মরণোত্তর বীর খেতাব পাওয়া সেই ইউক্রেন সেনারা বেঁচে আছেন!

স্নেক আইল্যান্ড
স্নেক আইল্যান্ড  © সংগৃহীত

রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজের সামনে আত্মসমর্পণ না করা ইউক্রেনের স্নেক আইল্যান্ডের ১৩ ইউক্রেনীয় সেনা বেঁচে আছেন। সোমবার ফেসবুকে এক পোস্টে ইউক্রেনের নৌবাহিনী এ খবর নিশ্চিত করেছে বলে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধ জাহাজকে ‘জাহান্নামে যাও’ বলার পর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ধারণা করা হয়েছিল তারা রুশ হামলায় নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পরে ১৩ জন সীমান্তরক্ষীকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে মরণোত্তর সম্মান প্রদান করা হয়।

আরও পড়ুন: বুয়েটের পর প্রকৌশল গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা

তবে এবার রুশ সেনারা জানিয়েছে, স্নেক আইল্যান্ডের সীমান্তরক্ষীরা জীবিত আছেন। তারা আত্মসমর্পণ করেছেন।

ইউক্রেনের নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, দ্বীপে থাকা সীমান্তরক্ষী ও নৌসেনারা দুবার রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করেছিল। কিন্তু গোলাবারুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারেননি।

তাদের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, রুশ হামলায় দ্বীপের অবকাঠামো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। বাতিঘর, টাওয়ার, অ্যান্টেনা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় মূল ভূখন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আমাদের ভাইয়েরা ভালো আছে, সুস্থ আছে।

এরআগে খবর ছড়ায় কৃষ্ণসাগরের ছোট দ্বীপ স্নেক আইল্যান্ডকে রুশ সেনাদের কাছ থেকে সুরক্ষিত রাখতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন ১৩ ইউক্রেনীয় সেনা। রুশ যুদ্ধ জাহাজের কাছে আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন তাঁরা। পরে ওই যুদ্ধ জাহাজ থেকে ছোড়া বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় তাঁদের।

আরও পড়ুন: রাশিয়াকে নিন্দা জানানোর প্রস্তাবে নিরপেক্ষ থাকলো বাংলাদেশ

ইতিমধ্যে ওই ইউক্রেনীয় সীমান্তরক্ষীদের মৃত্যুর এ ঘটনাটি অনেককে আবেগতাড়িত করেছে। রুশ সেনাদের উপেক্ষা করে তাঁদের শেষ মুহূর্তের প্রতিবাদী বক্তব্যগুলো টুইটার, টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

নিজ দেশের নিরাপত্তা রক্ষীদের এমন সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ নিরাপত্তা রক্ষীদের সবাইকে মরণোত্তর ‘যুদ্ধ বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের ঘোষণাও দিয়ে ছিলেন তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ