ডিবিকে আস্থার জায়গায় পরিণত করেছি: হারুন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২৪, ০৮:০৫ PM , আপডেট: ০১ আগস্ট ২০২৪, ০৮:০৫ PM
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ও সদ্য বিদায়ী গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, আমি তিন বছর তিন মাস ডিবিতে কাজ করেছি। আপনারা সব সময় আমার পাশে ছিলেন। আমি চেষ্টা করেছি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ মেনে ডিবিকে সাধারণ মানুষের আস্থার দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া।
আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় সোয়া ৬টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপির গোয়েন্দা কার্যালয়ের সামনে ডিবি থেকে বদলি উপলক্ষে বিদায়ী বক্তব্যে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, চাকরির তিন বছর তিন মাস চাকরিকালীন সময়ে আমি সাধারণ মানুষের কাছে ডিবিকে একটা আস্থার জায়গায় পরিণত করেছি। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ তথা বিশ্বের মানুষ জানে কারো কোনো সমস্যা হলে ডিবিতে গেলে প্রবলেম সলভ হতে পারে। এই মনে করে অসংখ্য মানুষ আমাদের কাছে আসছে। আমরা চেষ্টাও করেছি তাদের কাজটা সুন্দরভাবে করে দেওয়ার। যার কারণে সাধারণ মানুষ ডিবির নামটা জানে। আমি চেষ্টা করেছি ডিবিকে একটা আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে।
তিনি আরও বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে আরেকটি জায়গায় পদায়ন করেছে। ডিএমপিতে বিস্তৃত পরিসরে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। মানুষের সব শেষ ভরসাস্থলের জায়গা থানা। থানা যেন মানুষকে সেবা দিতে পারে সেই লক্ষ্যে আমি চেষ্টা করবো সাধারণ মানুষ থানায় আসে এবং সেবাটা পায়। যেকোনো ঘটনায় থানায় গিয়ে জিডি-মামলা করতে পারে। আমি চেষ্টা করবো থানাকে সাধারণ মানুষের আস্থায় নিয়ে যেতে।
হারুন অর রশীদ বলেন, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নাশকতা-সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। কেউ যদি নির্দোষ প্রমাণিত হয় তাদের গ্রেপ্তার করা হবে না। যারা ঘটনার সঙ্গে প্রকৃতপক্ষে জড়িত, যারা আগুন লাগিয়েছে, মেট্রোরেলে ভাঙচুর-অগ্নিকাণ্ড করেছে, রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি ভবনে আগুন লাগিয়েছে, পুলিশ সদস্যকে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে এসব ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, ডিবিতে থাকাকালীন সময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। মতিঝিলে আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে এমপি আনার হত্যার মামলাসহ অসংখ্য খুনের ঘটনায় নির্ভুলভাবে তদন্ত করে সাক্ষ্যপ্রমাণ নিয়ে মামলার ক্লু বের করেছি। আমরা কোনো নিরীহ মানুষকে গ্রেপ্তার করিনি। আর প্রভাবশালী ব্যক্তি যত বড় ক্ষমতাসীন হোক না কেন জড়িত থাকলে তাকেও ছাড় দেয়নি।