সরকারি ওয়েবসাইটে এখনও শেখ হাসিনার হাসিমাখা মুখের ছবি

প্রকৌশলী ও মৎস্য দপ্তরের ওয়েবসাইটে এখনো দেখা যাচ্ছে শেখ হাসিনা
প্রকৌশলী ও মৎস্য দপ্তরের ওয়েবসাইটে এখনো দেখা যাচ্ছে শেখ হাসিনা  © টিডিসি সম্পাদিত

সরকার পরিবর্তনের পরও বরগুনার তালতলী উপজেলা প্রকৌশলী ও মৎস্য দপ্তরের ওয়েবসাইটে এখনো দেখা যাচ্ছে শেখ হাসিনার হাসিমাখা জনসমাবেশের ছবি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিএনপি, জামায়াত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সরকারি তথ্য বাতায়ন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে গত সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দেখা যায়, কভার ফটোতে এখনো রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। অথচ গত ৫ আগস্টের পর সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান থেকে আওয়ামী আমলের সব ছবি সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তালতলী উপজেলা মৎস্য অফিস ও এলজিইডি অফিসের ওয়েবসাইটে সেই ছবি এখনো বহাল থাকায় প্রশ্ন উঠেছে।

তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন স্বীকার করেছেন, তথ্য বাতায়ন আপডেটের বিষয়ে তারা খোঁজ নেননি। 

তবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন জানান, বিষয়টি জানার পরপরই ওয়েবসাইট থেকে শেখ হাসিনার ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

এদিকে, উপজেলা প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেনের ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলেও এখনো শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার বিভিন্ন ছবি রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওয়েবসাইট আপডেট করা হয়নি, তবে সরকারিভাবে এসব ছবি সরানোর কোনো নির্দেশনা আসেনি। আর আমার ব্যক্তিগত ফেসবুকে থাকা ছবি সরকার পতনের আগের ছবি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা বলেন, চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি উপজেলার সব দপ্তরকে তথ্য বাতায়নসহ অফিস ওয়েবসাইট আপডেট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটিও করা হয়। তারপরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কেন গাফিলতি করল, সেটাই এখন প্রশ্ন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান (এনডিসি) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, সকল দপ্তরের ছবি পরিবর্তন একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া, যা দৈনন্দিন রুটিনের অংশ। এটি অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। যেসব দপ্তর এখনো ছবি পরিবর্তন করেনি, আমরা দ্রুত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলবো।

প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সরকারি ওয়েবসাইটে অপসারিত চেয়ারম্যান ও জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থী হত্যার আসামি একে এম সালাহ উদ্দিন টিপুর তথ্য দেখা যায়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করলে প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে তথ্যটি সরিয়ে নেয়।


সর্বশেষ সংবাদ