অপছন্দ করেন বলে এমন প্রতিহিংসার নির্লজ্জতা!

  © সংগৃহীত

নিউইয়র্কের করোনা যোদ্ধা মেডিসিনের ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে নিয়ে সমস্যাটিও কি প্রধানমন্ত্রীকে সমাধান দিতে হবে? নিউইয়র্কে তার করোনাযুদ্ধের বীরত্ব মানুষকে সেবাদান, সচেতনতা তৈরিতে অনবদ্য ভূমিকা, প্রবাসীদের মাঝেই জনপ্রিয় করেনি, এদেশেও ইমেজ তৈরি করে। ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। করোনাকালে গনমাধ্যম চিনিয়েছে।

ভালো লেগেছে, দেশের দু:সময়ে তিনি মানুষের সেবায় অর্থ সময় নষ্ট করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসেছেন। সাথে এনেছেন অনেক সুরক্ষা। এই সময়ে এটা ক’জন করে?

দুঃখজনক, উন্মাদ কেউ কেউ তাকে খুনী বিশ্বাসঘাতক মোশতাক-রশীদের আত্নীয় বানালো! সরকারের খেয়ে পরে সরকারের প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বশীল পদে বসে দলকানারাই ফেসবুকে অপপ্রচার করে। তাদের রাজনৈতিক নিয়োগ, কাজতো আর নেই! শত্রুর সাথে পাঞ্জা লড়ে না, নিজের মানুষের বিরুদ্বে মিথ্যাচার করে কাপুরুষরা! আশ্রয় প্রশ্রয়ে থাকা সুবিধাবাদী বিএনপি-জামাত ও বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারী এবং খুনীদের আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে কথা বলে না!

ফেরদৌস নেমেই দাঁতভাঙ্গা জবাব দিলেন। অভিযোগ প্রমানের চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন। বিকৃতদের মুখে এখন তালা। অন্যদিকে সরব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সেই সময়ের ছাত্রলীগ সভাপতিসহ নেতারা বললেন, দুঃসময়ে ছাত্রলীগের নিবেদিত প্রাণ ফেরদৌস শিবিরবিরোধী সংগ্রামে সাহসী ভূমিকা রেখে কঠিন সময় পার করেন। সেই সময়ে তার ভূমিকার ছবিও আসছে।

এদিকে ডা. ফেরদৌসের অ্যান্টিবডি সনদ থাকলেও তাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে। জনগণের টাকায় পড়াশোনা করে বিদেশ বসতি গড়া ক’জন ডাক্তার-প্রকৌশলী দেশের দু:সময়ে ভূমিকা রাখেন? কেনো ফেরদৌসের বিরুদ্ধে জঘন্য মিথ্যাচার? নোংরামি? এখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নেই? তার অপরাধ কি? দেশকে ভালোবেসে মানুষের সেবায় ছুটে আসা?

তিনিতো ব্যবসা মতলবে আসেননি! কোথায় পুরস্কার, তার বদলে তিরস্কার! লজ্জা। কিছু কুৎসিত মানুষকে করুনা। জাতীয় অধ্যাপক আন্তর্জাতিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ ফেরদৌস খন্দকারকে মানুষের সেবায় কাজে লাগাতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীকে বলতে পারেন।

লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

(ফেসবুক থেকে নেওয়া)


সর্বশেষ সংবাদ