হাসিনার পররাষ্ট্রনীতি এখন আর নেই, ভারতের উদ্দেশ্যে মুশফিকুল ফজল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১০ AM , আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১০ AM
বাংলাদেশ-ভারত ইস্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাম্বাসেডর অ্যাটলার্জ মুশফিকুল ফজল আনসারী ভারতকে স্মরণ করিয়ে দিলেন—এখন আর শেখ হাসিনার পররাষ্ট্রনীতি নেই। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রনীতি ও ভারত ইস্যুতে কথা বলেছেন এই অ্যাম্বাসেডর।
মুশফিক লিখেন, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি এখন স্বচ্ছতা, পারস্পরিক আস্থা, ও সম্মানের নীতির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এটি এমন একটি নীতি যা জোরালো এবং সরাসরি কথা বলে, অস্পষ্টতার জন্য কোন জায়গা নেই’।
ঐতিহাসিক ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে পতন হয় আওয়ামী সরকারের। এরপর থেকে পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তনের আভাস দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে কয়েকবার প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করে ঢাকা। বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা এটি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে গণঅভ্যুত্থানে শরিক প্রতিটি রাজনৈতিক দল এবং ছাত্রসংগঠনগুলো চায়, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতে। গত কয়েকদিনে ভারতের বিরুদ্ধে যেভাবে জবাব দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, এমন মর্যাদাবান অবস্থান এর আগে কখনো দেখাতে পারেনি আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী।
মুশফিকুল আরও লিখেন ‘সার্বভৌমত্ব এবং আত্মনির্ভরশীলতার মূলে থাকা, বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত গ্রহণের তৃতীয় পক্ষের সাহায্য ছাড়াই নিজস্ব বৈদেশিক বিষয়গুলো পরিচালনা করার সাহস এবং ক্ষমতা উভয়ই রাখে। পূর্ববর্তী হাসিনা নেতৃত্বাধীন স্বৈরাচারী শাসনামলে এটি কারো অধীন ছিল’।
জাতীয় স্বার্থরক্ষায় বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের ভিন্ন কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে বলছেন মুশফিকুল ফজল আনসারী। বাংলাদেশ তার বর্তমান অবস্থান ধরে রাখতে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম বলেও মনে করেন তিনি।
মুশফিক আরও লিখেন, ‘বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গি আরও দৃঢ় এবং আত্ম-নিশ্চিত কূটনৈতিক অবস্থানের দিকে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়, যাতে নিশ্চিত করা হয় যে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে এবং বিশ্ব মঞ্চে এর কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে। এটি সমতার উপর নির্মিত একটি নীতি, জবরদস্তি নয়, অংশীদারিত্বকে উৎসাহিত করে যা ভারসাম্যপূর্ণ এবং ন্যায়সংগত’।
‘বাংলাদেশ আত্মবিশ্বাস ও স্বাধীনতার সাথে জটিল বৈশ্বিক গতিশীলতার সঙ্গে পথ চলতে প্রস্তুত এবং সক্ষম, প্রতিটি কর্মকাণ্ডে তার মর্যাদা ও নীতি সমুন্নত রাখবে’।