গোয়েন্দাগিরির অভিযোগে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার

ভারত-পাকিস্তান
ভারত-পাকিস্তান  © সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা থামছে না। দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য, বিবৃতি ও কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়ায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এর মধ্যেই মঙ্গলবার (১৩ মে) উভয় দেশ পরস্পরের হাইকমিশনের একজন করে কর্মকর্তাকে গোয়েন্দাগিরির অভিযোগে বহিষ্কার করেছে। সীমান্তে সংঘর্ষের পরবর্তী এই পদক্ষেপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন করে সংকটের সৃষ্টি করেছে—এমনটাই জানিয়েছে অনলাইন সংবাদমাধ্যম ডন।

ঘটনার সূত্রপাত ঘটে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ঘোষণার মাধ্যমে। তাতে বলা হয়, দিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা ‘অপ্রত্যাশিত কর্মকাণ্ডে’ জড়িত থাকার কারণে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ভারতের দাবি, পাঞ্জাবে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় উঠে এসেছে সেনাবাহিনীর গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগ, যাতে ওই পাকিস্তানি কূটনীতিকের সম্পৃক্ততা রয়েছে।

এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়। ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তা শঙ্কর রেড্ডি চিনতালাকে গোয়েন্দা তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাকে ও তার পরিবারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, অভিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিক কূটনৈতিক আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব করে পাকিস্তান সরকার একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদপত্র (ডিমার্শে) হস্তান্তর করে।

পাকিস্তানের দাবি, ভারতীয় মিশন যেন তাদের কূটনীতিকদের আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করা হয়।

এই পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের ফলে দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও একবার উত্তেজনার মুখে পড়েছে। বিশেষ করে যখন উভয় পক্ষই সীমান্তে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ও হামলার অভিযোগ করে যাচ্ছে একে অপরের বিরুদ্ধে।


সর্বশেষ সংবাদ