ভারতের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায়  চোখ ধাঁধানো ফল প্রত্যন্ত গ্রামের নাসরিনের

নাসরিন পারভীন
নাসরিন পারভীন  © এইসময়

ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়ার। তবে অভাবের পরিবার। কিন্তু মনের জেদ ও অধ্যাবসায় ছিল। এমন পরিস্থিতিতেই প্রস্তুতি সর্বভারতীয় মেডিকেল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট (নীট) পরীক্ষায় চোখ ধাঁধানো ফল করেছেন প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে নাসরিন পারভীন।

সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করেও মনের জেদ ও অক্লান্ত পরিশ্রম করে মেডিকেল ভর্তির নীট পরীক্ষায় অভাবনীয় র‍্যাঙ্ক করে সবার মুখ উজ্জ্বল করেছেন নাসরিন। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের বাড়িওল গ্রামে বাড়ি তার।

মেডিকেল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। পরীক্ষায় ৩ হাজার ৬২৭ র‍্যাঙ্ক (ওবিসি র‍্যাঙ্ক ১৩২৭) করেছে নাসরিন পারভীন। গ্রামের মেয়ের সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে এলাকাবাসীর।

ভারতীয় বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে ৪ হাজার ৭৫০টি কেন্দ্রে প্রায় ২৫ লাখ ছাত্র-ছাত্রী অংশ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে ১৩ লাখ ১৬ হাজার শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। নীটের আয়োজক সংস্থা জানিয়েছে, ৯৯.৯৯৭১২৯ শতাংশ পার্সেন্টাইল পেয়ে দেশে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন ৬৭ জন। 

ভারতীয় গণমাধ্যম এই সময়ের খবরে বলা হয়েছে, নাসরিনের বাবা উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার থানার বাড়িওল গ্রামের নাসিরুদ্দিন আহমেদ পেশায় গ্রাম্য চিকিৎসক। তাঁরই মেয়ে নাসরিন পারভিন মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল। রাতদিন এক করে পরীক্ষায় ভালো র‍্যাঙ্ক আনার ব্যাপারে সচেষ্ট ছিল নাসরিন।

আরো পড়ুন: ৫ হাজার কেন্দ্রে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা, একটি থেকেই ৬ শিক্ষার্থী প্রথম

নাসরিন পারভিন বলেন, ‘বাবার রোজগার তেমন নেই। তাই দুই দাদার প্রচেষ্টা ও সাহায্যেই আমি এ ফল করতে পেরেছি। পরিবারের সদস্য ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবদান রয়েছে এ সাফল্যের পেছনে।’ তিনি একজন ভালো চিকিৎসক হতে চান। 


সর্বশেষ সংবাদ