পরিবার ছেড়ে ক্যাম্পাসেই ঈদ তাঁদের, সুরক্ষিত রাখবেন জবি
- জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৩, ০৯:৪৩ AM , আপডেট: ২৬ জুন ২০২৩, ১০:১৩ AM
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ছুটি শুরু হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে(জবি)। ২৩ ও ২৪ তারিখ শুক্র-শনিবার থাকায় এর আগেই ক্যাম্পাস ছেড়েছেন প্রায় সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীরা। ক্যাম্পাস এখন একেবারেই ফাঁকা। এই ফাঁকা ক্যাম্পাস এবং হলের নিরাপত্তার জন্য বর্তমানে নিয়োজিত রয়েছে ২০ জন কর্মী। যাদের এবারের ঈদ কাটবে ক্যাম্পাসেই।
জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ২৪ জন কর্মীর মধ্যে এবার ছুটি পেয়েছেন ১০ জন নিরাপত্তাকর্মী। শিক্ষার্থীদের চাহিদার ভিত্তিতে গত ঈদের ন্যায় এবারো হল খোলা থাকায় অন্যান্য দপ্তর থেকে অতিরিক্ত আরো ৬ জনকে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে এবারের ঈদের ছুটিতে ক্যাম্পাস এবং হলের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত আছেন ২০ জন কর্মী। দুই শিফটে প্রতিদিন ৮ ঘন্টা করে ডিউটি করবেন তারা।
ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন আব্দুল আলিম। এবারের ঈদে ছুটি পায়নি তিনি। তিনি বলেন, "আমি যেহুতু ক্যাম্পাসে একজন কর্মচারী তাই আমি চাইলেও ছুটি পেতে পারি না। তবে পরিবারের জন্য একটু মনখারাপ থেকেই যাবে। পরিবারের সকলের সাথে ঈদ পালনের আনন্দটাও অন্যরকম। আবার অন্যদিক থেকে চিন্তা করলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ও আমার পরিবার। আমরা নিরাপত্তা কর্মী যারা ঈদে ক্যাম্পাসে থাকবো সবাই মিলে ঈদের অনন্দ ভাগাভাগি করে নিবো।"
এইদিকে ঈদের ছুটি না পেয়েও হাসিমুখে ক্যাম্পাসের গেটে দায়িত্ব পালন করছেন আরেকজন নিরাপত্তা কর্মীর মো. দেলোয়ার। নিজ পরিবার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন তার দায়িত্বকে।
বেতন এবং ঈদ বোনাস নিয়ে তিনি বলেন, বেতন বোনাস সব কিছুই পেয়েছি৷ পরিবারের সবাই সুন্দর মত যেন ঈদ উদযাপন করতে পারে তাই তা পাঠিয়ে দিয়েছি।
আরও পড়ুন: আজ অফিস করেই বাড়ির পানে ছুটবেন সরকারি চাকরিজীবীরা
ক্যাম্পাসে কুরবানি হয় কি না জানতে চাইলে দেলোয়ার হোসেন বলেন, গতবছর কুরবানি হয়েছিল এ বছরেও মনে হয় ক্যাম্পাসে কুরবানি আয়োজন হবে। তবে কর্মচারীরা মিলে কুরবানির আয়োজন করতে পারে।
এইদিকে গত ঈদে ছুটি না পেলেও এই ঈদে ছুটি পেয়েছেন নিরাপত্তাকর্মী মীজানুর রহমান। ছুটি পেয়ে খুব উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন, গত ঈদে ছুটি মেলেনি এই ঈদে ছুটি পেয়েছি পরিবারের সাথে ঈদ করবো এর চেয়ে আনন্দ আর কি হতে পারে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, "পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে তাদের ক্যাম্পাসে থাকতে হবে। তবে আমরা প্রতি ঈদেই ভাগ করে কিছু সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মীকে ছুটি প্রদান করে থাকি। "