ভক্তের স্ত্রীকে নিয়ে উধাও খেতা বাবা!

বন্ড ফকির খেতা শাহ
বন্ড ফকির খেতা শাহ  © সংগৃহীত

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ভক্তের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে ভক্তের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেছে খেতা শাহ নামের এক ভন্ড ফকির। এ নিয়ে আজ তারাকান্দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ঐ ভক্ত।

তারাকান্দা থানা ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, তারাকান্দা উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের টিকুরিয়া গ্রামের  শফিকুল ইসলাম (৩৫) স্ত্রী রাবিয়া খাতুন (৩৩) ও তিন সন্তান নিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন।

তার সাথে পরিচয় ঘটে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার হীরণপুর গ্রামের কথিত আধ্যাতিক ফকির  ফজলুল হক তালুকদার ওরফে খেতা শাহ (৬০) এর সাথে। গত দেড় মাস আগে ওই ফকির এসে তার ভক্তের বাড়িতে আশ্রয় নেন। ভক্ত শফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মিলে গুরু ফকির খেতা শাহকে ভালমন্দ খাওয়াতে থাকেন।  

গত ২২ জুন দুপুরের দিকে ভক্তের স্ত্রী রাবিয়া খাতুন (৩৩) ফকির খেতা শাহকে সঙ্গে নিয়ে ধোবাউড়া উপজেলার গোয়াতলায় বাপের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে বের হয়ে তারা আর বাড়িতে ফেরেননি। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখোঁজি করেও তাদের আর কোনো খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি।   খেতা শাহ’র ব্যবহৃত একাধিক মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।  

আরও পড়ুন: ‘সত্যিই ভালো হয়ে গেছি, লাভ ইজ পাওয়ার’

শফিকুল ইসলাম জানান, আমার গুরু যে এত খারাপ তা বুঝতে পারেনি। সে একজন লম্পট ও প্রতারক।   এ পীর খেতা শাহ তন্ত্রমন্ত্র করে এবং নানাভাবে ফুসলিয়ে, প্রলোভন দেখিয়ে আমার  স্ত্রীকে দূরে কোথাও নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছে। আমি আমার অবুঝ  সন্তানদের   নিয়ে চরম বিপদে আছি। এ বিষয়ে তারাকান্দা থানা পুলিশের ও প্রশাসনের সহায়তা কামনা করছি। 

তিনি  জানান, তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। জীবনে ভুল বুঝতে পারছি। এ জন্য তারাকান্দা থানায় অভিযোগ দায়ের করার কথা জানান তিনি।

থানায় দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, যাওয়ার সময় তারা শফিকুল ইসলামের ঘর থেকে গরু বিক্রি করার ৯০ হাজার টাকা নিয়ে যান। এব্যাপার নিয়ে তিনি এলাকার জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারস্থ হয়েও কোন সমাধান পাননি।  

খেতা শাহর ব্যবহৃত একটি মোবাইল নম্বরের ফোন দিলে একজন নারী ফোন ধরে জানান, খেতা শাহ তার শ্বশুর এবং তিনি কোথায় আছেন তারা কিছু জানেন না। তবে একজন নারীকে নিয়ে খেতা শহা উধাও হয়েছেন বলে তারাও লোকমুখে শুনেছেন।

এব্যাপারে তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের জানান, অভিযোগ পেয়েছি এবং তাদেরকে উদ্ধারের জন্য প্রক্রিয়া চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ