বিচ্ছেদের পর ভেঙে পড়েন খাইরুন নাহার, মামুনকে পেয়ে ঘুরে দাঁড়ান

খাইরুন নাহার ও মামুন
খাইরুন নাহার ও মামুন  © সংগৃহীত

প্রথম বিয়ের বিচ্ছেদের পর অনেকটা ভেঙে পড়েছিলেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহার। এর মাঝেই পরিচয় একই জেলার এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মামুন হোসেনের সঙ্গে। এরপর পরিচয় থেকে প্রণয় অতঃপর পরিণয় হয় তাদের। কলেজছাত্র মামুনকে পেয়ে ঘুরে দাঁড়ান শিক্ষিকা খাইরুন নাহার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে ২০২১ সালের ২৪ জুন পরিচয় হয় তাদের। পরিচয়ের ৬ মাস  পর ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হন তারা। সপ্তাহ খানেক আগে তাদের বিয়ের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে।

জানা গেছে, রাজশাহীর বাঘায় শিক্ষিকা মোছা. খাইরুন নাহারের প্রথম বিয়ে হয়েছিল। সেখানে এক সন্তানও রয়েছে। পারিবারিক কলহের কারণে বেশি দিন টিকেনি সে সংসার। মামুনের বাড়ি একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে।

আরও পড়ুন: ফেসবুকে প্রেম, শিক্ষিকাকে বিয়ে করলেন কলেজছাত্র

এদিকে এই বিয়ে মামুনের পরিবার মেনে নিলেও এখনো মেনে নেয়নি খায়রুনের পরিবার। ছাত্র-শিক্ষিকার এই বিয়ে নিয়ে সমাজের বিভিন্ন লোকের নানা কথার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের বলে জানিয়েছেন এই দম্পতি। তবে এসব কথায় গুরুত্ব না দিয়ে সারা জীবন এক সঙ্গে থাকার জন্য দোয়া চেয়েছেন মামুন।

তিনি বলেন, ‘মন্তব্য কখনও গন্তব্য ঠেকাতে পারে না। খাইরুনকে বিয়ে করে আমি খুশি এবং সুখি। সবার দোয়ায় সারাজীবন এভাবেই থাকতে চাই।’

কলেজ শিক্ষিকা খাইরুন নাহার বলেন, ‘প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। সেই সময় ফেসবুকে মামুনের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর আমাদের দুজনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থেকে ভালবাসা হয়। তারপর দুজন সিদ্ধান্ত নিয়ে বিয়ে করি। আমার পরিবার থেকে সম্পর্ক মেনে নেয়নি। তার বাড়ি থেকে আমাদের বিয়ে মেনে নিয়েছে। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমি অনেক সুখে আছি।’


সর্বশেষ সংবাদ