সায়মা ওয়াজেদের উদ্যোগে প্রতিবন্ধীরা অন্ধকার থেকে আলোতে: তথ্যমন্ত্রী

  © সংগৃহীত

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'আমাদের দেশে আগে প্রতিবন্ধীদের লুকিয়ে রাখা হতো। কিন্তু এখন বাবা-মা তাদের প্রতিবন্ধী সন্তানদের শিক্ষিত করে স্বাবলম্বী করার কথা ভাবেন। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদের বিশেষ উদ্যোগেই আজ প্রতিবন্ধীদের জন্য দেশে নানা কার্যক্রম গৃহীত হয়েছে। বিভিন্ন খাতে তারা ভাতা পাচ্ছেন, বিভিন্ন বিষয়ে পুরস্কার পাচ্ছেন, অন্ধকার থেকে আলোতে আসছেন।'

রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে আজ শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) কৃষি, প্রতিবন্ধিতা ও করোনা বিষয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দ্য লেপ্রসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, ইকো কো-অপারেশন, নরেক এবং বাংলাদেশ কৃষক লীগ পরিচালিত দু'টি গবেষণার ফল উপস্থাপন ও কৃষি সাংবাদিকতায় সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রতিবন্ধী কৃষকদের শারিরীক প্রতিবন্ধিতা জয় করে কৃষিতে অবদান রাখাকে অনুকরণীয় উল্লেখ করে ড. হাছান তাদেরকে অভিনন্দন জানান। এ নিয়ে যারা সংবাদ করেছেন এবং যারা সাংবাদিকদেরকেও সম্মাননা দিয়েছেন তাদের সকলেকে সাধুবাদ জানান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ দশকে জনসংখ্যা আড়াই গুন হয়েছে আর প্রতি বছর দুই লাখ একর কৃষি জমি কমলেও কৃষি উৎপাদন বেড়েছে, যা বর্তমান সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের কারণেই সম্ভবপর হয়েছে। কৃষিজমি যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নগরকৃষি এবং ছাদকৃষির ওপরও জোর দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ সেবা বিভাগের পরিচালক মাহফুজ হোসেন মৃধা, ইকো-কোঅপারেশনের হেড অব প্রোগ্রামস্ মো. আবুল কালাম আজাদ এবং দি লেপ্রসি মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর সলোমন সুমন হালদার বক্তব্য রাখেন।

সম্প্রতি পরিচালিত গবেষণার বরাত দিয়ে তারা জানান, দেশের শতকরা ৮৬ জন শারীরিক ও কুষ্ঠ প্রতিবন্ধী মানুষ প্রত্যক্ষভাবে কৃষির সঙ্গে জড়িত এবং করোনা মহামারির সময়ে দেশের ৮৮ শতাংশ প্রতিবন্ধী মানুষের আয় কমে গেছে ও পারিবারিক ব্যয় সংকোচনের জন্য এ সময়ে ২২ শতাংশ প্রতিবন্ধী মানুষ তাদের কন্যা সন্তানের বিয়ে দিয়েছেন। ‘বাংলাদেশে কৃষিতে প্রতিবন্ধী মানুষের ভূমিকা’ এবং ‘প্রতিবন্ধী মানুষের জীবন-জীবিকায় কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব’ সম্পর্কিত দুইটি পৃথক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

কৃষিতে প্রতিবন্ধী মানুষের অবদানভিত্তিক সংবাদের জন্য দ্য লেপ্রসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল-বাংলাদেশ এর পক্ষে সাংবাদিকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।

আমাদের সময় পত্রিকার এম এইচ রবিন, দেশ রূপান্তরের মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নিজামুল হক বিপুল, ভোরের কাগজের শেখ মাহতাব হোসেন, বিজয় বাংলাদেশ এর মীর খায়রুল আলম এবং ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক রতন মালো সংবাদপত্র বিভাগে এবং চ্যানেল-২৪ এর হাসনাত রাব্বী, বাংলাদেশ টেলিভিশনের আফরিন জাহান, ডিবিসি টেলিভিশনের তাহসিনা সাদিক, যমুনা টেলিভিশনের রামিজ আহসান ও জিটিভি’র ফেরদৌস আরেফিন টেলিভিশন বিভাগে পুরস্কার পান।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence