল্লা অঞ্চল সবসময়ই ছিল নতুন জ্ঞান সৃষ্টি এবং বিতরণের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। বিশেষ করে এই লালমাই-ময়নামতি অঞ্চলের জ্ঞান চর্চার উদাহরণ সারাবিশ্বেই ব্যাপক সমাদৃত। ইতিহাস বলে, বিখ্যাত চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং ৬৩৮ সালে ময়নামতিতে আসার পর তিনি শুধু ময়নামতিতেই ৩৫টি শিক্ষাকেন্দ্রের দেখা পান। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতকে রাজা ভবদেব এই অঞ্চলের মানুষের জ্ঞান চর্চার জন্য গড়ে তোলেন শালবন বিহার। যা পরবর্তীকালে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে জ্ঞান চর্চার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

তারই ধারাবাহিকতায় আধুনিকতার মিশেলে এখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ছিল এই অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি। সেই দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে দেশের তৃতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ষাটের দশকেই এখানে স্থাপিত হওয়ার কথা ছিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার পরও ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের স্পিকার ফজলুল কাদের চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন চট্টগ্রামে। যাতে স্বপ্নভঙ্গ হয় এই অঞ্চলের মানুষের, চুরমার হয় উচ্চশিক্ষার নিমিত্তে এই অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবির।

এরপর নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে মানুষের এই স্বপ্নের পূর্ণতা পায় ২০০৬ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি দেশের ২৬তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের এক বছরের মাথায় ২০০৭ সালের ২৮ই মে ৭টি বিভাগে ৩০০ শিক্ষার্থী এবং ১৫ জন শিক্ষক নিয়ে এই ক্যাম্পাসের পথচলা। হাঁটি হাঁটি পা পা করে ক্যাম্পাসটি আজ তার কৈশোরে পরিণত। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬টি অনুষদের অধীনে ১৯টি বিভাগে অধ্যয়ন করছে সাত হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী।

তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে প্রতিষ্ঠার ১৮ বছর পার হলেও প্রায় প্রতিটি বিভাগে রয়েছে পর্যাপ্ত ক্লাস রুমের সংকট। কোনো কোনো অনুষদে প্রয়োজনের বিপরীতে নেই একটি ল্যাবও। ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণ এবং মৌলিক ব্যাবহারিক জ্ঞান। তবে এতো এতো অপূর্ণতা, এতো অভাবেও থেমে নেই শিক্ষার্থীদের সাফল্যের পদযাত্রা। উচ্চশিক্ষায় বিভিন্ন সময় বরাবরই নিজের সাফল্যের জানান দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। চলমান ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের আওতায় ৫০ একরের ক্যাম্পাস ২৫০ একরে উন্নীত হবে শীঘ্রই। তখন হয়ত অনেক অপূর্ণতাই পূর্ণতা পাবে।

তবে এতটুকু ছোট এই ক্যাম্পাসে প্রকৃতি আর মানব প্রাণের যে এক অভিন্ন মেলবন্ধন সেটা এককথায় অনন্য। প্রকৃতির এখানে যেমন রয়েছে এক বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ, মানানসই আবহাওয়া, তেমনি শিক্ষার্থীদের মধ্যেও রয়েছে প্রাণের এক সম্পর্ক। নানান ব্যস্ততার মাঝেও ক্যাম্পাসকে ঘিরে যে এক অকৃত্রিম ভালোবাসার সম্পর্ক সেটা সবাইকেই টানে সমানভাবে।

একইসাথে মুক্তচিন্তার প্রসার ঘটাতে মুক্তমঞ্চ আলো ছড়ায়। শহীদ মিনার, কাঁঠালতলা, বৈশাখী চত্বর, সানসেট ভ্যালি, বাবুই চত্বর, লালন চত্বরসহ ক্যাম্পাসের উল্লেখযোগ্য স্থানগুলোর সর্বত্রই মুখরিত হয় শিক্ষার্থীদের পদচারণায়। কেউ বা দল বেঁধে গিটার নিয়ে বসে পড়ে, আড্ডাটা জমে তখন গানে গানে।

এছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় এগিয়ে যেতে বরাবরই সরব কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। রয়েছে অনেক সাংস্কৃতিক সংগঠন। থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, সাংবাদিক সমিতি, ডিবেটিং ক্লাব, বিএনসিসি, সায়েন্স ক্লাব, প্রতিবর্তন, প্ল্যাটফর্ম, বন্ধু, আইটি সোসাইটি, রোটার‌্যাক্ট ক্লাব, লিও ক্লাব, ক্যারিয়ার ক্লাব, অনুপ্রাস, রোভার স্কাউট সহ অনেক সাংস্কৃতিক সংগঠন ক্যাম্পাসে এই কাজ গুলো করে যাচ্ছে বেশ দক্ষতার সাথেই।

এখানে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতির অবস্থা প্রকট! কর্মকর্তা, কর্মচারী রাজনীতিও চলে দেদারসে।  শিক্ষার্থীরা ভর্তি ফরমে রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাসের আশ্বাস পেয়ে থাকলেও ভর্তির পর দেখা যায় সম্পূর্ণ উলটো চিত্র। দেখা যায়, রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাসে আসলে রাজনীতিই সব। ছাত্ররাজনীতি বলতে মূলত ছাত্রলীগের রাজনীতিই বুঝানো হয় এখানে। কারণ অন্য রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনগুলোর এখানে নেই কোন উল্লেখযোগ্য তৎপরতা। তাই ছাত্রলীগই এখানে সর্বেসর্বা। ২০১১ সালে আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে ছাত্রলীগের যাত্রা। ২০১৫ তে প্রথম কমিটি এবং ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের ৬ মার্চ পর্যন্ত চলে দ্বিতীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটির কার্যক্রম। তারপর থেকে এখনো পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি নতুন কোনো কমিটি। ফলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তিন-চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে চালাচ্ছে নিজেদের কার্যক্রম। 

অতীতে ছাত্রলীগের গ্রুপিং রাজনীতির বলি হতে হয়েছে হয়েছে অনেক শিক্ষার্থীকেই। ২০১৬ সালের ১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের অন্তর্কোন্দলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রলীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে নিজেদের অন্তর্কোন্দলে অনেক শিক্ষার্থীকেই আহত হতে হয়েছে।   

শিক্ষকদের রাজনীতিরও অন্যতম আঁতুড়ঘর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে পরিচালিত শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ এখানে দুভাগে বিভক্ত। আছে দুটি কমিটিও। সর্বশেষ শিক্ষক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ছাড়া পূর্বের বেশ কয়েকটি নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধ এবং আওয়ামী আদর্শের নীল দলের প্যানেলও ঘোষণা করা হতো দুইটি। সর্বশেষ শিক্ষক সমিতি এবং উপাচার্যের দ্বন্দ্বে চার সপ্তাহ ধরে অনির্দিষ্টকালের বন্ধও চলছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে। 

এ নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সালমা আক্তার ঊর্মি বলেন, একজন শিক্ষক হিসেবে আমার কাছে কোনোভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিবেশ কাম্য নয়। এতে শিক্ষার্থীদের যেমন ভোগান্তি হচ্ছে তেমনি একজন শিক্ষক হিসেবে শ্রেণিকক্ষে যেতে না পারাটা আমার জন্যও দুঃখজনক। যদিও শিক্ষার্থীদের সেশনজটে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, তবে শিক্ষকগণ চাইলে সংকটকালীন অবস্থা পার হয়ে গেলে অল্প সময়ে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে সেমিস্টার নিয়ে নেওয়া সম্ভব। 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বিভ্রাটের স্থায়ী সমাধান চায় শিক্ষার্থীরা

তিনি আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে একজন ফ্যাকাল্টি হিসেবে আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় রূপে দেখতে চাই। আমি যখন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলাম সেই সময় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এখন অনেক এগিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি একটি চলমান প্রক্রিয়া, এবং আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয় সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে। শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও এখন গবেষণায় অনেক বেশি আগ্রহী হচ্ছে। 

১৮ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম এবং একমাত্র সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ২০২০ সালের জানুয়ারির ২৭ তারিখ। যেটি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে অন্যতম বড় পাওনা। তখনকার উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী কথা দিয়েছিলেন সমাবর্তন আয়োজন করার, তিনি তার কথাও রেখেছিলেন। সে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের কাছ থেকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক লাভ করেছিলেন ১৪ জন শিক্ষার্থী। প্রথম সমাবর্তন আয়োজন করা যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই বেশ চ্যালেঞ্জের। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় যখন এই চ্যালেঞ্জ টপকানোর সামর্থ্য দেখিয়েছে, শীঘ্রই দ্বিতীয় সমাবর্তনও আয়োজিত হবে, এটাই বর্তমান শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের নবীনতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। তার এতদিনের পথচলায় অনেক অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল। এসব সীমাবদ্ধতা নিয়েই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দূর এগিয়ে যাবে। ৫০ একরের এই ক্যাম্পাস শীঘ্রই ২৫০ একরে উন্নীত হবে। তখন হয়ত অনেক সীমাবদ্ধতাই আর থাকবে না। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা তাই নতুন প্রকল্পের কাজ শেষ হোক সুষ্ঠু ভাবে। ভালোবাসার ক্যাম্পাস অনেক বড় হোক, সুশিক্ষা প্রদানে দেশের মডেল হিসেবে উপস্থাপিত হোক।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমন মানের ছাত্র ভর্তি নিয়েছে সেটা দিয়ে কখনো বিশ্ববিদ্যালয়কে মাপা হয় না, মাপা হয় কেমন মানের গ্র্যাজুয়েট বিশ্ববিদ্যালয় তার ভেতর থেকে তৈরি করে বের করতে পেরেছে তার উপর। তাই শিক্ষকদের কাছেও প্রত্যাশা তারা যেন জাতি গঠনে আরও বেশি সচেষ্ট হন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ ক্যাম্পাস শরতের শুভ্র সাদা কাশফুলে কিংবা গ্রীষ্মের কৃষ্ণচূড়ার লালে যেভাবে সজীব থাকে সেভাবে সজীব থাকুক সবসময়।

ভালোবাসার ক্যাম্পাস অনেকদূর এগিয়ে যাক। হাজার বছর দাঁড়িয়ে থাকুক স্বগৌরবে। আমাদের জ্ঞানের তৃষ্ণা মিটুক এখানে। আবেগ, স্মৃতি আর ভালোবাসায় পূর্ণ থাকুক প্রাণ। এটাই প্রত্যাশা। 


সর্বশেষ সংবাদ