অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলবে গণপরিবহণ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক  © সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ মোকাবিলায় গণপরিবহণে অর্ধেক যাত্রী নেওয়াসহ নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যেভাবে সংক্রমন বাড়ছে এটি আশঙ্কাজনক। সেই চিন্তাভাবনা করেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে গতকালই (সোমবার) মিটিং হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব সেই সভা আহ্বান করেছিলেন। আমি ছিলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিলেন। সব মন্ত্রণালয়ের সচিবরা ছিলেন। বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, এসপি, সিভিল সার্জনসহ অন্যরাও যুক্ত ছিলেন।

আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগের দাবিতে সরব শিক্ষার্থীরা, যা ভাবছে কর্তৃপক্ষ

জাহিদ মালেক বলেন, বৈঠক থেকে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ-প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বেশকিছু পরামর্শ ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আপাতত প্রাথমিক নির্দেশনা আকারে সেগুলো জানানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চূড়ান্ত চিঠি যাবে। এর আগে যে আলোচনা ও প্রস্তাবনাগুলো, সেগুলো গতকালও (সোমবার) বলেছি। মূল কথা করোনাভাইরাস ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে রুখতে হবে। সে কারণেই এ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হচ্ছে।

যেসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আসতে পারে সেগুলোর কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যানবাহনে মাস্ক ছাড়া চলাচল করা যাবে না। যদি কেউ চলাচল করে তাহলে জরিমানার মধ্যে পড়বে। বাস, ট্রেন, স্টিমার, লঞ্চ সব ক্ষেত্রেই এটি কার্যকর করা হবে। বাস এবং অন্যান্য যানবাহনে যাত্রীর সংখ্যা আসনের অর্ধেক করার প্রস্তাব করা হয়েছে। হোটেলে-রেস্টুরেন্টে মাস্ক পরে যেতে হবে। মাস্ক ছাড়া গেলে জরিমানা হবে, দোকানদারেরও জরিমানা হতে পারে।

আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের পেছনে সবচেয়ে কম ব্যয় করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

জাহিদ মালেক আরও বলেন, দোকানপাট ও শপিং মল রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এগুলো বন্ধের সময় ৮টায় এগিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য তাগাদা দেওয়া হয়েছে। রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে খেতে হলে মাস্ক পরে যেতে হবে। হয়তো খাওয়ার সময় মাস্ক খুলে খাবে, কিন্তু এরপর আবার মাস্ক পরে চলে আসতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, স্কুল-কলেজ চলবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। তবে যদি সংক্রমণ বেড়ে যায়, তাহলে চিন্তাভাবনা করা হবে যে স্কুল-কলেজ চালু রাখা যাবে কি না।


সর্বশেষ সংবাদ