আধুনিক রূপে জবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার
- সাগর হোসেন, জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:২১ PM , আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:০১ PM
বিশ্ববিদ্যালয়কে ধরা হয় একটা দেশের ভবিষ্যৎ তৈরির প্ল্যাটফর্ম। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি হলো সেই প্ল্যাটফর্মের প্রাণকেন্দ্র। যেখানে শিক্ষার্থীরা একটি নিরিবিলি পরিবেশে তাদের চাহিদা অনুযায়ী বই সংগ্রহ করে পড়ালেখা করতে পারে। পাশাপাশি নিতে পারে গবেষণার প্রস্তুতি। গ্রন্থাগার রূপ নেয় সমাজ উন্নয়নের বাহন হিসেবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারও এর ব্যতিক্রম নয়। এখানে ৬ টি অনুষদ এবং ২ টি ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী পাঠচক্র ও গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের মোট পুস্তক সংখ্যা ৩১,৬০০। সুনামধন্য ৮ টি পাবলিশার্স এর প্রকাশনায় ই-বুকস এর সংখ্যা ১,৬৬,৪০০। ই-জার্নালের সংখ্যা ৪৪,১০০। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য ই-লাইব্রেরি সেবা চালু হয় ২০১৫ সালের ৩ মার্চ। ই-লাইব্রেরির জন্য ল্যাপটপ আছে ১০৩ টি। গবেষণা কাজের জন্য প্রিজার্ভ পত্রিকা ৯ টি। রেফারেন্স বই ১,৪৮০ টি, পিরিউডিক্যাল বই ১,৪০৫ টি। রেফারেন্স শাখায় জার্নাল ১,১০১ টি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ১,৬৭২ এবং দ্বিতীয় শিফট চালু হয় ৫ জুন ২০১৬ সালে।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ টি অনুষদের ৩৮ টি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের জন্য চারটি গবেষণা কক্ষ এবং ৩৫০ টি আসন আছে। যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত তাদের পড়াশোনা ও গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভালো নেই, কেবল বেঁচে আছেন শিক্ষকরা
গ্রন্থগারের নিয়মিত একজন শিক্ষার্থী নাকিবুল আহসান বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি এখন পূর্বের চেয়ে বেশ গোছানো ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। ফলে, শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা ও গবেষণা কাজের জন্য আসেন তাদের জন্য বর্তমান পরিবেশ খুব উপযোগী জায়গা। গ্রন্থগারের ভিতর প্রবেশ করলে সকল শিক্ষার্থীর পড়াশোনা ও সুন্দর পরিবেশ দেখে মনটা ভরে উঠে। গ্রন্থগারে যেসব সুযোগ সুবিধা থাকলে আদর্শ গ্রন্থগার হিসেবে বিবেচনা করা হয় তার প্রায় সকল দিক এখানে রয়েছে। গ্রন্থগারের এমন আধুনিকায়ন রুপ ও পরিবেশ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে আরও বেশি অনুপ্রেরণার যোগান দিবে।
আরেক শিক্ষার্থী শ্রাবণ শরীফ বলেন, বিগত কয়েক বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গ্রন্থগারের ও ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়াশোনার বিচিত্র আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। সব থেকে আনন্দের বিষয় হচ্ছে আমরা এখন বাহিরের বই নিয়ে লাইব্রেরিতে পড়তে পারি। এই সুবিধা আগে ছিল না।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারিক এনামুল হক বলেন, সব কিছু মিলিয়ে আমাদের গ্রন্থগারের অবস্থা এখন খুবই ভাল। শিক্ষার্থীরা আসে নিয়মিত তাদের পড়াশোনা ও গবেষণার কাজ করার জন্য। তারপরও আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে এখনও। তবে আমরা এই সীমাবদ্ধতা গুলো কাটিয়ে উঠার জন্য ইতোমধ্যে আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করেছি ইনশাআল্লাহ আমাদের গ্রন্থগারটি আরও আধুনিক ও সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠবে।