২০২৩-এর নির্বাচনে যা যা ঘটবে

২০২৩ সালের শেষ কিংবা ২০২৪ সালের শুরুতে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে
২০২৩ সালের শেষ কিংবা ২০২৪ সালের শুরুতে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে  © ফাইল ছবি

বিএনপির বড় একটা অংশ আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। ৫০-১০০ সিট নিয়ে তারা সংসদে বিরোধী দল হবে এমন একটা সমীকরণ দেখা যাচ্ছে। বি চৌধুরী আর অলি আহমেদের নেতৃত্বে অনেকদূর এগিয়েছে তারা। জাতীয় পার্টি ও বসে থাকবে না যদিও নেতৃত্ব আর গ্রহণযোগ্যতার সংকট তীব্র হচ্ছে।

কতেক ব্যবসায়ী আর সাবেক ছাত্রদল নেতারা সমীকরণ মেলাচ্ছেন। বি চৌধুরীর সাথে। সত্যি কথা বলতে কি রুমিন ফারহানাদের মত বিএনপির এত বড় ভোকালরা ও এই সরকারের এত বড় বিরোধী হয়ে এই সরকারের আন্ডারে এম্পি হবার সুযোগ পেলে সেই গোল মিস করতে চায় না!

সেখানে সাধারণ বিএনপির নেতা কর্মীরা চান্স নেবে এটাই স্বাভাবিক। বিএনপি ভাঙবে কিছুটা। কাদের সিদ্দিকী এবং আস ম আব্দুর রবদের কিছু খেলা সামনে দেখা যেতে পারে।

আর সবচেয়ে বড় খেলা তারেক পন্থী বিএনপিরা তারেক সাহেবকে ভোটের আগে মাঠে কিংবা কাছে পাবেন না। তারপর আবার ২১ আগস্টের মামলা জটিলতা এবং সুইস ব্যাংকের টাকার হিসেব ইত্যাদি তারেক রহমানকে জিয়াউর রহমান থেকে দূরে সরিয়ে নেবে। এই স্লোগান সংস্কারপন্থী বিএনপির জন্য বাড়তি সুবিধা এনে দেবে।

আরও পড়ুন: নির্বাচন-কার্যক্রম ছাড়াই সচল ডাকসুর আয়-ব্যয়

এর মধ্যে বাংলাদেশ আবার শ্রীলঙ্কাও হচ্ছে না। সুতরাং বিএনপি ভেঙে জাতীয় পার্টি হতে পারে যে কোন সময়। তবে ভিপি নুর এবং কিবরিয়া সাহেবদের সংসদে দেখলে অবাক হব না। হায়াত মউতের গ্যারান্টি নাই। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বেশ বড় মহাতারকাদের স্বাভাবিক যেকোনো মৃত্যুও বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমীকরণ যেকোনো সময় বদলে দিতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত ঝানু রাজনীতিবিদ। এখন আর বাংলাদেশের সাপেক্ষে তাকে তুলনা করে লাভ নেই। সে মাঝে মধ্যে পাল্লাদেয় যুক্তরাষ্ট্র কিংবা রাশিয়া, চীন অথবা ভারতের সাথে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে আবার দেশে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান বেশ জোরালোভাবে চালু হতে পারে। এতে ৫০ থেকে ১০০ এমপি এবং সাথে লেজ হিসেবে অনেক উপজেলা চেয়ারম্যান এল বি ডব্লিউ শিকার হতে পারেন।

এমন দুর্নীতি বিরোধী অভিযান ২০১৮ নির্বাচনের পরে শেখ হাসিনা শুরু করেছিলেন; যেই ঘটনায় ছাত্রলীগের শোভন-রাব্বানী এবং যুবলীগের ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটদের মতো লোকদের দলের পথ হারাতে হয়েছিল। কিন্তু সেই মিশনটি শুরু করেও শেষ করতে পারেননি হঠাৎ বিশ্বব্যাপী করোনার আগমনে।

সেই অসমাপ্ত মিশনটি নির্বাচনের আগে দিয়ে শুরু হলে অনেক রাঘববোয়াল পুকুরের তলে ডুব দেবে। সেই জায়গায় সংসদ সদস্য হয়ে যেতে পারেন অনেক নতুন গায়ক, সেলিব্রিটি, মোটিভ স্পিকার কিংবা তরুণ ব্যবসায়ী কিংবা রাজনীতিবিদ। এতে নতুন মুখ নিশ্চিত হবে আর দুর্নীতিবাজদের বিদায় হবে।

আমি এখনো বিশ্বাস করি ডা. কামাল হোসেন গত নির্বাচনে আওয়ামী আবার এজেন্ট হয়ে বিএনপির সাথে মিশেছিলেন। যেভাবে ২০১৪ সালে সেই ভূমিকা রেখেছিলেন এরশাদ চাচা। এবারো খেলাটা বিএনপির পক্ষে বোঝা সম্ভব হবে বলে মনে করি না। এবার এরশাদ কিংবা হোসেনকে সেটা জাতি দেখতে চায়। তবে বোঝা এত সহজ নয়।

লেখক: উপস্থাপক ও নির্মাতা প্ল্যানার, বাংলাদেশ টেলিভিশন


সর্বশেষ সংবাদ