কোটা সংস্কার আন্দোলন
আজ পদযাত্রা ও রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দেবেন শিক্ষার্থীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৩ AM , আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪২ AM
সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নতুন কর্মসূচি দিয়েছেন। সংসদে আইন পাসের দাবিতে আজ রোববার (১৪ জুলাই) বঙ্গভবন অভিমুখে গণপদযাত্রা করবেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে নিজ নিজ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গণ পদযাত্রা করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবে।
শনিবার (১৩ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। এছাড়া তাদের ক্লাস ধর্মঘটও চলমান থাকবে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘সব গ্রেডের সরকারি চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের লক্ষ্যে আগামীকাল সকাল ১১টায় গণপদযাত্রা ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি করব। কর্মসূচি শুরু হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা এই গণপদযাত্রায় অংশ নেবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরাবর গণপদযাত্রা করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দেবেন। দাবি আদায়ে যৌক্তিক ও গঠনমূলক সমাধানের জন্য যতগুলো পথ প্রয়োজন, তার সবই আমরা অবলম্বন করব।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাসনাত বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে ৫ শতাংশ কোটাকে আমরা যৌক্তিক মনে করছি৷ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটা এই ৫ শতাংশের অন্তর্ভুক্ত। আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধী নই, বিরোধিতা করছি নাতি-পুতি কোটার। তবে কোটার শতাংশ নিয়ে সরকারের গবেষণাভিত্তিক তথ্য থাকলে তা নিয়ে পরে আলোচনা হতে পারে।’
আরও পড়ুন: আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা
সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে যে ছাত্র ধর্মঘট ঘোষণা করেছি, তা চালু থাকবে। শিক্ষকরা আন্দোলন শেষে ক্লাসে ফিরে গেলেও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরব না।
সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, শিক্ষকরা যখন আন্দোলন করে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব দাপ্তরিক কাজ বন্ধ করে দিয়েছে, শিক্ষার্থীরা ক্লাসে গিয়ে বসে যায়নি। তারা শিক্ষকদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছে। এখন সময় এসেছে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে পাশে থাকার।