ক্যাডার নিয়োগের এক মাসের মধ্যেই নন-ক্যাডার নিয়োগের পরিকল্পনা পিএসসির
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৩, ১১:১২ AM , আপডেট: ১৬ জুন ২০২৩, ১১:১২ AM
সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেছেন, ক্যাডার নিয়োগের এক মাসের মধ্যেই নন-ক্যাডার নিয়োগ দেয়া হবে। সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ৪০তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে থাকা চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগের সুপারিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে করতে পারলে আমি খুব খুশি হব। তাঁরা যেভাবে সুপারিশ চেয়ে আন্দোলন করেছেন, সেভাবে সে সময়ে সুপারিশ করলে তা বৈধ হতো না। ভবিষ্যতে তাঁরাই সমস্যায় পড়তে পারতেন। নতুন বিধি পাস হওয়ার আগে যদি তাঁদের সুপারিশ করা হতো, তাহলে এখন যতজন নিয়োগ পাচ্ছেন, তার অর্ধেকও নিয়োগ পেতেন না। এরই মধ্যে বেশ কিছু পদ যুক্ত হয়েছে। সাড়ে চার হাজারের ওপরে পদ ফাঁকা আছে। নতুন বিধি পাস হওয়ার পর এখন সব পদে তাঁরা নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন। প্রজ্ঞাপন হলে আমরা ১০ দিনের মতো সময় দেব তাঁদের।
আনন্দের বিষয় হচ্ছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বিপিএসসি ৩৫তম থেকে ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষার মধ্যে ৩৫ থেকে ৩৮ পর্যন্ত সে সুপারিশ করেছে, যারা এখন কর্মরত তাঁদের সুপারিশ বিধির আওতায় এসেছে। এ বিধি প্রণয়নের ফলে এরপর থেকে ৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত বিধির আওতায় প্রতিটি ব্যাচে সুপারিশ করতে পারবে।
তিনি বলেন, এরপর তাঁরা তাঁদের পছন্দের পদ নির্বাচন করতে পারবেন। তখন দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা নিয়োগের সুপারিশ করব। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ আমরা এগিয়ে রেখেছি। আমরা তাঁদের নিয়োগের বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক ও তৎপর। শেষ সময় পর্যন্ত চেষ্টা থাকবে সবাই যেন ভালো কিছু পান। একসময় কোনো বিপত্তি পাওয়ার আগেই সরকার এই বিধি প্রণয়ন করে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানের শুভ উদ্দেশ্যে করা অতীত সুপারিশ বিধির আওতায় এনে দিয়েছে—যুক্ত করেন পিএসসি চেয়ারম্যান।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে বিধির আওতার বাইরে যারা সুপারিশ পেয়ে চাকরি করছেন, তাঁরাও ভবিষ্যতে আর কোনো সমস্যায় পড়বেন না। ৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত যারা সুপারিশ পাবেন, তাঁরাও বিধির আওতায় আসবেন এবং সুপারিশ পাওয়ার জন্য ফলাফল প্রকাশের পর এক মাসের অধিক অপেক্ষা করতে হবে না।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বহুল প্রতীক্ষিত নন-ক্যাডার নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা-২০২৩ এর অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বুধবার বিধিটি প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর ফলে সম্পূর্ণ বিধির আওতায় এসেছে পিএসসির কার্যক্রম।