জাবি অধ্যাপককে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ সঠিক নয়: গবি রেজিস্ট্রার

অধ্যাপক ড. ইব্রাহিম খলিল
অধ্যাপক ড. ইব্রাহিম খলিল  © সংগৃহীত

দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন শিক্ষক জাবির অধ্যাপক ইব্রাহিম শিরোনামে একটি অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটি সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ এবং গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের দুই বিভাগীয় প্রধান।

এদিকে সরেজমিনে গবির বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষকদের নামের তালিকায় অধ্যাপক ড. মো. ইব্রাহিম খলিলকে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দেখা যায়নি। তার নামের পাশে পার্ট টাইম লেখা দেখা গেছে। 

গবি বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রধান ড. ফুয়াদ হোসেন বলেন, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. ইব্রাহিম খলিলকে খণ্ডকালীন অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। তাকে কখনো অফিশিয়ালি বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব প্রদান করা হয়নি।

আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলা ‘দুঃখজনক ঘটনা’: শাবিপ্রবি প্রশাসন

ড. ইব্রাহিমকে যখন নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তখন বিভাগীয় প্রধান ছিলেন ডা. শাকিল মাহমুদ। তিনি বর্তমানে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ এর বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের প্রধান। ডা. শাকিল মাহমুদ জানান, আমি ১০ আগস্ট ২০১৭ থেকে ৭ অক্টোবর ২০২০ পর্যন্ত বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছি। পরে সহকারী অধ্যাপক ড. মো. ফুয়াদ হোসেন’কে ৭ অক্টোবর ২০২০ তারিখে বিভাগের দায়িত্ব হস্তান্তর করেছি৷

আরও পড়ুন: সমুদ্রসীমা সংযুক্ত মানচিত্র থাকবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে

তিনি আরও বলেন, আমার অনুপস্থিতিতে ও অনুরোধে প্রধানের পক্ষে বিভাগের কিছু কার্যক্রমে ড. ইব্রাহিম অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু, তিনি কখনো বিভাগীয় প্রধান ছিলেন না।

দুই বিভাগীয় প্রধান আরও জানান, গত ১৫ জানুয়ারি জাগোনিউজ২৪.কম অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন শিক্ষক জাবির অধ্যাপক ইব্রাহিম’ শিরোনামের সংবাদ বানোয়াট, মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সংবাদটি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগকে প্রশ্নবিদ্ধ ও হয়রানির উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, যেটা দুঃখজনক।

আরও পড়ুন: রাজধানীতে ওমিক্রন ছড়িয়েছে ৬৯ শতাংশ

এ নিয়ে অধ্যাপক ড. ইব্রাহিম খলিল বলেন, আমি গণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পার্ট টাইম শিক্ষকতার অফার পাই এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে সেখানে কাজ করার অনুমতি দেয়। এই অনুমতি নিয়ে আমি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্ট টাইম প্রফেসর হিসেবে জয়েন করি। জয়েন করার পর বিভাগীয় প্রধান ছিলেন ডা. শাকিল মাহমুদ। তার অনুপস্থিতিতে আমাকে দায়িত্ব পালনে অনুরোধ করেন ডা. শাকিল।

তিনি আরও বলেন, রিপোর্টে বলা হয়েছে আমি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে সভাপতি বলে কিছু নেই, আছে বিভাগীয় প্রধান। আমি কখনো অফিসিয়ালি বিভাগীয় প্রধানেরও দায়িত্ব পালন করিনি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস. তাসাদ্দেক আহমেদ বলেন, ড. ইব্রাহিমকে খণ্ডকালীন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। বর্তমান তাকে কোর্স ভিত্তিক হিসেবে বেতন প্রদান করা হয়। তাকে নিয়ে করা সংবাদটি সঠিক নয়। 

উল্লেখ্য, ড. ইব্রাহিম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন অধ্যাপক এবং গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে কোর্স ভিত্তিক শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।