চাকরির আবেদন ফি না কমালে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি ছাত্র অধিকার পরিষদের
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৩ PM , আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ PM
সরকারি চাকরির আবেদন ফি কমিয়ে সর্বোচ্চ ২০০ টাকাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। অবিলম্বে এসব দাবি মেনে নেওয়া না হলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।
বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, সরকারের দায়িত্ব বেকারত্ব দূর করা। ক্ষমতায় আসার আগে সব সরকার বেকারত্বের জন্য অনেক কিছু করার প্রতিশ্রুতি দেন কিন্তু যখন তারা সরকারে চলে আসে তখন তারা তাদের সেই প্রতিশ্রুতি ভুলে যান। এবারের এই সরকারে উপদেষ্টাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছাত্র উপদেষ্টা রয়েছেন। আশা করব, তারা এটি ভুলে যাবেন না। ১৯ নভেম্বর সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, চাকরিতে আবেদনের ফি এর বিষয়ে অ্যাসেসমেন্ট চলছে। কেন এতো সময় নিয়ে অ্যাসেসমেন্ট করা প্রয়োজন? এ অ্যাসেসমেন্ট তো অনেক আগেই করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অর্ডিন্যান্স জারি করে চাকরিতে আবেদনের ফি যেন ন্যূনতম ২০০ টাকা করা হয়। সামনে ৪৭ তম বিসিএস পরীক্ষা, ফের ৭০০ টাকা দিয়ে আবেদন করতে হবে চাকরি প্রত্যাশী। আমরা সরকারকে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিচ্ছি যেন অবিলম্বে সরকার যদি তড়িৎ গতিতে এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়। যদি এ বিষয়ে কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেওয়া হয় প্রয়োজনে আমরা কিন্তু আন্দোলনে যাব।
পিএসসির চেয়ারম্যানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এ ছাত্রনেতা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগের যে স্থবিরতা রয়েছে সেগুলো যেন অতি দ্রুত কাটিয়ে ওঠা হয়। এখনও পিএসসিতে আওয়ামী আমলের দোসর রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও যেন তড়িৎ গতিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, ঢাবি শাখার আহ্বায়ক মো. সানাউল্লাহ হক, সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে ৪ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। সেগুলো হলো—
১. চাকরির আবেদন ফি কমিয়ে সর্বোচ্চ ২০০ টাকার মধ্যে করা।
২. প্রিলি পরীক্ষার কাটমার্কস প্রকাশ করা। প্রিলিমিনারি, রিটেন এবং ভাইবার নাম্বার পত্র আলাদাভাবে প্রকাশ ও প্রিলির একসেট উত্তর প্রকাশ করা।
৩. বিসিএস সর্বোচ্চ এক বছর আর অন্যান্য চাকরিতে সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা।
৪. পিএসসি থেকে ফ্যাসিবাদের দোসর ও দুর্নীতিবাজদের অপসারণ করা।