অনলাইন গ্রুপের এমডি আক্তারুজ্জামানের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৮ PM , আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৮ PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি এবং অনলাইন গ্রুপের এমডি ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খাঁন মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামানের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা। আজ রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন ইসিবি চত্বরে ‘ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট মানিকদী, মাটিকাটা, ভাষানটেক এলাকার ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর’ ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের আশীর্বাদে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ইসিবি চত্বর এলাকার ত্রাস হয়ে উঠেন খাঁন মো. আক্তারুজ্জামান। তিনি একজন গুম ও খুন চক্রের গডফাদার এবং চরম প্রতারক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তার যত ভয়ংকর কার্যকলাপের ইতিবৃত্ত শুনলে অনেকেই শিহরে উঠবে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেকে দমাতে আক্তার ও তার বাহিনীর ভূমিকা ছিল লোমহর্ষক। আন্দোলনের শুরু থেকে ক্যান্টনমেন্ট ইসিবি চত্বর, মাটিকাটা ও ভাষানটেক এলাকায় আন্দোলনকারীদেরকে দমাতে তার নেতৃত্বাধীন বাহিনী ঝাপিয়ে পড়ে অসংখ্য মানুষকে আহত করে এবং তাদের হয়রানি করতে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় ৫ আগস্টের পূর্বে মামলাও করে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন মিরপুর ১৪ নম্বরে বিজয় মিছিলরত ছাত্র-জনতার ওপর নির্মমভাবে গুলি চালিয়ে একজনকে হত্যা ও বহু মানুষকে আহত করে। হত্যার শিকার মো. ফজলু নামক এক ব্যক্তির ভাই হত্যাকারীদের আসামি করে ১১ আগস্ট ভাষানটেক থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন, এই মামলায় তিনি ২২ নম্বর আসামি। এসব ঘটনায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে যৌথবাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের আর্শীবাদপুষ্ট এই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে বিগত সময়ে ব্যাংক থেকে অর্থ লুট বিদেশে পাচার, জমি দখলসহ ওই এলাকায় নানা অপকর্মের অন্যতম সহচর হিসেবে আধিপত্য বিস্তার করেছেন। এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্ত চলমান রয়েছে। কিন্তু ৫ আগস্টে ফ্যাসিবাদ সরকারের মূলোৎপাটন হলেও প্রশাসনের কিছু কর্তা ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে এখনও আক্তারুজ্জামান রয়েছে বহাল তবিয়তে।
আক্তারুজ্জামানের আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রতারণা, অবৈধ উপায়ে অর্জিত হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার এবং ক্যান্টনমেন্ট মানিকদি, মাটিকাটা ও ভাষানটেক এলাকার নিরীহ মানুষের ভিটে মাটি জবর-দখল এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও গুম খুনের বিরুদ্ধে মানববন্ধনে তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে আক্তারুজ্জামানকে আটক করেছে র্যাব ও পুলিশের যৌথ দল। পুলিশ জানায় তার বিরুদ্ধে ছাত্র–জনতাকে হত্যার অভিযোগে ঢাকার ভাষানটেক ও বনানী থানায় দুটি হত্যা মামলা রয়েছে।
এছাড়া ক্যান্টনমেন্ট থানায় ছাত্র–জনতার ওপর গুলি ছোড়ার অভিযোগে আরেকটি মামলা রয়েছে। এর আগে তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে একাধিক অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগীরা।