জার্মানিতে সরকারি চাকরি: বেশি অভিবাসী নিয়োগের আহবান

ইউরোপের দেশ গ্রিস থেকে অভিবাসনপ্রথ্যাশীদের জার্মানিতে নিয়ে আসা হচ্ছে৷
ইউরোপের দেশ গ্রিস থেকে অভিবাসনপ্রথ্যাশীদের জার্মানিতে নিয়ে আসা হচ্ছে৷  © সংগৃহীত ছবি

জার্মানির সরকারের মাইগ্রেশন, রিফিউজি ও ইন্টিগ্রেশন কমিশনার রীম আলাবালি-রাডোভান বলেছেন, জার্মানিতে পুলিশ, শিক্ষক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন স্তরে অধিক পরিমাণে অভিবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জায়গা দেওয়া উচিত।

এদিকে সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশটিতে এখনো ইনস্টিটিউশনাল রেসিজম, অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদ বিদ্যমান আছে। রীম আলাবালি-রাডোভান বলেন, অভিবাসনের বিষয়ে ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে আমাদের আরো বেশি বৈচিত্র্য দরকার। এর মাধ্যমে কর্তৃপক্ষও অভিবাসীদের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আরো সচেতন হবে।

আরও পড়ুন: আগামী বছর থেকে স্কুল-কলেজে সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন

জার্মানির রাইনিশে পোস্ট পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, জার্মানির মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশই অভিবাসী পরিবার থেকে আসা। আর তাই পুলিশ, স্কুল ও জার্মানির বিভিন্ন রাজ্যের পৌরসভাগুলোতে চাকরির বেলায় এই বিষয়টির প্রতিফলন থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

তবে জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন ভিন্ন কথা। তার মতে, অভিবাসীদের চাকরিতে নিয়োগ করার বিষয়ে আলাদা কোনো কোটাব্যবস্থা রাখার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন।

এদিকে এক গবেষণা বলছে, জার্মান কর্তৃপক্ষের মধ্যে এখনো বর্ণবাদী আচরণ দেখা যায়। আর এর ফলে অভিবাসী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধার বেলায় নেতিবাচক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। সুযোগ-সুবিধার মধ্যে চাকরি পাওয়া ও স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার বিষয়গুলোও রয়েছে।

আরও পড়ুন: যৌন নিগ্রহের অভিযোগ করা নারীকে ৭ বছর কারাবাস, ১০০ চাবুকের হুমকি

বুধবার প্রকাশিত জার্মানির ডুইসবুর্গ এসেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত এই গবেষণায় বলা হয়, জার্মান কর্তৃপক্ষের মধ্যে অভিবাসীদের সাথে আচরণের সময় গৎবাঁধা ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার মতো মানসিকতা বিদ্যমান রয়েছে। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি কর্মকর্তা, যেমন পুলিশ, জব সেন্টারের কর্মকর্তা, স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এমন উপসংহারে আসে গবেষণাটি।

গবেষণার ব্যাখ্যায় বলা হয়, কোনো ব্যক্তির কর্মকাণ্ডের জন্য সুনির্দিষ্ট ওই ব্যক্তির কার্যক্রমকে চিহ্নিত করার পরিবর্তে পুলিশ তাদের নানাভাবে তাদের ধর্ম (মুসলিম), জাতীয়তা (লেবানিজ) ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে থাকে। তাছাড়া জার্মান বলতে পারেন না এমন অভিবাসীদের সাহায্য করার বিষয়ে পুলিশের যথেষ্ট সামর্থ্য নেই বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

সূত্র: ডয়চে ভেলে বাংলা


সর্বশেষ সংবাদ