একসঙ্গে তিন বোনকেই বিয়ে করলো যুবক!

আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর যুবক লুইজো। এই যুবক একসঙ্গে তিন বোনকে বিয়ে করেছেন। স্বামীর সঙ্গে তিন বোনের ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে যায় ওই যুবক। তবে মনে মনে অবশ্য ওই তিন বোনও সেই যুবককে পছন্দ করতো। কিন্তু তিন বোনের মধ্যে কেউই তা জানতেন না একে অপরের মনে কথা। তাদের পছন্দের মানুষটি যে একজনই ছিল। এদিকে আবার সেই যুবকও তাদের তিন বোনকেই পছন্দ করতেন। কিন্তু তিন বোনকে তো আর বিয়ে করা সম্ভব নয়, তাই তিনি চেয়েছিলেন একজনকেই বেছে নিতে।

আরও পড়ুন: মারণাস্ত্রের চেয়ে একটি চুম্বন অনেক শক্তিশালী: তসলিমা নাসরিন

অন্যদিকে আবার তিন বোন তারা একে অপরকে সারপ্রাইজ দিতে নিজেদের মনের কথা নিজেদের কাছে জাহির করেন। কিন্তু মনে কথা বলতে গিয়েই হয় বিপত্তি! যানা যায়, তিনি বোনের মনের মানুষ একজনই। এদিকে আবার সেই যুবক তিনি নিজেও অবাক হয়ে যান গোটা ঘটনায়। একসঙ্গে তিন বোনই তাকে ভালোবাসেন দেখে।

সম্প্রতি কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের পূর্ব অংশে, রুয়ান্ডার সীমান্তের কাছে কালেহেতে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে ওই বিয়ে হয়। তবে যুবকের বাবা-মা বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন না।

তিন বোনের নাম নাতাশা, নাতেলি ও নাদেগি। আশ্চর্য প্রেমকাহিনি! প্রথমে ওই যুবকের পরিচয় হয়েছিল নাতেলির সঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়। কথা বলতে বলতে যা একদিন গড়ায় প্রেমে। ব্যাপারটা একেবারেই চেনা প্রেমকাহিনি। তবে এরপরই কাহিনি বদলে যায়। একসঙ্গে তিন বোনের সঙ্গেই সম্পর্ক গড়ে ওঠে লুইজোর। এরপরই তিন বোন শর্ত জুড়ে দেন। বিয়ে করলে তিনজনকেই করতে হবে। অগত্যা, রাজি হয়ে যান লুইজো।

বর বলেন, ‘আমি তাদের বিয়ে করতে বাধ্য ছিলাম। এটা সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না। কারণ এখন পর্যন্ত আমার বাবা-মা বুঝতে পারছেন না আমি কী করছি। অন্যরা যা ভাবুক না কেন, আমি তিনজনকে বিয়ে করতে পেরে খুশি। আমার বাবা-মা আমার সিদ্ধান্তকে মেনে নেননি। তাই তারা আমার বিয়েতে যোগ দেননি। কিন্তু আমি শুধু বলতে পারি, ভালোবাসার কোনো সীমা নেই।’

লুইজোর মা-বাবা বিয়েতে না আসার কারণ, তারা একসঙ্গে তিন বোনকে বিয়ে করার পক্ষে ছিলেন না।

আরও পড়ুন: পুতিনের মাথার দাম সাড়ে ৮ কোটি টাকা!

বোনদের মধ্যে একজন স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘যখন আমরা তাকে বলেছিলাম যে তাকে আমাদের সবাইকে বিয়ে করতে হবে, তখন তিনি হতবাক হয়েছিলেন। কিন্তু যেহেতু তিনি ইতোমধ্যেই আমাদের সকলের প্রেমে পড়েছেন, আমরাও তার প্রেমে ছিলাম। তাই কিছুই আমাদের পরিকল্পনাকে থামাতে পারেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদিও মানুষ তিনজন নারী পক্ষে এক স্বামীকে ভাগ করা অসম্ভব বলে মনে করা হয়। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই সব কিছু শেয়ার করে এসেছি আমরা। তাই এবারও শেয়ার করতে কোনো সমস্যা হবে না।’

The Daily Campus এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন