ফুলপরী ও ঘটনার সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ আদালতের
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৩, ০৩:০৪ PM , আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১১:২৯ AM
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শারীরিক নির্যাতনের শিকার ছাত্রী ফুলপরী খাতুন এবং ঘটনার সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কুষ্টিয়ার এসপি ও পাবনার এসপিসহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ফুলপরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (১ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ফুলপরীর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করা চারুকলা বিভাগের ছাত্রী হালিমা আক্তার ঊর্মির মোবাইল ফোনটি সংগ্রহ করে এবং ধারণ করা ভিডিও উদ্ধার করে আদালতে দাখিল করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ আদেশের বিষয়ে ৮ মে’র মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাভাবিক শিক্ষাজীবন চালিয়ে নিতে তিনদিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ফুলপরীর জন্য সিট বরাদ্দ দিতে বলেছেন আদালত। রিটকারী আইনজীবী গাজী মো. মহসীনের উদ্দেশে আদালত বলেছেন, আমরা বিষয়টি মনিটরিংয়ে রাখবো। আপনিও এ বিষয়ে খেয়াল রাখবেন। কোনো সমস্যার উদ্ভব হলে আদালতকে জানাবেন। তখন আমরা প্রয়োজনীয় আদেশ দেবো।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী জড়িত ইবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ পাঁচ ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট ড.শামসুল আলমকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্ট ড.শামসুল আলমকে প্রত্যাহারের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: এবার ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার অন্তরাসহ ৫ নেতাকর্মী
বহিষ্কার হওয়া পাঁচ ছাত্রী হলেন- পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, চারুকলা বিভাগ ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী হালিমা আক্তার ঊর্মি, আইন বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের ইসরাত জাহান মীম, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ইবির দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত প্রায় ৩টা পর্যন্ত শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন। তিনি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। অভিযোগ ওঠে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, তারা ওই শিক্ষার্থীকে মারধর ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করেন।