ছাত্র পরিচয় দিতেই পেটালেন আনসার সদস্যরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৮ AM , আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৮ AM
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ছাত্র পরিচয় দেওয়ার পর আনসার সদস্যরা এক তরুণকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনজন আনসার সদস্য মিলে ওই ছাত্রকে মারধর করেন। সোমবার দুপুরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
আনসার সদস্যদের হাতে মারধরের শিকার হয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী একলাস আলী হাসপাতাল পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ ঘটনায় উজ্জ্বল হোসেন নামের এক আনসার সদস্যকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আরও দুজন আনসার সদস্যের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এফ এম শামীম আহম্মেদ।
একলাস আলী রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে।
অভিযোগে তিনি বলেন, ‘তার মামা আমিরুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ২০ জুলাই মামাকে ওয়ার্ড থেকে অপারেশন থিয়েটারে নিতে হয়। এ জন্য আনসার সদস্যদের কাছে থাকা হাসপাতালেরই একটি ট্রলি নিয়ে যান। নির্ধারিত সময়ের বেশিক্ষণ ট্রলি রাখার কারণে একলাসের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেন তারা।’
সোমবার আমিরুল ইসলামকে অন্য আরেকটি ওয়ার্ডে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত দেন চিকিৎসকরা। তাই ওয়ার্ডের নার্সরা একলাসকে ট্রলি আনতে বলেন। তখন একলাস অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কথা নার্সদের জানান। এ সময় যে আনসার সদস্য অতিরিক্ত টাকা নিয়েছেন, তার ছবি তুলে আনার পরামর্শ দেন দায়িত্বরত নার্স। দুপুরে একলাস আনসার স্টেশনে গিয়ে ওই আনসার সদস্যের ছবি তুলছিলেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে আনসার সদস্যরা তাকে ধরেন এবং মোবাইল জব্দ করে ছবি ডিলিট করে ফেলেন।’
অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘আনসার সদস্যরা একলাসের পরিচয় জানতে চান। তিনি ছাত্র পরিচয় দেন। এই পরিচয় জানার পরই আনসার সদস্যরা ছাত্রদের কটাক্ষ করে অশ্লীল ভাষায় গালি দেন। পরে তিন আনসার সদস্য তাকে মারধর করেন। পরে এক সহকারী প্লাটুন কমান্ডার একলাসকে রক্ষা করেন। বিষয়টি নিয়ে আর বাড়াবাড়ি না করার কথা বলে তাকে।’
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এফ এম শামীম আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। যে আনসার সদস্য খুবই এগ্রেসিভ ছিল, তাকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা আনসারের প্লাটুন কমান্ডারকে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আরও দুজন আনসার সদস্যের ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করে দেব। প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’