রাখাইন রাজ্যে নতুন করে নৃশংসতা, বাংলাদেশ সীমান্তে ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা
রোহিঙ্গাদের ওপর জান্তা সেনা এবং আরাকান আর্মি উভয় পক্ষই আক্রমণ চালিয়েছে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪, ০৪:২৮ PM , আপডেট: ২৬ মে ২০২৪, ০৪:২৮ PM

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আবারও বেড়ে গিয়েছে জাতিগত সংঘর্ষ। শিরশ্ছেদ, হত্যাকাণ্ড ও ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে নানান জায়গায়, জীবনরক্ষায় আবারও আরও ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে।
জাতিসংঘ তথ্যসূত্রের বরাতে এমন খবর প্রকাশ করেছে আল জাজিরা।
সম্প্রতি মিয়ানমারের বুথিদং এবং মংদো শহর ছেড়ে পালিয়েছে আরও হাজার হাজার রোহিঙ্গা, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত দপ্তরের মুখপাত্র এলিজাবেথ থ্রসেল এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, নিরাপত্তার খোঁজে বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে নাফ নদীর পাশে এসে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা।
এর আগে ২০১৭ সালে জান্তা সরকারের অত্যাচার এড়াতে প্রথমবারের মতো মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা।
বাংলাদেশে আল জাজিরার প্রতিনিধি তানভির চৌধুরি জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে বাংলাদেশে, যার কারণে সরকার নতুন করে আর রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে রাজি নয়। ফলে সাম্প্রতিক এই শরণার্থীরা মিয়ানমার থেকে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশ আসতে পারছে না।
এদিকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপত্তা ও আশ্রয় দিতে বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার টার্ক।
মিয়ানমারে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত দপ্তরের প্রধান জেমস রডেহেভার জানিয়েছেন, রাখাইনে ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। তার দলের সংগ্রহ করা জবানবন্দি, স্যাটেলাইট ইমেজ, ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করার ছবি ও ভিডিও থেকে দেখা যায়, বুথিদং শহরটি প্রায় পুরোটাই পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই শহর থেকে জান্তা সরকারের সেনা সরে যাওয়ার পর ১৭ মে থেকে শহরটি পোড়ানো শুরু হয়। বর্তমানে তা আরাকান আর্মির দখলে।
রডেহেভার জানান, রোহিঙ্গাদের ওপর জান্তা সেনা এবং আরাকান আর্মি উভয় পক্ষই আক্রমণ চালিয়েছে। এছাড়া অন্তত চারজনের শিরশ্ছেদের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গত বছরের নভেম্বরে রাখাইন রাজ্যের আরাকান আর্মি বিদ্রোহীদের কর্মকাণ্ডের সূচনা ঘটে জান্তা সরকারের বাহিনীর ওপর হামলার মাধ্যমে। দুই পক্ষের গোলাগুলির মাঝে পড়েছে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা। বিদ্রোহীদের জানিয়েছেন, ঐ রাজ্যের আদিবাসী রাখাইন জনগণের অধিকার রক্ষায় যুদ্ধ করছে তারা।