গুচ্ছে চান্স পেয়েও মিতুর ভর্তি হতে না পারার ব্যাখ্যা দিল কুবি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

কর্তৃপক্ষের ভুলে ভর্তিবঞ্চিত মিতু, বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশের পর বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য ও প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ এমদাদুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি 'কর্তৃপক্ষের ভুলে ভর্তিবঞ্চিত মিতু’ শীর্ষক শিরোনামসহ প্রায় একই শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কারণ, প্রকাশিত সংবাদগুলোতে প্রকৃত তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি। ফলে এ বিষয়ে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে বলে প্রতীয়মান। বিভ্রান্তি দূরীকরণের স্বার্থে এ সংক্রান্ত প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হলো।

গত ৭ নভেম্বর প্রকাশিত জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত প্রাথমিক ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীরা জিএসটি গুচ্ছভুক্ত পরীক্ষার জন্য তৈরী নির্দিষ্ট জিএসটি ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফলাফল সংগ্রহ করে প্রাথমিক ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। এটি বাধ্যতামূলক।

যথারীতি ‘বি’ ইউনিটসহ সব ইউনিটের ফলাফল জিএসটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে যারা ভর্তির সুযোগ পেয়েছে, প্রত্যেককে জিএসটি এর পক্ষ থেকে মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হয়। ওই ক্ষুদেবার্তা প্রাপ্তির পর পরীক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল সংগ্রহ ও প্রাথমিক ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। একই নিয়মে জিএসটি এর পক্ষ থেকে ক্ষুদেবার্তা কামরুন্নাহার মিতুও পেয়েছিল।

আরো পড়ুন: কুবিতে ভর্তির সুযোগ চেয়ে আবেদন করলেন সেই মিতু

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দু'ভাবে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। জিএসটি রোল অনুযায়ী এবং মেধাক্রম অনুযায়ী। পাশাপাশি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট এবং জিএসটি এর ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রাথমিক ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কামরুন্নাহার মিতু কোনো নির্দেশিকাই যথাযথভাবে অনুসরণ করেননি।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বদা পরীক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে বদ্ধপরিকর। পরীক্ষার্থীরা কোনো ভুলত্রুটি করলে তা সংশোধন করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্তরিক। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ভর্তির আবেদনকারী প্রার্থী কামরুন্নাহার মিতুর ভুলের বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে জিএসটি নিয়ন্ত্রিত। বিষয়টি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণে না থাকায় তার ব্যক্তিগত ভুল সংশোধনের উপায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নেই।

এ অবস্থায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংবাদকর্মীদের কারো বক্তব্যের বিবৃতি দিয়ে কোনরূপ সত্যতা যাচাই বাছাই না করে অসম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ থেকে বিরত থাকা এবং সুস্পষ্ট তথ্য প্রকাশ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার জন্য অনুরোধ করছে।


সর্বশেষ সংবাদ