সদস্য সংকটে পিএসসি, বিসিএসের ‘রোডম্যাপ’ বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা

সরকারি কর্ম কমিশন
সরকারি কর্ম কমিশন  © ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ শাসনামলে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সদস্য ছিলেন ১৫ জন। এখন সদস্যসংখ্যা প্রায় তার অর্ধেক। কমিশনের সদস্য কম হওয়ায় নানা সংকট তৈনি হয়েছে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটিতে। ৪৪তম বিসিএস থেকে শুরু করে অন্যান্য বিসিএসের কার্যক্রম নিয়ে তৈরি হতে যাওয়া রোডম্যাপ বাস্তবায়ন নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। রোডম্যাপ বাস্তবায়ন না হলে বিসিএসে জট তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বর্তমানে পিএসসিতে ৮ জন সদস্য রয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন সদস্য ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা নেবেন। প্রতিদিন ৯০ জনের ভাইভা নেবে পিএসসি। ফলে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শেষ করতে অন্তত সাত মাস লাগবে। যদিও পিএসসি’র তৈরি হতে যাওয়া রোডম্যাপ অনুযায়ী, ‘তিন থেকে চার মাসের মধ্যে’ ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সদস্য সংকটের কারণে সেটি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।

এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘প্রতিটি বিসিএসের জন্য ইতিমধ্যে সদস্যদের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। প্রতিটি বিসিএসের জন্য আলাদা রোডম্যাপ করা হচ্ছে। শিগগির এটি চূড়ান্ত হবে। এরপর সে অনুযায়ী ক্যালেন্ডারের মতো প্রতিটি বিসিএসের কার্যক্রম চলবে।’

আরও পড়ুন: একবার প্রিলি-লিখিত পাস করলেই তিনবার ভাইভার সুযোগ, নতুন চিন্তা পিএসসির

সদস্য সংকটের কারণে রোডম্যাপ বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা দেখা দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের সদস্য আছেন আটজন। তাদের মধ্যে ছয়জনকে দিয়ে ছয়টি বোর্ড পরিচালনা করছি। দুজনকে প্রশাসনিক কাজ করতে হচ্ছে। এর ফলে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শেষ হতে সাত মাস সময় লাগবে। আমরা যদি ১২টা বোর্ড পরিচালনা করতে পারতাম, তাহলে তিন মাসে ভাইভা শেষ করা সম্ভব হত। প্রার্থীদের দ্রুত ফলাফল দিতে পারতাম। তবে সদস্য সংকটের কারণে সেটি সম্ভব হবে না। আমি সরকারের কাছে আবেদন করব, দ্রুতই আমরা নতুন সদস্য যেন পাই।’

পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ৪৪তম বিসিএস ছাড়াও ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল তৈরি, ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আয়োজন এবং ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিসহ নন-ক্যাডারের জট কমাতে রোডম্যাপ বা ক্যালেন্ডার তৈরি করা হবে। এই ক্যালেন্ডার বাস্তবায়নে একেকজন সদস্যকে একাধিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য দায়িত্ব পালন করার কারণে এই ক্যালেন্ডার বাস্তবায়ন কঠিন হবে বলে মনে করছে পিএসসি।

প্রসঙ্গত ঐতিহাসিক ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। এর দুই মাস পর ৮ অক্টোবর পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) দায়িত্ব থেকে সরে যান সাবেক আমলা সোহরাব হোসাইন। সরকার ১৫ অক্টোবর নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়। এর পর দুই দফায় পিএসসিতে আটজন সদস্য নিয়োগ দেয় সরকার। তবে আরও ৮ জন সদস্য দরকার বলে জানিয়েছে পিএসসি। 


সর্বশেষ সংবাদ