থানচিতে কেএনএফের সঙ্গে পুলিশ-বিজিবির ব্যাপক গোলাগুলি

থানচিতে কেএনএফের সঙ্গে পুলিশ-বিজিবির ব্যাপক গোলাগুলি
থানচিতে কেএনএফের সঙ্গে পুলিশ-বিজিবির ব্যাপক গোলাগুলি  © সংগৃহীত

বান্দরবানের থানচিতে ভরদুপুরে দুটি ব্যাংকে হামলা ও ডাকাতির একদিন পর পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে পুলিশ-বিজিবির ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ১০টা পর্যন্ত এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা জানান।

তিনি জানান, “থানচি থানার দক্ষিণে এবং পূর্বে পাহাড় আছে। দক্ষিণ দিকের পাহাড় থেকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফাঁকা গুলি শুরু হয়। বাজারে আমাদের ফোর্স মোতায়েন ছিল। তারাও পাল্টা ফায়ার করেছে। থানা থেকেও ফায়ার করেছে। কিছু সময় গোলাগুলি চলার পর সব বন্ধ হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক।”

 থানচি বাজারের ২০০ থেকে ৩০০ গজের ভেতরেই রয়েছে থানচি থানা এবং একটি বিজিবি ক্যাম্প। থানচি বাজারের শেষ মাথায় রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চেকপোস্টও।

এর আগে মঙ্গল রাতে এবং বুধবার দুপুরে বান্দরবানের রুমা এবং থানচি উপজেলার কৃষি ও সোনালী ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র লোকজন। তারা টাকা লুট করে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করে, একজন ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। লুট করে বেশ কিছু অস্ত্র ও গুলি।

রুমায় সোনালী ব্যাংকে হামলা-ডাকাতি এবং ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে অপহরণের ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতে প্রথম ভাগে ঘটলেও থানচিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে হামলা হয়েছে ভরদুপুরে। দুটি ঘটনাতেই পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ এর নাম এসেছে; যারা পাহাড়ে ‘বম পার্টি’ নামে পরিচিত।

এ নিয়ে দিনভর দুই উপজেলার মানুষের ভয় আর আতঙ্কের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করে র‌্যাব। তার কিছু পরেই থানচিতে ব্যাপক গোলাগুলি ঘটনা ঘটল।

 

সর্বশেষ সংবাদ