অপরিকল্পিত ছুটির পদক্ষেপ দেখে হতাশ সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা

করোনার কারণে আরও এক দফায় বেড়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি
করোনার কারণে আরও এক দফায় বেড়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি  © ফাইল ফটো

করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে তিন কোটি ৬০ লাখ শিক্ষার্থী চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে। এ সময়ে দূরশিক্ষণ ও অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু থাকলেও তা কার্যকর ফল বয়ে নিয়ে আসতে পারেনি। এছাড়া একের পর শিক্ষা নিয়ে অপরিকল্পিত ঘোষণা আসছে বলে মনে করছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। এতে হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা।

এ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ছুটি বৃদ্ধির জন্য অপরিকল্পিত পদক্ষেপ দেখতে দেখতে ক্লান্ত। একইসঙ্গে হতাশ হয়ে গিয়েছি। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার আলোকে এখান থেকে বের হওয়ার পথ খুজতে হবে।’

বিভিন্ন সূত্র বলছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ঝরে পড়া, বাল্যবিয়ে ও শিশুশ্রম বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে এক শিক্ষাবর্ষ হারিয়ে গেছে। আরও একটির অর্ধেক চলে গেছে। এতে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

গবেষণা মতে, শিক্ষার্থীদের বড় অংশ আর ক্লাসে ফিরবে না। তাদের কেউ শিশুশ্রমে, কেউবা বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। অনেক অভিভাবকের অভিযোগ, সন্তানেরা মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। তাদের এ অবস্থায় থেকে ফিরিয়ে আনা অনেক কঠিন হবে বলে মত অনেকের।

এরমধ্যেই গত মাসের ঘোষণা অনুযায়ী, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন ১৩ জুন খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সংবাদ সম্মেলনের দিন গত ২৬ মে করোনা শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ১১ শতাংশ। কিন্তু পরে সংক্রমণ বেড়েছে। গত শুক্রবার শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর শনিবার বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে করোনার সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে না নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যাবে না।


সর্বশেষ সংবাদ