ইকবাল মনোয়ারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে কুবিতে অবস্থান কর্মসূচি
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৩, ০৪:২৬ PM , আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০২৩, ০৪:২৬ PM
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি’র (কুবিসাস) অর্থ সম্পাদক ও দৈনিক যায়যায়দিনের প্রতিনিধি ইকবাল মনোয়ারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ রবিবার (৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করের কুবিসাসের সদস্যরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মাহি, ইত্তেফাকের প্রতিনিধি জান্নাতুল ফেরদৌস, আজকালের খবরের প্রতিনিধি মীর শাহাদাত, সময়ের আলোর প্রতিনিধি এবিএস ফরহাদ, ডেইলি অবজারভারের প্রতিনিধি আহমেদ ইউসুফ আকাশ, প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিনিধি মঈনুদ্দিন ইরফান, দৈনিক শেয়ার বিজের প্রতিনিধি শাহীন আলম, মানবজমিনের প্রতিনিধি সাঈদ হাসান, মানবকণ্ঠের প্রতিনিধি জুবায়ের রহমান, ভোরের ডাকের প্রতিনিধি রকিবুল হাসান, দেশ রূপান্তরের প্রতিনিধি নাঈমুর রহমান রিজভী, খোলা কাগজের প্রতিনিধি হাছিবুল ইসলাম সবুজ, আমার বার্তার প্রতিনিধি চৌধুরী মাসাবিহ সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
এসময় দৈনিক আজকালের খবরের প্রতিনিধি মীর শাহাদাত হোসেন বলেন, সাংবাদিক রুদ্র ইকবালকে কোন আইনে বহিষ্কার করেছে তা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্লিয়ার করেনি। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয় নাই। এ থেকে বোঝা যায় এটি একটি স্বৈরাচারি সিদ্ধান্ত। এই কর্মকাণ্ডের জন্য প্রশাসন জবাব দিতে হবে এবং অনতিবিলম্বে ইকবালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের করতে হবে।
জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, যেই সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছিলো সেখানে সাংবাদিকের ব্যক্তিগত কোনো বক্তব্য ছিল না। তারই প্রেক্ষিতে প্রশাসন যেভাবে বহিষ্কার করেছে তা আইন সমর্থন করে না। এছাড়াও কোন শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে, উচ্চপর্যায়ের সভায় কারা ছিলেন, কীভাবে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। তারা ভেবেছিলো ইকবালকে বহিষ্কারের মাধ্যমে সাংবাদিক সমিতির অন্যান্য সাংবাদিকদের কলমকে বন্ধ করে দেয়া যাবে। কিন্তু তা কখনোই সম্ভব নয়। যারা সাংবাদিকতা করেন, যারা অন্যায় ও দুর্নীতিকে তুলে ধরেন তারা নিজেদের সৎ সাহস নিয়েই করেন।
আহমেদ ইউসুফ আকাশ বলেন, সংবাদকর্মীরা সমাজকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য সঠিক পথ নির্দেশ করে। আপনারা ভুল করেছেন সেই ভুল স্বীকার করে স্বৈরাচারী মনোভাব থেকে ফিরে আসুন। রুদ্র ইকবালের উপর আইনবহির্ভূত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার তুলে নিন। তা না হলে বাংলাদেশের সমগ্র সাংবাদিকদের নিয়ে আমরা কঠোর আন্দোলন নামাবো
দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মাহি বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে ভুল করেছে সে ভুলের দায় তারা স্বীকার করতে চায় না। তারা শুধু একটা কথাই বলে 'উচ্চ পর্যায়ের সভা'। কিন্তু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইনে উচ্চ পর্যায়ের সভা বলে কোনো কাঠামো নেই। তাদের এই উচ্চ পর্যায়ের সভার মাধ্যমে একটি অবৈধ, অনৈতিক এবং আইনবহির্ভূত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে সিদ্ধান্ত রুদ্র ইকবালের শিক্ষা জীবনকে ব্যাহত করছে। অথচ কাদেরকে নিয়ে এই সভা গঠিত হয়েছে সে বিষয় প্রশাসন এখনো পরিষ্কার করে বলেনি। নিজের অপরাধকে ঢাকতে নতুন নতুন অপরাধ করছেন তিনি।