মাইকে ঘোষণা দিয়ে অগ্নিসংযোগ-লুটপাট

ছবি
ছবি  © সংগৃহীত

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের আবদুল্লাহপুর গ্রামে মাইকে ঘোষণা দিয়ে রসুম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে রসুম উদ্দিন ও তার স্বজনদের ২০টি ঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নান্দাইল মডেল  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ।

পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসময় লুটপাট করা হয়েছে ৩৫টি গরু, পুকুরের মাছ, ৫০০ মণ ধানসহ বসতঘরে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র।

ক্ষতিগ্রস্ত রসুম উদ্দিনের বলেন, ২০২১ সালে একটি খুনের ঘটনার জেরে প্রতিবেশী মৃত আছাম উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান ও জিয়া উদ্দিনের নেতৃত্বে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে।

অন্যদিকে একই গ্রামের হাবিবুর রহমান বলেন, রসুম উদ্দিন ও তার ছেলেরা গরু চোর। এলাকায় এটা চোরের বাড়ি হিসেবে পরিচিত। এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ও ক্ষুব্ধ হয়ে ৪-৫ গ্রামের লোকজন মিলে বাড়ি-ঘরে হামলা করেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, অগ্নিসংযোগ করার আগে বাড়িতে থাকা লোকজনদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। অনেকেই হামলাকারীদের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ সময় রসুম উদ্দিন এবং তার ৫ ছেলে মতিবুর রহমান, আতাবুর রহমান, সুমন মিয়া, মানিক মিয়া ও সোহেল মিয়ার বাড়ি-ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। 

জানা যায়, মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকালে মানিক মিয়ার গোয়াল ঘরের পেছনে একটি গরু পাওয়া যায়। ওই গরুটি ‘চোরাই গরু’ বলে এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়ে। ইতোমধ্যে সংগ্রামখালী বাজারে মাইকিং করে গরু চুরির ঘটনাটি প্রচার করে দেয়। এর পরপরই রসুম উদ্দিনের বাড়িঘরে হামলা চালায় আশপাশের কয়েকটি গ্রামের লোকজন। 

আরও পড়ুন: টিএসসিতে গণত্রাণ কর্মসূচির পূর্ণাঙ্গ অডিট প্রকাশ

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) আফরোজা নাজনীন গণমাধ্যমকে বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নান্দাইল মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বুধবার (২ অক্টোবর) থানায় মামলা দায়ের করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ