বিশ্ব মুসলিম সম্মিলন হজ্জ ও শিক্ষা

লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকালাকা লাব্বায়িক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়ালমুলক, লা শারিকালাকা লাব্বায়িক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়ালমুলক, লা শারিকালাক। ’এর অর্থ হলো, হে আল্লাহ, আমি হাজির আছি,আমি হাজির আছি। আপনার কোনো শরীক নেই, আমি হাজির আছি। নিশ্চয় সকল প্রশংসা ও নেয়ামত আপনারই এবং সমগ্র বিশ্বজাহান আপনার। আপনার কোনো শরীক নেই।

সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে বর্ণ ও ভাষা, আরব, অনারব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সবাই একই কাতারে দণ্ডায়মান হয়ে একই কণ্ঠে উচ্চারণ করেন উপরিউক্ত তালবিয়া।প্রতি বছর হিজরী বর্ষপঞ্জীর শেষমাস জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ হজ্জের জন্য নির্ধরিত সময়ে পবিত্র হজ্জের মৌসুমে উচ্চকণ্ঠে উচ্চকিত হয় তৌহিদের এই সুমহান ঘোষণা। এবারও বাংলাদেশের ১ লাখ ২৬ হাজার হাজিসহ বিশ্বের প্রায় ১৫০টি দেশ থেকে আসা ২৫ লাখের বেশি মুসলমান হজ্জের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন। যাদের অধিকাংশ সৌদি আরবের বাইরের নাগরিক। যোগ দিয়েছেন এই বিশ্ব সন্মেলনে ৫৭ টি মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রের সরকার প্রধান বা তাদের প্রতিনিধিরা। হজ্জ মুসলিম উম্মাহর জন্য বার্ষিক বিশ্ব সম্মেলন ও ইসলামী ঐক্যের প্রতীক। এ ধরনের বিশ্ব সম্মেলন অন্য কোনো ধর্ম বা জাতির মধ্যে দেখা যায় না। একমাত্র ইসলামের তৌহিদবাদী মুসলমানরাই পৃথিবীর দিক-দিগন্ত থেকে ছুটে আসে কাবার দিকে।

হযরত আদম (আ.) কর্তৃক নির্মিত কাবার স্থানে ইবরাহিম (আ.) ও ইসমাইল (আ.)এর পুনর্নির্মাণ করেন।এরপর কাবাকে কেন্দ্র করে হযরত ইবরাহিম (আ.) প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর আগে আল্লাহর নির্দেশে সর্বপ্রথম হজ্জ প্রবর্তন করেন। এর পর থেকে নবী-রসুল পরম্পরায় চলে আসছে হজ পালনের বিধান। হযরত মুহাম্মদ (সা.) সামর্থ্যবান মুসলমানদের ওপর হজ অবশ্যপালনীয় কর্তব্য বলে ঘোষণা দিয়েছেন। হযরত ইবরাহিম (আ.) ও হযরত ইসমাঈল (আ.) কর্তৃক কাবাঘর পুনর্নির্মিত হওয়ার পর আল্লাহ তাআলা হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে তিনটি নির্দেশ দেন; যেমন—আল্লাহর বাণী—‘যখন আমি ইবরাহিমকে বায়তুল্লাহর স্থান ঠিক করে দিয়ে বলেছিলাম যে আমার সাথে কাউকে শরিক কোরো না এবং আমার গৃহকে পবিত্র রাখো তাওয়াফকারী, নামাজ আদায়কারী ও রুকু-সিজদাকারীদের জন্য এবং মানুষের মধ্যে হজ্জের জন্য ঘোষণা দাও। তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং সর্বপ্রকার কৃশকায় উটের পিঠে সওয়ার হয়ে দূরদূরান্ত থেকে।’ (সুরা : হজ, আয়াত : ২৭-২৮)
মহান আল্লাহ পাকের সেই ঘোষণার বাস্তব রূপায়ণ মুসলিমদের এই বার্ষিক হজ্জ সম্পাদন। যা অব্যাহত থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত।

হজ্জ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে চতুর্থ স্তম্ভ। মুসলিম জাতির এক বিশ্ব মহাসম্মেলনের নাম হজ্জ । শারীরিক ও আর্থিকভাবে যারা সামর্থ্যবান তাদের জন্য এই হজ্জ পালন করা আবশ্যকীয়। সামর্থ্যবান মুসলমানদের উপরে জীবনে একবার হজ্জ পালন করা ফরজ। এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, “মানুষদের মধ্যে যার যেখানে (আল্লাহর ঘরে) যাওয়ার সামর্থ আছে, আল্লাহর (সন্তুষ্টির) উদ্দেশ্যে ঐ ঘরের (কাবা) হজ্জ করা তার জন্য অবশ্য কর্তব্য। (সূর আলে ইমরান ৯৭।)

ওলামায়ে কেরাম হজ্জ ফরজ হওয়ার জন্য কিছু শর্তের কথা বলেছেন, যাদের উপর হজ্জ ফরজ: মুসলিম হওয়া, বিবেকবান হওয়া,পাগল না হওয়া, বালেগ হওয়া, প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া, আজাদ বা স্বাধীন হওয়া অর্থাৎ কারো গোলাম বা দাস না হওয়া এবং দৈহিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হওয়া। হজ্জ আদায় প্রসঙ্গে নবী করিম (সাঃ) বলেন, “হে মানব মন্ডলী! আল্লাহ তায়ালা তোমাদের ওপর হজ্জ ফরজ করে দিয়েছেন। কাজেই তোমরা হজ্জ পালন করো (মুসলিম)।

হজ্জ শব্দটি আরবী , যার আভিধানিক অর্থ ইচ্ছা বা অভিপ্রায় পোষণ, দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করা,নিয়ত করা, দর্শন করা,সঙ্কল্প করা, এরাদা করা, গমন করা, ইচ্ছা করা,প্রতিজ্ঞা করাসহ , কোনো মহৎ কাজে ইচ্ছা করা ইত্যাদি
পরিভাষায়, “মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে জিলহজ্জ মাসের নির্ধারিত দিনসমূহে নির্ধারিত নিয়মে পবিত্র কাবা ঘর ও সংশ্লিষ্ট স্থানসমূহ জিয়ারত, তাওয়াফ ও অবস্থান করাকে হজ্জ বলে। আরো বিস্তারিত বলতে গেলে বলা হয়, হজ্ব হলো বৎসরের নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট পোশাকে কয়েকটি স্থানে অবস্থান বা ওকুফ, ক্বাবা শরীফের তাওয়াফ, পশু কোরবানী, নির্দ্দিষ্ট স্থানে পরপর তিন দিন পাথর নিক্ষেপ এবং সাফা-মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে সায়ি (হাঁটা) করা।

হজ্জ কেবল আর্থিক ও আত্মিক ইবাদত নয় বরং মুসলমানদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধান এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আন্তর্জাতিক ফোরাম বিশেষ । হজ্জের মৌসুমে আলেম উলামা পীর মাশায়েখ সুফি সাধক, ইসলামী পন্ডিত পবিত্র মক্কা ও মদীনায় একত্রিত হয়ে থাকেন। তাদের মাধ্যমে সঠিক ইসলামী দ্বীনি শিক্ষার বিশ্বে তালিম ও তাবলীগী মিশন প্রেরণ করা যায়।তাঁরা নিজেরাও নিজ দেশে ফিরে সমাজ থেকে শিরক, বিদাআত মুক্ত করার কাজ বেগবান করতে পারেন। যেমন একসময় হাজী শরীয়তুল্লাহ, তিতুমীর এদেশে এসে ইসলাম প্রচার করেছিলেন ।মুসলমানরা তাদের পারস্পারিক দ্বন্দ্ব-কলহ মিটিয়ে, দ্বন্দ্ব -যুদ্ধের পরিবর্তে ভালবাসা বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্ব বন্ধন ও বিশ্ব শান্তি স্থাপনের দীক্ষা হজ্জে পান। হজ্জ সম্মিলন মুসলিম উম্মাহর জন্য বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। যার বহিঃ প্রকাশ মুসলমানদের ঐক্যের ধারা ও সুর সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে পবিত্র হজ্জ থেকে। হজ্জে এসে মুসলিম বিশ্বের পারস্পরিক সমস্যা সমাধান করতে পারে।

পবিত্র হজ্জ ব্রত পালনে অনেক শিক্ষা অর্জন হয়, ধর্মীয়, আধ্যত্মিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক শিক্ষা দেয়,
হজ্জ বিশ্ব মুসলমানদের বার্ষিক মিলনমেলা ও বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। আল্লাহ তাআলা পাঁচবার জামাতে নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন কিছুসংখ্যক লোকে সমাগম হয়, সপ্তাহে জুমার দিনে বেশি লোকের জমায়েত , তারপর বছরে দুই ঈদে আরো বেশি লোকের একসঙ্গে হওয়া , সর্বশেষ বছরে একবার হজ্জের মৌসুমে আরাফার ময়দানে বিশ্বের লাখ লাখ শারীরিক ও মানসিকভাবে সক্ষম ও সামর্থ্যবান মানুষকে একত্রিত করার সুব্যবস্থা করেছেন।

হজ্জে উপস্থিত হয় বিশ্বের নানান দেশের মানুষ।ইউরোপে, আফ্রিকা, এশিয়া, আমেরিকাসহ পাঁচটি মহাদেশের মানুষ একত্রিত হয়। এ সুযোগে তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ইত্যাদি বিষয়ে যোগাযোগ করার সুযোগ তৈরি হয়।তারা একে অন্যের সঙ্গে মিশে ভাবের আদান-প্রদান করতে পারেন, তারা নিজ দেশের অবস্থা সংস্কৃতি রাজনীতি, সুখ-দুঃখের আলোচনা করার সুযোগ পান। এতে হজ্জ আন্তর্জাতিক যোগাযোগের একটি উত্তম মিডিয়া হিসেবে পরিগণিত হয়।

হজ্জ মানুষের মধ্যে আত্মগর্ব, হিংসা, সাদা কালো চামড়ার বিভেদ দূর, পরশ্রীকাতরাতা, ঘৃণা, পরনিন্দা, কাম প্রভৃতি যা কুপ্রবৃত্তি রয়েছে তা হজ্জের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। পৃথিবীর সব মানুষ একই পিতা-মাতা আদম হাওয়ার সন্তান। তাই মানুষে মানুষে কোনো প্রকার ভেদাভেদ নেই, শুভ্রকায় ও কৃষ্ণকায় কোনো প্রভেদ নেই। বর্ণবৈষম্য ও বংশকৌলীন্য এগুলো মানুষের কৃত্রিম সৃষ্টি।হজ্জ এসব দূর করে সাম্য আনয়ন করে।

হজ্জ সবর বা ধৈর্য্যরে শিক্ষা প্রদান করে।কেননা হজ্জের সময় হাজীদের কিছু কষ্টকর কাজ সম্পাদন করতে হয়।ধৈর্যের উৎস হলো এই হজ্জ।

হজ্জে একজন মুসলমান আদম (আ.)হাওয়া (আ.)এর মিলনের স্থান আরাফাতের ময়দানে দাঁড়িয়ে হযরত আদম (আঃ) এর মাগফিরাতের কথা স্মরণ করতে হয়।নিজেকে শোধরানোর সুযোগ পান।। হাদিসে আছে, 'হজের সময় আরাফার ময়দানে দণ্ডায়মান হয়ে যদি কেউ মনে করে যে, আমার গুনাহ মাফ হলো না, তাহলে তদপেক্ষা অধিক গুনাহ আর কিছুই নেই'।
হজ্জের সময় হাজিরা পশু কুরবানী করেন যা: হজরত ইব্রাহিম (আ.), ইসমাইল (আ.) ও হাজেরা (আ.)-এর ত্যাগ-তিতিক্ষা, শ্রম, কোরবানি, আত্মসমর্পণ ও অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।হজ্জ, কোরবানি এ ত্যাগের শিক্ষা দেয় মুসলমানরা ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে।হজ্জে গিয়ে পশু কুরবানি করে তারা নিজেদের পশুত্বকে বিসর্জন দেয়।এভাবে ক্ষুদ্রতর ত্যাগ থেকে তারা বৃহত্তর ত্যাগের প্রশিক্ষণ পায়।

হজ্জের মাধ্যমে সাম্যের শিক্ষা পাওয়া, এখানে ধনী-গরীব, রাজা প্রজার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই, সবাই এখানে আল্লাহর তায়ালার বিশেষ মেহমান। হজ্জ থেকে লাভ করা যায় সাম্যের শিক্ষা। শ্বেতাঙ্গ -কৃষ্ণাঙ্গ ,রাজা-প্রজা, ধনী-গরিব, শিক্ষিত-অশিক্ষিত নানান দেশের নানান ভাষার মানুষ ইহরাম অবস্থায় ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে দাফনের কাপড়ের ন্যায় সাদা কাপড় পরিধান করে একই কাতারে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হজ্জ পালন করে। এ দৃশ্য যেন পৃথিবীবাসীকে সাম্য ও ঐক্যের শিক্ষা প্রদান করে। যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।

কোনো অজুহাত ছাড়া বিনা শর্তে:  হজ্জ আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পন করার শিক্ষা দেয়। যা ইসলামের ইতিহাস তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। আল্লাহ বলেন মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই ( সুরা হিজর) মহানবী (সা.) বলেছেন, সব মুসলমান ভাই ভাই। তার জ্বলন্ত নিদর্শন হজ্জ ব্রত পালন। সব ধরনের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আরাফার মাঠে সব একত্রিত হয়। যেন সবাই একই মায়ের সন্তান। একই ইমামের পেছনে নামাজ আদায় করে একই স্রষ্টার কাছে দোয়া করে। হজ্জ বিশ্ব মুসলমানদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন জোরদার করে। হজ শেষ করে নিজ নিজ দেশে গিয়ে বিশ্বভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে তারা আরো সুদৃঢ় করে

একদেশদর্শী মনোভাব দূর হয়ে বহুদর্শিতা ও দূরদর্শিতা অর্জন হয় হজ্জে। হজ্জ পালনের মাধ্যমে হজকারীর মনের সংকীর্ণতা দূর হয়ে যায়। অনেক অর্থ খরচ হয়। এছাড়া দেশে ছিল একটি গণ্ডির ভেতরে, হজ্জেে গিয়ে বাইরের দেশের মানুষের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ লাভ হওয়ার ফলে তার হৃদয় অনেক প্রশস্ত হয়ে যায়। এতে তার মধ্যে মহববত, দয়া মায়া, উদারতা, ভ্রাতৃত্ববোধ, মূল্যবোধ ও দ্বীনি রীতিনীতির প্রতি আন্তরিকতা বাড়ে।

হজ্জের কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে মনে হবে যেন একদল বিশাল চৌকস সেনাবাহিনীর সামরিক মহড়া। মিনায় তাঁবুজীবন, আরাফায় বিশাল প্রান্তরে অবস্থান, সাফা-মারওয়ায় সায়ি, মুজদালিফায় রাত্রিযাপন, জামারায় কংকর নিক্ষেপ, মিনায় পশু কোরবানি, আল্লাহর ঘরের তাওয়াফ এসব কাজ যেন একদল প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর সামরিক কুচকাওয়াজ ও মহড়া। যা অবিশ্বাসী, নাস্তিক-মুরতাদ, মুশরিক ও আল্লাহর শত্রুদের মনে ভয়ের উদ্রেক করে।

হজব্রত পালনের ফলে হাজিদের মধ্যে পাপের প্রতি ঘৃণা জন্মায়। কারণ সে হাজরে আসওয়াদে চুম্বন করে পাপমুক্ত হয়। আর জামরায় কংকর নিক্ষেপের মাধ্যমে নিজের মধ্যকার শয়তানের প্রতি ধিক্কার জানায়। সব শেষে আল্লাহর ঘরের বিদায়ী তাওয়াফের মাধ্যমে পাপ থেকে মুক্ত থাকার অঙ্গীকার করে আল্লাহর ঘর থেকে বিদায় নেয়। হযরত আবু হুরায়রা( রা.) বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্ব করল এবং অশ্লীল কথাবার্তা ও গুনাহ থেকে বিরত থাকল সে ঐ দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে হজ্ব থেকে ফিরে আসবে যেদিন মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ট হয়েছিল।-(সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৫২১)সুতরাং হজব্রত পালনকারী পাপের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করে।

পরিশেষে বলি শুধু হাজি আলহাজ্ব পদবী ও উপাধি পাবার আশে নয়। আল্লাহ ও রাসুলের সন্তুষ্টি অর্জন ও যাবতীয় পাপ থেকে বিরত থেকে সুপথে চলায় হজ্জের মূল শিক্ষা।'যে ব্যক্তি হজ্ব করে আর তাতে কোনোরূপ অশ্লীল ও অন্যায় আচরণ করে না তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।'-(সুনানে তিরমিযী, হাদীস : ৮১১)

লেখক: শিক্ষক ও গবেষক


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence