তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
‘ফাইভ স্টার হোটেলে থাকা আর রোকেয়া-শামসুন নাহার হলে থাকা কি এক কথা’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:০৮ PM , আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:০৩ AM
ফেইসবুক লাইভে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রীদের প্রসঙ্গে তারা হোটেলে হোটেলে ঘুমাতেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান কেননা তার ভাষায়- ‘ফাইভ স্টার হোটেলে থাকার মজা আর রোকেয়া-শামসুন হলে থাকা কি এক কথা?’
রবিবার (৫ডিসেম্বর) ‘অনলাইনে রাজনৈতিক শিষ্টাচার নিয়ে’ শিরোনামের ওই লাইভ অনুষ্ঠানে ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রীদের নিয়ে প্রতিমন্ত্রী এইসব বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন।
ঘন্টখানেক ধরে চলা ওই লাইভে বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রীদের নিয়ে তিনি বলেছেন,‘এরা আবার জয় বাংলার কথা বলে, এরা আবার ছাত্রলীগ করছে নাকি, এরা আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ছে। এরা নাকি নেত্রী ছিলেন কোন কোন হলের। কেউ কেউ বলেন শামসুন নাহার হলের, কেউ কেউ বলেন রোকেয়া হলের। আরও বিভিন্ন হলেরও নাকি নেত্রী ছিলেন।’
‘কিন্তু রাতের বেলা তারা নিজেদের রুমে থাকতেন না। ঘুমাতেন হোটেলে হোটেলে। কারণ ফাইভ স্টার হোটেলে থাকার মজা আর রোকেয়া-শামসুন নাহার হলে থাকা কি এক কথা? -বলে শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে এমন বিস্ফোরক প্রশ্ন রেখেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ।
পড়ুন: ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রস্রাব করার টাইমও আমার নেই’
এসময় তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি এরচেয়ে বেশি বলবো না, হয়তো এটা (লাইভ শো) শেষ হওয়ার পর মিছিল শুরু হয়ে যেতে পারে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমার দলের নামধারী কিছু লোক রয়েছে তাদের নামগুলো বলবো না। ঢাবিতে পড়তেন একের পর এক প্রেম করে ছ্যাকা খেয়েছেন আর শেষে বিয়েটা যারে করছেন তার নামটাও বলবো না। সে ভদ্র মহিলা আজকে বিশাল প্রতিবাদী নারী। নারীবাদীদের নেত্রী হয়ে গেছে।’
এদিকে, লাইভ শেষে সর্ম্পূণ ভিডিওটি ওই পেজ থেকে ডিলেট করে দেওয়া হয়। তবে অনেকেই তার এসব বক্তব্য লাইভ চলাকালীন সময়ে রেকর্ড করে রাখেন। পরবর্তীতে এসব ভিডিও বিভিন্ন ইউটিউব ও ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়।
পরবর্তীতে ডা. মুরাদ হাসানের এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও।
পড়ুন: ছাত্রদল করতেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ: মির্জা ফখরুল
তারা বলেছেন, প্রতিমন্ত্রী মুরাদের মতো একজন কুরুচিপূর্ণ ও বিকৃত চরিত্রের লোক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে এসব মন্তব্য করে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির চূড়ান্ত স্থলনের উদাহরণ দেখালো মাত্র। অনেকে আবার তিনি (প্রতিমন্ত্রী মুরাদ) সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় পদে থাকার যোগ্য নন বলেও মনে করেন।
পড়ুন: প্রতিমন্ত্রী মুরাদকে পদত্যাগের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর রাতে ‘অসুস্থ খালেদা, বিকৃত বিএনপির নেতাকর্মী’ শিরোনামে একই পেজ থেকে লাইভে যুক্ত হয়ে তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে ‘অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ হাসান।