বহিরাগতদের কাছে বিএম কলেজের মাঠ যেন উন্মুক্ত পার্ক!

বিএম কলেজ মাঠে দুই বহিরাগত প্রিমিক যুগল
বিএম কলেজ মাঠে দুই বহিরাগত প্রিমিক যুগল  © টিডিসি ফটো

দক্ষিণ বঙ্গের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বরিশাল ব্রজমোহন (বি.এম) কলেজ। ১৮৮৯ সালে প্রখ্যাত সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ অশ্বিনীকুমার দত্ত কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। শতবর্ষী এ কলেজটি একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং নির্মাণ শৈলীর জন্যও বেশ পরিচিত। 

ছুটির দিনসহ প্রতিদিনই অনেকেই কলেজটি ভ্রমণে আসেন। কিন্তু বাহিরাগতদের জন্য কোনো বিধিনিষেধ না থাকায় বর্তমানে তাদের অবাধ প্রবেশ কলেজের শিক্ষার পরিবেশকে নষ্ট করছে বলে দাবি কলেজটির শিক্ষার্থীদের। 

লামিয়া আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশে কলেজ ক্যাম্পাসকে এখন পার্ক মনে হয়। কোথাও কোথাও বহিরাগতদের এতটা অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখা যায় যে আমরাই বিব্রত হই। একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশতো এমন হতে পারে না।

আরো পড়ুন: উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ পাঠানোর খবরে রাবেয়াকে খুন করে সাইদুল

আসিফ নামে অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, এটি একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। এখানে দর্শনার্থী আসতেই পারে কিন্তু সেক্ষেত্রেও একটা নিয়মতো থাকবে। কলেজ ক্যাম্পাসে ঘুরতে এস অশালীন কার্যক্রম নিশ্চয়ই মেনে নেয়ার মত নয়। আমরা চাই প্রশাসন দর্শনার্থীদের জন্য কিছু নির্দেশনা তৈরি করুক এবং বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করুক।

১১ মে বৃহস্পতিবার সরেজমিনে শিক্ষার্থীদের এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এদিন দেখা যায় বি এম কলেজের মূল ভবনের সামনের আপত্তিকর অবস্থায় শুয়ে আছেন এক প্রেমিক যুগল।মাঠ থেকে একটু সামনে আগাতেই মাঠের পূর্ব পাশে বেঞ্চে আপত্তিকর অবস্থায় শুয়ে থাকতে দেখা যায় আরেক প্রেমিক যুগলকে। যুগলদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা কেউই বি এম কলজের শিক্ষার্থী না। ঘোরার উদ্দেশ্যে তারা কলেজ ক্যাম্পাসে নেই।

এক বহিরাগত  যুগল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এটা একটা বিশ্ববিদ্যালয়, এখানে আমরা যা খুশি করবো, নাচবো, গাইবো,আড্ডা দিবো ফুর্তি করব তাতে আপনাদের সমস্যা কি? কলেজে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করেছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটা যেহেতু একটা বিশ্ববিদ্যালয় এখানে প্রবেশের জন্য পারমিশন নিতে হবে কেন? এটি সবার জন্য উন্মুক্ত।

আরো পড়ুন: মেধাতালিকায় এগিয়ে থেকেও সুপারিশবঞ্চিত অর্থনীতির নিবন্ধনধারীরা 

বি এম কলেজের মাঠ সংলগ্ন মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র  সৌরভ খন্দকার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এই মাঠে প্রায় সময়ই প্রেমিক-প্রেমিকাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায়। আমরা এদের কাউকে চিনি না এবং এরা সবাই বহিরাগত। বহিরাগতদের জন্য এভাবে কলেজের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার বিষয়ে আমরা অনেক বার কলেজ প্রশাসন কে জানিয়েছি, কিন্তু কলেজ প্রশাসন দেখবো দেখবো করে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের এক শিক্ষক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বি এম কলেজ দক্ষিণবঙ্গের অনেক বড় একটি কলেজ । এখানে শিক্ষার্থী তুলনামূলক বেশি। শিক্ষার্থী বেশি হয়ে যাওয়ার ফলে গেট থেকে কলজে প্রবেশ করার সময় কে এই কলেজের ছাত্র আর কে বহিরাগত এসব আইডেন্টিফাই করা সম্ভব হয়না।  তবে গেট দিয়ে প্রবেশ করার সময় যাতে সবাইকে আইডেন্টিফাই করা যায় আমরা সেই বিষয়ে কাজ করছি।


সর্বশেষ সংবাদ