গুলশানের মতো আবাসিক এলাকায় সম্পত্তি বিক্রেতা বাড়ার কারণ কি?

গুলশান আবাসিক এরিয়া
গুলশান আবাসিক এরিয়া  © সংগৃহীত

দেশের জাতীয় দৈনিক বণিক বার্তায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এলাকা সমূহে সম্পত্তি বিক্রেতা বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে আজ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গুলশানের ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট, আবাসিক প্লট, দোকানসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক স্থাপনা বিক্রির বিজ্ঞাপন সম্পত্তি কেনাবেচার ওয়েবসাইটে দেয়া হলেও ক্রেতাদের তেমন সাড়া মিলছে না।

কেবল গুলশান নয়; অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারাসহ ঢাকার বেশিরভাগ এলাকায় সম্পত্তির বাজারে মন্দা ভাব বিরাজ করছে বর্তমানে। বিদ্যমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণেই এমনটা হয়েছে। বেচাকেনা ৪০-৫০ শতাংশ কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ওয়েবসাইটের কর্মকর্তারা।

আবাসন খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমন অনেক বিক্রেতা রয়েছেন, যারা ওয়েবসাইটে কিংবা গণমাধ্যমে সম্পত্তির বিজ্ঞাপন দিতে চান না। গোপনে বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে তারা নিজেদের সম্পদ বিক্রি করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।সাম্প্রতিক সময়ে গুলশানে এ ধরনের বিক্রেতা বেড়ে গেছে। অথচ কয়েক মাস আগেও বিপুল অর্থ ছড়িয়েও অভিজাত এ এলাকায় সম্পত্তি পাওয়া যেত না।

আবার কারো কারো মতে, মানুষের জীবনযাত্রার মানে বড় ধরনের একটা বিপর্যয় এসেছে। যার ক্রয়ক্ষমতা আছে তিনিও চিন্তা করছেন, এখন প্রপার্টি কিনে আবার কোনো ঝামেলায় পড়তে হবে কি না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গুলশানে ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট, আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্লট, দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনার মালিকদের একটি বড় অংশই আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিক, ব্যবসায়ীসহ প্রভাবশালী ব্যক্তি।

সরকার পতনের পর তাদের অনেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন। বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে নিজেদের সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাই গুলশানের মতো অভিজাত এলাকায় ক্রেতার চেয়ে এখন বিক্রেতার সংখ্যাই বেশি।


সর্বশেষ সংবাদ