ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে
বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকের বেতন ১৮, প্রভাষকের ৯ হাজার টাকা!
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৪:৫০ PM , আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২২, ০৬:৩৫ PM
বাংলাদেশের অল্প কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন কাঠামোই নিম্নমানের। তাই বলে একজন অধ্যাপকের বেতন মাত্র ১৮ হাজার টাকা! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। চুয়াডাঙ্গার ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে (এফসিইউবি) একজন অধ্যাপককে মাসে বেতন দেয়া হচ্ছে মাত্র ১৮ হাজার টাকা করে। সহযোগী অধ্যাপকদের ১০ থেকে ২৮ হাজার, সহকারী অধ্যাপকদের ২৩ থেকে ২৭ হাজার ৫০০ ও প্রভাষকদের ৯ থেকে ২৩ হাজার টাকা হারে মাসিক বেতন দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজায় হামলার সময় ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ছিলেন জেলেনস্কি
বিশ্ববিদ্যালয়টির গত বছরের অক্টোবরের বেতন বিবরণীর ভিত্তিতে ইউজিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপকের মাসিক বেতন-ভাতার পরিমাণ লাখ টাকার বেশি। আর শীর্ষস্থানীয় কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ হার পাঁচ লাখেরও বেশি।
জানা যায়, গত ১৩ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গার একমাত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি আকস্মিক পরিদর্শনে যায় ইউজিসির একটি পরিদর্শক দল। বিশ্ববিদ্যালয়টির বিষয়ে উত্থাপিত বিভিন্ন ধরনের আর্থিক, প্রশাসনিক ও একাডেমিক অভিযোগ বিষয়ে মতামত প্রদানের জন্য ওই পরিদর্শক কমিটি গঠন করে কমিশন। পরিদর্শনে বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণও পাওয়া যায়, যা পরিদর্শন প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির বেতন কাঠামোকে ‘অমানবিক ও অপ্রত্যাশিত’ বলে মন্তব্য করে ইউজিসির সদস্য ও পরিদর্শক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, যেখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রভাষকের মূল বেতন ২২ হাজার টাকার বেশি। ভাতাসহ সেটি ৩০ হাজারের বেশি। সেখানে একজন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপককে ১৮ হাজার টাকা দেয়া বড় অসম্মানের কথা। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমরা পরিদর্শন প্রতিবেদনে এসব অনিয়ম বন্ধ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রমে শৃঙ্খলা ফেরাতে বেশকিছু সুপারিশ করেছি।
ইউজিসির পরিদর্শন প্রতিবেদনটিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রকট শিক্ষক সংকটের চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অনুমোদিত প্রোগ্রাম রয়েছে ১৪টি। এসব প্রোগ্রাম পরিচালনায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পূর্ণকালীন শিক্ষক রয়েছেন ৩৩ জন। এর মধ্যে দুজন অধ্যাপক, তিনজন সহযোগী অধ্যাপক, চারজন সহকারী অধ্যাপক ও ২৪ জন প্রভাষক। এত স্বল্পসংখ্যক শিক্ষক দিয়ে কীভাবে এসব প্রোগ্রামের পাঠদান ও অন্যান্য শিক্ষাসম্পর্কিত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে তা বোধগম্য নয়।
আরও পড়ুন: ভিডিও কলে কথা বলতে পারবে কারাবন্দিরা
দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এসব অনিয়ম বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে অগ্রগতি কিছুটা ধীর প্রক্রিয়ায় চলছে। স্থায়ী ক্যাম্পাস গড়ে তোলা হচ্ছে। শিক্ষক সংখ্যা ও তাদের বেতন-ভাতা নিয়ে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমরা সেগুলো সমাধানে কাজ করে যাচ্ছি।