আপাতত আমরা কারো নেতৃত্বে কোনো জোটে যাচ্ছি না: নুরুল হক নুর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৫ PM , আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৫ PM

আপাতত আমরা কারো নেতৃত্বে কোনো জোটে যাচ্ছি না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, সমমনা জোট যারা আমাদের নেতৃত্বে পরিবর্তনের জন্য কাজ করবে তাদের নিয়ে একটা জোট হতে পারে কিন্তু আপাতত আমরা কোন জটিল যাচ্ছি না, এটা পরিষ্কার। ছাত্ররা আমাদের অনুজ, অনেকে আমাদের সহকর্মী ছিল, তারা একটা দল করতে চাচ্ছে। তাদের জন্য আমাদের শুভকামনা থাকবে, তাদের সাথে জোট করার সেরকম কোন আলোচনায় হয়নি। কারণ তারা এখন পর্যন্ত দলই করেনি।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এসব কথা বলেন।
প্রবাসীদের ভোটাধিকারের ব্যাপারে নুরুল হক নুর বলেন, অনেকদিন থেকে প্রবাসীদের একটা জোরালো দাবি ছিল, তারা বাইরে থেকে দেশের জন্য টাকা পাঠায়, কিন্তু তারা সেরকম দেশের সুযোগ-সুবিধা ঐ অর্থে ভোগ করে না। তাদের ভোটের অধিকারটা দেয়া। আগামী নির্বাচনে তাদের ভোটার থেকে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য নির্বাচন কি কি কাজ করছে সেটাই আমরা জানার চেষ্টা করেছি, তারা জানিয়েছেন সেটা নিয়ে কাজ করছেন।
নুর বলেন, নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটা দক্ষ এবং পেশাদার প্রশাসন লাগবে। আপনারা জানেন যে, বিগত ১৬ বছরে প্রশাসনকে যেভাবে দলীয়করণ করেছে। ভোট কারচুপি এবং অনিয়মে অভ্যস্ত করেছে, সেক্ষেত্রে এই প্রশাসনকে দিয়ে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াটা দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।
তিনি আরও বলেন, আগে ছিল সবাই আওয়ামী আদর্শের, আর এখন তো সবাই কেউ গণঅধিকার পরিষদের লোক, কেউ বিএনপি, কেউ জাময়াতের লোক, কেউ ছাত্রদের প্রতিনিধি। কাজেই এখনকার প্রশাসনেও যদি রাজনৈতিক এমন মনোভাব থাকে, এটার একটা প্রভাব নির্বাচনে পড়বে। নির্বাচন কমিশন কে আমরা স্পষ্ট জানিয়েছি, নির্বাচনে যারা কাজ করবেন প্রিজাইডিং অফিসার থেকে শুরু করে অন্যান্য যারা কাজ করবেন তারা যেন জড়িত না থাকে, সেটি যেন আগে ভাগেই একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে নিশ্চিত করা হয়।
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের ব্যাপারে তিনি বলেন, কমিশনকে আমরা জানিয়েছি, নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে যেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়। একই সাথে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের যেন রাজনীতি নিষিদ্ধ করে, রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে অটোমেটিক নিবন্ধন বাতিল হবে।
এর আগে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে রাশেদ খান সহ ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাথে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন, নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, বেগম তাহমিদা আহমদ, আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত নভেম্বরে অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। তাদের দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় রাজনৈতিক দল হিসেবে ইসির সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দল।