পড়ার চাপ সহ্য করতে পারছি না—লিখে না ফেরার দেশে ছাত্রী

ছাত্রীর আত্মহত্যার পর বাসে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা
ছাত্রীর আত্মহত্যার পর বাসে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা  © আনন্দবাজার

স্কুলে পড়াশোনার ব্যাপক চাপ। রসায়ন ও অঙ্কের দুই শিক্ষিকা তাঁকে প্রচণ্ড চাপ দিচ্ছে। তা সহ্য করতে না পেরে নিজেকে শেষ করে দিলেন। নিজের ‘সুইসাইড নোটে’ এ অভিযোগ করে আত্মহেত্যা করেছেন ভারতের তামিলনাড়ুর বেসরকারি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। ওই স্কুল চত্বরে হস্টেলের কাছ থেকে ছাত্রীটির দেহ উদ্ধার হয়েছে।

যদিও পরিবারের অভিযোগ, তাকে খুন করেছেন স্কুলের কর্মকর্তা ও শিক্ষিকারা। এ অভিযোগে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। ছাত্রীর দেহ নিতেও অস্বীকার করেন তাঁরা। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরিবারের অভিযোগে স্কুলের তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্যের কুড্ডালোরের জেলার বাসিন্দা ওই ছাত্রীর মরদেহের কাছে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। তাতে লেখা, ‘আমি পড়াশোনায় ভালই। রসায়নের অঙ্ক কষতে পারি না। এ নিয়ে শিক্ষিকা খুব চাপ দিচ্ছেন। বকুনিও দিয়েছেন। বলেছেন, ‘পড়াশোনা না করে হস্টেলে কী করছি?’ আমার পক্ষে এ সব অসহনীয় হয়ে উঠেছে।’

আজ সকালে ক্লাস চলার সময় বলেছেন, ‘আমি হাসিঠাট্টায় মেতে রয়েছি।’ রসায়ন আর অঙ্কের শিক্ষিকা খুব চাপ দিচ্ছেন। আর সহ্য করতে পারছি না!’ সুইসাইড নোটে স্কুলের এক শিক্ষিকার নামও রয়েছে। ‘আপনাকে অনুরোধ শান্তি ম্যা’ম, এ বছরের স্কুল আর হস্টেলের ফি মাকে ফেরত দিয়ে দেবেন। আমি তো কয়েক দিন স্কুলের হোস্টেলে ছিলাম!’

আরো পড়ুন: লরি পিষে দিল দুই এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে

ওই ছাত্রী তাঁর মা এবং বন্ধুদের কাছেও ক্ষমা চেয়েছেন। সুইসাইড নোটে লেখা, ‘সরি আম্মা (মা), সরি আপ্পা (বাবা), সরি সন্তোষ, সরি মেঘলা...’

এ ঘটনার আরও এক দফা বিক্ষোভ হয়। ছাত্রীর পরিবারের লোকজন কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। শূন্যে গুলি করে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেছে মহিলা কমিশন।

পুলিশ জানিয়েছে, গাফিলতির অভিযোগে স্কুলের মুখপাত্র রবি কুমার, সচিব শান্তি ও প্রিন্সিপ্যাল শিব শঙ্করণকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ৩০০ জন বিক্ষোভকারীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ