রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য মন কাঁদছে লন্ডনে আটকা আফ্রিদির

তাওহীদ উদ্দিন আফ্রিদি
তাওহীদ উদ্দিন আফ্রিদি  © ফাইল ছবি

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাস বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এতে অন্তত ১০৭ উপজেলার ৩৫ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদেশের মাটিতে বসে ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষগুলোর জন্য মন কাঁদছে তরুণ ইউটিউবার তাওহীদ উদ্দিন আফ্রিদির। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে তার একাধিক টিম এসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাড়িয়েছে।

এক ফেসবুক পোস্টে আফ্রিদি জানিয়েছেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে পুরো দেশ মা আজ ক্ষতিগ্রস্ত। অথচ এই দুঃসময়ে আমি আটকে আছি লন্ডনে! এত কাজের মাঝে থাকলেও মন পরে আছে দেশের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কাছেই।’

তিনি লিখেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক অসহায় মানুষের বিশ্বাস কেউ না কেউ এগিয়ে আসবে তাদের জন্য... দোয়া করবেন আমি যেনো মানুষের এই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে পারি। ইতমধ্যে আমার পুরো টিম কাজ করছে দেশের বিভিন্ন পয়েন্টে। আমিও হয়তো খুব তারাতাড়ি দেশে এসে দেশের মানুষের সেবায় নিয়োজিত হবো।

গত ২২ মে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। এ লঘুচাপ ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে প্রথমে রূপ নেয় সুস্পষ্ট লঘুচাপে। এরপর নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপ দশা পেরিয়ে শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় পরিণত হয় ঘূর্ণিঝড়ে। ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পর এর নাম হয় রেমাল। রোববার (২৬ মে) সকালে শক্তি বাড়িয়ে রেমাল পরিণত হয় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে।

গত সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, ‘‌ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দুই নারীসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন খুলনার লাল চাঁদ মোড়ল, বরিশালের জালাল সিকদার, মোকলেছ ও লোকমান হোসেন, সাতক্ষীরার শওকত মোড়ল, পটুয়াখালীর শহীদ, ভোলার জাহাঙ্গীর, মাইশা ও মনেজা খাতুন এবং চট্টগ্রামের ছাইফুল ইসলাম হৃদয়।’

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে খুলনা ও বরিশালের উপকূলীয় অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা প্রদান করছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় রেমালে খুলনা ও বরিশালসহ তৎসংলগ্ন উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং এ অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। অনেকেই নিজের শেষ সম্বল ও মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে ফেলে। 

তিনি বলেন, কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুরসহ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের অনেকেই কর্মহীন হয়ে অসহায় ও মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এছাড়াও খুলনা ও বরিশালসহ তৎসংলগ্ন উপকূলীয় অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়ে। 

 

সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence