মঞ্চ থেকে নেমে এসে স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

  © সংগৃহীত

বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দীন আহমেদ এবং আব্দুল জলিলের প্রতি অনন্য সম্মান দেখিয়ে মঞ্চ থেকে নেমে এসে তাদের হাতে স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এবারর স্বাধীনতার পুরস্কারজয়ী এবং তাদের প্রতিনিধিদের হাতে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এই বেসামরিক পুরস্কার তুলে দেন সরকারপ্রধান।

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিতে ৯ জন ব্যক্তি এবং দুই প্রতিষ্ঠান ২০২২ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছে।

এবারের পুরস্কারজয়ী ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনই মরণোত্তর এ সম্মাননা পেলেন। তাদের পক্ষে তাদের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিতে।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী, শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা (বীর বিক্রম) ছাড়াও মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস এবং সিরাজুল হক মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন।

একই ক্যাটাগরিতে এ সম্মাননা পেয়েছেন আব্দুল জলিল ও সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে নিজে নেমে আসনে প্রধানমন্ত্রী। 

তিনি বলেন, আসলে করোনাভাইরাসের সময় তো এক রকম বন্দিখানায় ছিলাম। আজকে আমার ইচ্ছে ছিল এখানে এসে নিজের হাতে... স্বাধীনতা পুরস্কার এটাতো একবার দিতে পারিনি। কিন্তু বার বার তো এভাবে নিজেকে বঞ্চিত করতে পারি না।

“আমি মনে করি যে এটা আমার জন্য অনেক সম্মানের, অন্তত পুরস্কারটা হাতে তুলে দিতে পারছি।”

চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এবং অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলাম এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন। আর স্থাপত্যে স্থপতি সৈয়দ মইনুল হোসেনকে মরণোত্তর এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া গবেষণা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকার স্বীকৃতিতে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং মুজিববর্ষে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ সফলভাবে শেষ করায় বিদ্যুৎ বিভাগ এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছে।

গত ১৫ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ১০ ব্যক্তি এবং একটি প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করেছিল, সেখানে সাহিত্যে প্রয়াত মো. আমির হামজার নাম এসেছিল।

পরে সমালোচনার মধ্যে তার নাম বাদ দিয়ে সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেখানে সাহিত্য ক্যাটাগরিতে নতুন কারও নাম না এলেও পরে মঙ্গলবার বিদ্যুৎ বিভাগের নাম যোগ করা হয় এ পুরস্কারের জন্য।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা, অসামান্য আত্মত্যাগ ও অসাধারণ অবদানের জন্য যারা চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন এবং শিক্ষা-সংস্কৃতি, শিল্প-সাহিত্য, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও জনকল্যাণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা দেশ ও সমাজকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, তাদের সম্মান জানাতে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence