রেমিট্যান্স আনার জন্য ইন্টারনেট চালু করেছিল বিদায়ী সরকার

জুনাইদ আহমেদ পলক
জুনাইদ আহমেদ পলক  © টিডিসি ফটো

শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে সদ্য বিদায়ী শেখ হাসিনা সরকার গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়। পাঁচ দিন পর গত ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফেরে। আর ১০ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়। 

তবে সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া সাবেক ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আলাপচারিতার একটি ডকুমেন্ট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দেশে মাত্রাতিরক্ত রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ায় মূলত পুনরায় ইন্টারনেট চালুর উদ্যোগ নেয় হাসিনা সরকার। যদিও ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়টি অস্বীকার করে বেশ কয়েকবার অবস্থান পরিবর্তন করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলক।

ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়টি নিয়ে সরকারের কোন পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিয়ে হাসিনা সরকারের সাবেক ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তখন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘মহাখালীতে দুর্বৃত্তদের আগুনে ডেটা সেন্টার পুড়ে গেছে। সেটা ঠিক করার কাজ চলছে। কবে নাগাদ ইন্টারনেট সেবা চালু হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।’

সম্প্রতি প্রকাশিত গত ২৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সাথে সাবেক ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে কথোপকথন সংক্রান্ত মোবাইল মনিটরিংয়ের একটি ডকুমেন্টে রেমিট্যান্স বাড়ানোর জন্য ইন্টারনেট ফেরানোর বিষয়টি উঠে আসে। গত ২৮ জুলাই সকাল সাড়ে ১০ টায় তাদের আলাপচারিতার বিষয়টি রেকর্ড করা হয়। 

আলাপচারিতার এক পর্যায়ে প্রতিমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তোফাজ্জল হোসেনকে বলতে দেখা যায়, ‘রেমিট্যান্স তো মারাত্মকভাবে কমে গেছে এজন্য ইন্টারনেট চালু করার দরকার। আপনি উপদেষ্টা মহোদয়ের সাথে কথা বলেছেন?’ জবাবে পলক জানান, ‘পিএম এর ফাইনাল সিগনাল পেলে আমি ইন্টারনেট চালু করে দিবো, কিন্তু ফেইবুক, টিকটক এগুলো বন্ধ রাখবো।’

পলক আরও বলেন, ‘একটা একটা করে ওপেন করা জটিল। মোবাইলে ৪জি ওপেন করে ৪টা অ্যাপ ব্লক করে রাখি। তাছাড়া আর উপায় নেই। ১০ দিন পার হয়ে গেছে তো আর দেরি করা ঠিক হবে না। এখন এটাকে ব্যালেন্স করতে হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি মোবাইলের ফোরজি আজকে ওপেন করা দরকার, যতো দ্রুত সম্ভব। কিন্তু এখন প্রধানমন্ত্রীর একটা অনুমতি লাগবে। আর উনি যদি নো বলে এবং বলে Just you take your decision. you face all the challenges. আমি তাতেও রাজি আছি। I will not mention about her guidance.’


সর্বশেষ সংবাদ