প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি কবে— যা জানাল ডিপিই

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের লোগো
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের লোগো  © সংগৃহীত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য নতুন বিধিমালা চূড়ান্ত হওয়ার পরই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রকাশের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হবে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) একটি দায়িত্বশীল সূত্র দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, নতুন নিয়মে নিয়োগ প্রক্রিয়া আগের তুলনায় আরও স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর একাধিক কর্মকর্তা জানান, মন্ত্রণালয় আমাদের নির্দেশনা দেয়। আমরা সেটা বাস্তবায়ন করি। এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল করে নতুন একটি বিধিমালা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একটি খসড়া বিধিমালা প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে বেশ কিছু নতুন সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের পর এ বিধিমালা অনুযায়ী নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ, যুগোপযোগী ও মেধা ভিত্তিক করতে এ পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

এদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বিদ্যমান ৬০ শতাংশ নারী কোটা এবং পোষ্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রস্তাবিত ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’-এর খসড়া থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে মোট ৬০ শতাংশ নারী কোটা, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা এবং ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা কার্যকর ছিল। তবে কোটানির্ভর এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মেধার যথাযথ মূল্যায়ন না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে নানা অভিযোগ ওঠে।

অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৬৫ নম্বরপ্রাপ্ত প্রার্থী নিয়োগ পেলেও ৭৫ নম্বরপ্রাপ্ত প্রার্থী বাদ পড়েছেন। এ ধরনের বৈষম্য দূর করে নিয়োগ ব্যবস্থাকে মেধাকেন্দ্রিক করার লক্ষ্যে নতুন বিধিমালা তৈরি করছে সরকার।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কোটার সংখ্যা কমিয়ে ৭ শতাংশে আনা হচ্ছে। বাকি ৯৩ শতাংশ আসন খালি থাকবে মেধার ভিত্তিতে মুক্ত প্রতিযোগিতার জন্য। সংরক্ষিত ৭ শতাংশ কোটার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটার আওতায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সংরক্ষণ থাকবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কোটাব্যবস্থা সীমিত করা হলে নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ হবে এবং প্রকৃত মেধাবীরা সুযোগ পাবেন, যা শিক্ষার মানোন্নয়নেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পলিসি অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, নতুন একটি বিধিমালা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সম্ভবত বিধিমালা চূড়ান্ত হলে মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে চিন্তা করবে। আমরা শুধু তাদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করি। 


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence