মেয়ের জন্য নতুন কলেজ খুঁজছেন হিজাব বিতর্কে প্রতিবাদী ছাত্রীর বাবা

আলিয়া আসাদি
আলিয়া আসাদি  © সংগৃহীত

হিজাব পরে যাওয়ার ‘অপরাধে’ প্রায় দেড়ে মাস আগে তাঁকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টের রায়ের পরে ভারতের কর্নাটকের উদুপির সেই কলেজছাত্রী আলিয়া আসাদি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। সেইসঙ্গে ফের জানালেন কলেজ কর্তৃপক্ষের দ্বারা অসম্মানিত হওয়ার কথাও। -খবর আনন্দবাজার পত্রিকার

জানুয়ারির শুরুতে কর্নাটকের উদুপিতে ওই প্রি-ইউনিভার্সিটিতে আলিয়াসহ আরও ৬ জন হিজাব পরিহিত ছাত্রীকে ক্লাসে বসতে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। কলেজ উন্নয়ন সমিতির সভাপতি বিজেপি বিধায়ক রঘুপতি ভট্ট বলেছিলেন, হিজাব পরিহিতরা ক্লাসে ঢুকতে পারবেন না।

এ ঘোষণার প্রতিবাদে সরব হন আলিয়াসহ কয়েক জন ছাত্রী। সেই বিতর্ক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে রাজ্য জুড়ে। মামলা হয় হাইকোর্টেও। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের তরফে আলিয়া এবং তাঁর কয়েক জন সহপাঠীকে ‘মৌলবাদী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

একাধিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় পুরস্কার জেতা আলিয়া অবশ্য জানিয়েছেন, প্রথমেই তাঁরা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সঙ্ঘাতের পথে হাঁটেননি।

আরও পড়ুন: ভারতীয় কলেজে হিজাব পরা মুসলিম ছাত্রীদের ক্লাসে ঢুকতে দিচ্ছে না

তিনি বলেন, ‘‘আমরা প্রথমে কলেজে হিজাব পরিনি। বরং হিজাব পরার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে অভিভাবকদেরকে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু প্রিন্সিপাল তাঁদের যুক্তিতে আশ্বস্ত হননি। তাঁর কাছ থেকে কোনও উত্তর না পাওয়ায়, আমরা হিজাব পরা শুরু করি। এর পরে আমাদের আর ক্লাসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।’’

হিজাব পরা নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে দায়ের হওয়া সমস্ত পিটিশন মঙ্গলবার খারিজ করেছে কর্নাটক হাইকোর্ট। কোর্ট জানিয়েছে, হিজাব পরা বাধ্যতামূলক ধর্মীয় অনুশীলন নয়। এর ফলে হাইকোর্টে জয় হয়েছে বিজেপি পরিচালিত কর্নাটক সরকারেরই।

আলিয়া জানিয়েছেন, বিজেপি বিধায়ক পরিচালিত ওই কলেজে তিনি আর ক্লাস করার কথা ভাবছেন না। আর তাঁর বাবার কথায়, ‘‘দেখি, হিজাব পরে ক্লাস করার অনুমতি দেবে এমন কোনও কলেজের সন্ধান পাই কি না।’’


সর্বশেষ সংবাদ