এবার ভারত সীমান্তে যুদ্ধবিমান মোতায়েন চীনের

  © আনন্দবাজার

সীমান্ত সঙ্ঘাত নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। দু’দেশের সীমান্তের তিন এলাকাতেই এখন চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে আছে ভারত এবং চীনা সামরিক বাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকায় চীনা সামরিক বাহিনীর সক্রিয়তা নিয়ে নতুন তথ্য দিল উপগ্রহ চিত্র।

জানা গেছে, তিব্বতের গারি গুনশা বিমান ঘাঁটিতে বড়সড় মাপের নির্মাণকাজ চালাচ্ছে চিন। তার প্রমাণ মিলেছে উপগ্রহ চিত্রে। ছবিতে ধরা পড়েছে, লাদাখের প্যাংগং লেক থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে গারি গুনশা ঘাঁটিতে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে রেখেছে চিন।

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা চার হাজার ২৭৪ মিটার। বিশ্বের চতুর্থ উচ্চতম বিমানঘাঁটি তিব্বতের সেই গারি গুনশাই এখন আলোচনর কেন্দ্রবিন্দুতে। এনডিটিভি প্রকাশিত বিশেষ প্রতিবেদনের একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, ওই বিমানঘাঁটিতে বড়স়ড় নির্মাণকাজ চলছে।

৬ এপ্রিলের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, গারি গুনশায় তখনও ততটা নির্মাণকাজের চিহ্ন নেই। কিন্তু তার পর ২১ মে পাঠানো ছবি অবশ্য ভিন্ন কথা বলছে। মাস দেড়েকের মধ্যে গারি গুনশায় বিপুল নির্মাণ হয়েছে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ওই ছবি দেখে। ভারত-চীন সঙ্ঘাতের পরিস্থিতির মধ্যেই যুদ্ধের প্রস্তুতি রাখতে সেনাকে নির্দেশ দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘সেনাকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে হবে। সে জন্য সামগ্রিক প্রশিক্ষণ জরুরি।’ ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর, উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে প্রায় হাজার দশেক সেনা মোতায়েন করেছে চীন।

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গারি গুনশা বিমান ঘাঁটিতে জে-১১ অথবা জে-১৬ মডেলের যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। এই ধরনের যুদ্ধবিমানের ক্ষমতা সুখোই ২৭ বা সুখোই ৩০ এমকেআই-এর মতো। তবে রাফাল এই ধরনের যুদ্ধবিমানের মোকাবিলা করতে সক্ষম। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে গারি গুনশায় প্রথম যুদ্ধবিমানের অস্তিত্ব টের পায় ভারতীয় উপগ্রহ।

ভৌগলিক দিক থেকে গারি গুনশা বিমান ঘাঁটির অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখান থেকে সামরিক ও অসামরিক দু’ধরনের বিমানই ওঠানামা করে থাকে। এই মুহূর্তে ভারত-চীন সীমান্তের তিনটি সেক্টরেই উত্তেজনা জারি রয়েছে। গত ৫ মে থেকে পশ্চিম ভাগ বা ওয়েস্টার্ন সেক্টরে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) সঙ্ঘাত চলছে।

‘ফিঙ্গার থ্রি’ ও ‘ফিঙ্গার ফোর’-এর মধ্যে রাস্তা তৈরির কাজে চীন প্রথম আপত্তি তোলে। একইসঙ্গে গালওয়ান উপত্যকার সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তার কাজেও বেইজিংয়ের আপত্তি রয়েছে। ৫ মে রাতে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের কাছে চীন ভারতীয় সেনার নজরদারি বাহিনীকে বাধা দেয়।

পাশাপাশি পূর্ব ভাগে বা ইস্টার্ন সেক্টরের উত্তর সিকিমেও এ মাসের শুরুতে দুই সেনাবাহিনীর সঙ্ঘাত বাধে। সাধারণত সেন্ট্রাল সেক্টরের উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশের অংশ শান্ত থাকে। কিন্তু সেখানেও বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। খবর: আনন্দবাজার।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence