স্ত্রীর পরিবর্তে বিদ্যালয়ে ক্লাস নিচ্ছেন স্বামী

অনুপস্থিত প্রধান শিক্ষিকা
অনুপস্থিত প্রধান শিক্ষিকা  © প্রতীকী ছবি

স্কুলে আসেন না প্রধান শিক্ষিকা স্ত্রী। তার পরিবর্তে স্কুলে এসে করাচ্ছেন তার স্বামী। এছাড়াও স্কুলের বিভিন্ন বিষয় তিনি তদারকিও করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৩ আগস্ট) ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাটের দেগঙ্গার খেঁজুরডাঙা এসএসকে স্কুলে। অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফিরোজা বিবি এবং তার স্বামী শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিশ বছর আগে এই প্রাথমিক স্কুলটি প্রতিষ্ঠা হয়। সেই সময় স্কুলে মোট শিক্ষিকা ছিলেন চারজন। দুজন অবসর নেওয়ায় বর্তমানে দুজন শিক্ষিকা আছেন। স্কুলে বর্তমানে প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

কিন্তু অভিভাবকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন স্কুলে আসেন না প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্বে থাকা ফিরোজা বিবি। তাঁর পরিবর্তে স্কুলে এসে দায়িত্ব পালন করছেন ফিরোজার স্বামী শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস।

তবে পড়ানোর পাশাপাশি স্কুলের বিভিন্ন বিষয়ে শহিদুল নাক গলান বলে অভিযোগ করছেন অভিভাবকরা। তার নির্দেশে শিক্ষার্থীদের নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে বলে জানান অভিভাবকেরা। প্রতিবাদ করলে শহিদুল হুমকি দেয় বলেও জানা গেছে।

দীর্ঘদিন ধরে চলা এই ঘটনার প্রতিবাদে স্কুলে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ করেন ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের একাংশ। যার দায়িত্ব তাকে সেই দায়িত্ব পালনের দাবি জানান তাঁরা। পরে অভিযুক্ত শহিদুলকে স্কুলেরই একটি ঘরে প্রায় দুই ঘন্টা আটকে রেখে বিক্ষোভ চলে।

আরও পড়ুন: ভারতে খ্রিস্টান মিশনারি স্কুলে ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের হামলা।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাকিম রহমান বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই দেখছি, পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি এক ব্যক্তি স্কুলে পড়াচ্ছেন। তিনি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার স্বামী। নকল শিক্ষক স্কুলে পড়াবেন, এটা চলতে পারে না।

এক অভিভাবক কাজল বিবি বলেন, নকল শিক্ষকই স্কুলে পড়ান। স্কুলের মিড ডে মিলের ব্যাপারেও নাক গলান। ছাত্রছাত্রীদের নিম্নমানের খাবার দেন। প্রতিবাদ করলে ওই নকল শিক্ষক হুমকিও দেন।

স্কুলে পড়ানোর কথা স্বীকার করে শহিদুল বলেন, স্ত্রী অসুস্থ। তাই স্ত্রীর হয়ে আমি স্কুলে এসে দু-চারটে ক্লাস নিই।

দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির এডুকেশন অফিসার পারভেজুর রহমান বিশ্বাস বলেন, ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার স্বামী আজ মিড ডে মিলের খাবার দিতে গিয়েছিলেন বলে শুনেছি। সেই সময়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ দেখান এবং তালা দিয়ে তাঁকে আটকে রাখেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ সত্য প্রমাণ হলে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence