‘লেখমালা’ সম্মাননা পেলেন কথাসাহিত্যিক হামীম কামরুল হক

অধ্যাপক হামীম কামরুল হক
অধ্যাপক হামীম কামরুল হক  © সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক হামীম কামরুল হক পেলেন ‘লেখমালা’ সম্মাননা। কবি মামুন মুস্তাফা সম্পাদিত মন ও মননের ছোটকাগজ লেখমালার চতুর্থ ‘লেখমালা সম্মাননা’-২০২৩ দেওয়া হলো সাহিত্যের এই গুণীজনকে।

আগামী ৭ অক্টোবর ঢাকার বাংলামটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সাহিত্য ক্যাটাগরিতে তাঁকে এ সম্মাননা প্রদান করা হবে।

সম্মাননা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে কবি শিহাব সরকার, কবি নাসির আহমেদ, ড. মুহাম্মদ জয়নুদ্দীন, কবি মাহমুদ কামাল, কবি বায়তুল্লাহ্ কাদেরী, কবি আহমেদ স্বপন মাহমুদ, কোলকাতা থেকে গৌতম গুহ রায় প্রমুখ। 

সম্মাননা পাওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করে হামীম কামরুল হক বলেন, 'আজকের দিনে সাহিত্যের এমন দশায় এই ছোট ছোট প্রণোদনা গুলো লেখকদের জন্য অনেক বড় হয়ে উঠতে পারে। আমি মনে করি এই সম্মাননা আমার লেখালেখিতে একটি বড় উৎসাহ জোগাবে'।

তিনি বলেন, ‘সাহিত্যের পুরস্কার গুলো সবার জন্য স্বস্তিদায়ক না। এগুলো নতুন করে অস্বস্তি তৈরি করে। আর সেই অস্বস্তি হচ্ছে, তাকে আগের থেকে আরও ভালো লিখতে হবে এবং লিখার প্রতি অনেক বেশি দায়বদ্ধ হতে হবে। তাই একটি সম্মাননা যেমন অনেক আনন্দ ও উৎসাহের, তেমনি সেটা অনেক বড় অস্বস্তি ও দায়ের। নতুন করে যারা সম্মানিত হলেন এই দায়টা তাদের উপরেই চাপলো। আমার লেখালেখিতে সেই দায় যেন বহন করার সামর্থ্য অর্জন করতে পারি সে চেষ্টাই করবো’।

এছাড়া এবারের ‘লেখমালা’ সম্মাননা পেয়েছেন নাটকের ছোটকাগজ 'আনর্ত' সম্পাদনার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. রহমান রাজু এবং শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য ‘গোলাম রসূল স্মৃতি পদক’ পেয়েছেন মেহেরপুর সরকারী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল কাসেম। 

উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের ২২ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া কথাসাহিত্যিক হামীম কামরুল হক নব্বই দশকরে মাঝামাঝি থেকে লেখালেখি করছেন। তিনি লিখে চলছেন গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ও সমালোচনা। এছাড়াও করছেন অনুবাদ ও গবেষণামূলক কাজও। বর্তমানে তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৫টি। ২০০৭ সালে রাত্রি এখনো যৌবনে উপন্যাসের পাণ্ডুলিপির জন্য তিনি পেয়েছিলেন ‘কাগজ তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার'। বৈচিত্র্যময় জীবনের নানা অনুষঙ্গের প্রতি আগ্রহের কোনো সীমা-পরিসীমা নেই তাঁর। তিনি বিশ্বাস করেন, ভালোবাসাই হলো জগতের সমস্ত প্রশ্ন, সমস্যা ও সংকটের একমাত্র উত্তর। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর; পরবর্তীকালে এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ থেকে 'তুলনামূলক নাট্যতত্ত্ব' বিষয়ে পিএইচডি অর্জন করেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ