বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবই প্রথম এই মাটির সন্তান: প্রধানমন্ত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২১, ০৯:৩২ PM , আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২১, ০৯:৩২ PM
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বঙ্গ বলেন বা পূর্ববঙ্গ বলেন, কিংবা পাকিস্তান আমলে সেই পূর্ব পাকিস্তানই বলেন, এ দেশের শাসনভার কিন্তু এই ভূমিপুত্র বা ভূমির সন্তান একমাত্র শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবই প্রথম এই মাটির সন্তান, যিনি এই দেশকে স্বাধীন করেছেন। এ দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন এবং এরপর প্রধানমন্ত্রিত্ব পান। যার কারণে এ দেশের মানুষের প্রতি সব সময় তাঁর একটি আলাদা ভালোবাসা ছিল। একটা দায়িত্ববোধ ছিল। তিনি সৌভাগ্যবান ছিলেন যে তাঁর পিতামাতা সব সময় পাশে ছিলেন। তাকে সহযোগিতা করেছেন।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার তৃতীয় দিনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, রেসকোর্সের ঐতিহাসিক বক্তব্য ও ভাষা আন্দোলনে তার নেতৃত্বের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। তার ভাষণ প্রচারে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা ছিল। সবাইকে ধন্যবাদ জানাই, সবার সহযোগিতায় আজকে আমরা সেই সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে পারছি। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করতে পেরেছি। আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, আসুন আমরা জাতির পিতার ১০১তম জন্মবার্ষিকী আর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা সেই প্রতিজ্ঞাই নেই জাতির পিতা যে স্বপ্ন রেখে গেছেন সেই স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করবো। বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সোনার বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান সবদিক থেকে বাংলাদেশের মানুষ যেন উন্নত সমৃদ্ধ জীবন পায় যেটা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল, যা তিনি সব সময়ই বলতেন। তার জীবনের স্বপ্ন ছিল এদেশের মানুষ উন্নত জীবন পাবে, ক্ষুধা, দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাবে।
বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসেকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে বন্ধুপ্রতিম শ্রীলঙ্কার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এই উদযাপনকে মহিমান্বিত করেছেন।’ এ সময় তিনি অনুষ্ঠানে বার্তা পাঠানোর জন্য রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানান। এছাড়া যেসব বিশ্বনেতৃবৃন্দ বার্তা পাঠিয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের সকলের বার্তা আমাদের অনুষ্ঠানকে মহিমান্বিত করেছে। তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্কের দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে।
শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেশ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ইস্যুতে একই ধরনের মনোভাব পোষণ করে এবং আমরা পরস্পরকে সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে থাকি। প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে বাংলাদেশের একজন অকৃত্রিম বন্ধু এবং তিনি সব সময়ই বাংলাদেশের পাশে অবস্থান করেন। আমিও চেষ্টা করি সেই বন্ধুত্বের প্রতিদান দিতে।’