প্রতিবছর উচ্চ মাধ্যমিক শেষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত রাজধানী ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে পাড়ি জমায় হাজার হাজার শিক্ষার্থী। উচ্চশিক্ষার আশায় এসব শিক্ষার্থীরা নিজ পরিবার ছেড়ে আসেন। এছাড়া উচ্চ মাধ্যমিকের আগেও অনেকে পরিবার ছেড়ে নতুন গন্তব্যে স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা করেন। এসব শহরগুলোতে যেসব শিক্ষার্থীদের মাথা গোঁজার ঠাঁই থাাকে না, তারাই হোস্টেল বা মেসে স্থায়ী হন।
হোস্টেল-মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা যখন নিজ পরিবার ছেড়ে ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে পাড়ি জমান তখন সেখানে তাদের অনেকের স্থায়ী হওয়ার কোনো জায়গা থাকে না। ফলে এসব শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে মেস করে থাকে। এর মধ্যে কিছু শিক্ষার্থী পরিবার থেকে টাকা এনে মেস খরচ চালান। তবে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই মেস খরচ চালান টিউশনি অথবা খণ্ডকালীন চাকরির অর্থে।
বর্তমান পরিবেশে নানান কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মত অবস্থা তৈরি হয়েছে। তবে এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য যে পরিমাণ কর্মসংস্থান প্রয়োজন ছিল সেটি এখন নেই। যার ফলে শিক্ষার্থীরা এমন অবস্থার মধ্যে পড়েছে। -সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, শিক্ষাবিদ
এদিকে, প্রতিনিয়ত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকায় প্রভাব পড়েছে এসব শিক্ষার্থীদের মেস জীবনেও। ফলে মেস ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, পানি বিল এবং খাবারের খরচে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। এমন অবস্থায় মাস শেষে হিসাব মেলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ‘মেস জীবনে’ টান পড়ায় অনেকের নতুন শহরে টিকে থেকে পড়াশোনা করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপায় না পেয়ে অনেকে খাবারের তালিকা ছোট করতে শুরু করেছেন।
দামের কারণে গরুর পর তালিকা থেকে অনেকটা বাদের পথে মুরগিও। রুই-কাতলা মাছের দামও নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় পাঙাশ, তেলাপিয়া কিংবা ছোট রুই (নলা) মাছের ওপর শেষ ভরসা করতে হচ্ছে এসব শিক্ষার্থীদের। কিন্তু এসব মাছের দামও বাড়তে থাকায় পিস ছোট করে টিকে থাকার চেষ্টা করছেন রাজধানী ঢাকায় থাকা শিক্ষার্থীরা।
ঢাকায় মেসে থাকা শিক্ষার্থীরা জানান, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় বাসার মালিকও ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে বর্তমানে একটি বড় অংকের অর্থ তাদের বাসা ভাড়ায় চলে যাচ্ছে। চাইলেই এই ব্যয় কমানো সম্ভব না। যার প্রভাব পড়েছে দৈনন্দিন খাবার তালিকায়। এ কারণে খাবারের ব্যয় কমিয়েই বাড়তি খরচ সামলানোর চেষ্টা করছেন তারা। খাবারের তালিকা আরও কীভাবে কাটছাঁট করা যায় সেই চেষ্টা করছেন তারা।
বাংলাবাজারে ৯ জন সদস্য মিলে একটি ফ্লাটে মেস করে থাকেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, চাকরি হোক কিংবা লেখাপড়া- যে কোনো প্রয়োজনেই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মানুষকে আসতে হয় ঢাকায়। পরিবারের কাছ থেকে দূরে এসে তাদের অধিকাংশেরই অস্থায়ী আবাস হয় রাজধানীর বিভিন্ন মেস। একসঙ্গে অনেকে থাকার ফলে খরচ কিছুটা কম হওয়ায় এসব ব্যাচেলর মেসে থাকেন। সম্প্রতি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মেসে থাকা প্রত্যেকের খাবারের খরচ যেমন বেড়েছে, একইসঙ্গে বেড়েছে সিট ভাড়া (থাকার খরচ)।
আগে আমাদের মেসে আমরা প্রতিবেলায় মাছ অথবা মুরগির তরকারির সাথে ডাল ও শাকসবজিও রাখতাম। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ায় এখন কমে এক পদে নিয়ে আসা হয়েছে। -মেহেদী হাসান লিমন, ঢাকা মেসে থাকা শিক্ষার্থী
তিনি বলেন, আমরা নয় জন একটি ফ্লাটে থাকি। যেখানে আগে আমাদের প্রতি মাসে মিল রেট (প্রতিবেলার খাবারের দাম) ছিল ৩৫ টাকা; সেখানে বিগত মাসে সেটা দাড়িয়েছে ৫৩ টাকায়। আগে একটা ডিম কিনতাম ৮ টাকায়। কিন্তু সেটা এখন ১৩ টাকা, আগে ব্রয়লার মুরগি ১৩০ টাকা দরে কিনলেও এখন কিনতে হচ্ছে ১৯০ টাকা করে। আগে গরুর মাংস ৬০০ টাকা কেজি কিনলেও এখন কিনতে হচ্ছে ৮০০ টাকায়। তাছাড়া, চাউল, গ্যাস, বাসা ভাড়া, তেল সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে আমরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।
পুরান ঢাকায় মেসে থাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান লিমন বলেন, আগে আমাদের মেসে আমরা প্রতিবেলায় মাছ অথবা মুরগির তরকারির সাথে ডাল ও শাকসবজিও রাখতাম। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ায় এখন কমে এক পদে নিয়ে আসা হয়েছে। অথচ আগে যেখানে ৩০-৪০ টাকার মধ্যে মিল রেট থাকতো, এখন খাবারের পদ কমিয়েও মিলরেট আসে ৫০ টাকার উপরে। মাঝেমধ্যে একটা ডিম দিয়ে একবেলা পার করে দিতে হচ্ছে। আগে রুই মাছ দিয়ে অনায়াসে মিল চালানো যেত। কিন্তু রুইয়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন তেলাপিয়া বা নলা মাছে আস্থা রাখতে হচ্ছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রহমান বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বর্তমানে বাজারের পরিমাণ আগে থেকে কমে গেছে। খাওয়া-দাওয়াও কম খাচ্ছি। খরচের পরিমাণ কমিয়ে আনতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বাজারের সম্ভব হয় না। আগে যেখানে মাসের অধিকাংশ সময়েই প্রোটিন হিসেবে গরুর মাংস বা মুরগি খাওয়া হতো, সেখানে এখন মাছ বা ডিম দিয়ে চলছে। প্রতিবেলায় শাক-সবজিই একমাত্র ভরসা।
আকাশ নামে আরেক শিক্ষার্থী জানান, মাছ হিসেবে আগে রুই মাছ বেশি কেনা হতো। এখন আর সম্ভব হয় না। পাঙাশ ও নলা কিনে মিল চালাতে হয়। রুই মাছ কিনতে গেলে কেজি ৩০০ পার হয়ে যায়, কম দামের মধ্যে এই ২টা মাছই পাই। আমাদের খেয়ে বেঁচে থাকা লাগবে তাই নলা বা পাঙাশ মাছ দিয়ে মিল চালাচ্ছি। কিন্তু এসব মাছের দামও বেড়ে যাওয়ায় পিসের আকার ছোট করে চলতে হচ্ছে।
সাজ্জাদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, টিউশনি করে আমাদের চলতে হয়। টিউশনির স্যালারি আগের মতোই আছে, বাড়েনি। কিন্ত খাবারের দামতো আগে থেকে বেড়ে গেছে। ডিম দিয়ে বেশিরভাগ মিল চলে যায়। মাঝেমধ্যে পাঙ্গাশ মাছ কিনি তাও অতিরিক্ত দাম। টিউশনি করে এতো টাকা দামে বাজার করাও কষ্টকর হয়ে যায়।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বড় শহরগুলোতে মেস করে থাকা শিক্ষার্থীদের জীবনও প্রায় একই। ছাত্রদের পাশাপাশি আরও বেশি সমস্যায় ভুগছেন নারী শিক্ষার্থীরা।
নীলফামারীর কলেজপাড়া এলাকার নিরিবিলি ছাত্রীনিবাসের অনুরাধা রায় বলেন, আগে প্রতিদিন মুরগি কিনতাম। এখন আর হয় না। তেল, মশলা কম কিনতে হয়। অল্প তেল, মশলার রান্না খেতে হয়। মুরগিও তো খাওয়া হয় না এখন। এক বেলা ডিম খাচ্ছি ১৫ দিন ধরে৷ আরেক বেলা সবজি দিয়ে খেতে হয়। সকালেতো ডাল-ভর্তা।
মীম ছাত্রীনিবাসের ছাত্রী উম্মে হাবিবা বলেন, মেসে খাওয়া আর না খাওয়া সমান। মিলচার্জ ৪০ টাকা দিয়েও মাংস খেতে পারছি না। সে জায়গায় আগে আমরা গরুর মাংস খেতাম ২৫ টাকা মিল দিয়ে। বাজারের অবস্থা এতটাই খারাপ, আমরা যে খেয়ে ভালো করে পড়াশুনা করবো সে সুযোগও নেই। সরকার ছাত্রাবাসগুলোর দিকে তাকালে হাজার শিক্ষার্থীর আজাহারি শুনতে পারবে। আমাদের জন্য হলেও একটু দাম কমান, আমরা একটু ভালো খেয়ে বাঁচতে চাই।
খেতে না পারা ছাত্র-ছাত্রীদের যেমন সমস্যা, এর থেকে বড় সমস্যা মানসিক ও আর্থিক চিন্তা। এমন অবস্থা থেকে শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যা হতে পারে। -গোলাম রসুল রাখি, চিকিৎসক
পুষ্টিকর খাবারের অভাব কিংবা খাবারের তালিকার কাটছাটে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন হাজারও শিক্ষার্থীরা। নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. গোলাম রসুল রাখি বলেন, খেতে না পারা ছাত্র-ছাত্রীদের যেমন সমস্যা, এর থেকে বড় সমস্যা মানসিক ও আর্থিক চিন্তা। এমন অবস্থা থেকে শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যা হতে পারে। তাদের ঘুম কম হওয়া, হতাশা, হীনমন্যতা, অবস্বাদ, ক্লান্তিভাবসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও রক্তশূন্যতাও দেখা দিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এখানে মনিটরিং করে অন্য খাবারের মধ্যে যেমন ডিম, উচ্চ পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি, কলাসহ এ ধরনের খাবার দিয়ে তাদের নিয়মিত পুষ্টিমানটা ঠিক রাখা প্রয়োজন। তবে বর্তমানে প্রোটিনের যে সংকট এটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন চলতে থাকলে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপও বেড়ে যেতে পারে।
শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বর্তমান পরিবেশে নানান কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মত অবস্থা তৈরি হয়েছে। তবে এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য যে পরিমাণ কর্মসংস্থান প্রয়োজন ছিল সেটি এখন নেই। যার ফলে শিক্ষার্থীরা এমন অবস্থার মধ্যে পড়েছে। রাষ্ট্রের উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু সে অনুযায়ী কাজ বৃদ্ধি পাচ্ছে না। তাছাড়া শিক্ষার সাথে জীবিকার যে সম্পর্ক আমাদের দেশে সেটিও খুব বেশি সুবিধাজনক না। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের এমন অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কর্মমুখী শিক্ষার ক্ষেত্র তৈরি করা বা কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার বিকল্প নেই।
SELECT `id_menuitem` as `id`, `item_name` `name`, `slug`, `menu_url` `MenuLink`, `parent_id` as `parent_menu_id`, `link_type` as `LinkType`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `id_menu` = 5
AND `status` = 1
ORDERBY `menu_order` ASCLIMIT 100
Event: dbquery
Events
0.03 ms
Query
Database
0.51 ms
SELECT `id_menuitem` as `id`, `item_name` `name`, `slug`, `menu_url` `MenuLink`, `parent_id` as `parent_menu_id`, `link_type` as `LinkType`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `id_menu` = 15
AND `status` = 1
ORDERBY `menu_order` ASCLIMIT 100
Event: dbquery
Events
0.02 ms
Query
Database
0.37 ms
SELECT `id_menuitem` as `id`, `item_name` `name`, `slug`, `menu_url` `MenuLink`, `parent_id` as `parent_menu_id`, `link_type` as `LinkType`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `id_menu` = 17
AND `status` = 1
ORDERBY `menu_order` ASCLIMIT 100
Event: dbquery
Events
0.01 ms
Query
Database
0.35 ms
SELECT `id_menuitem` as `id`, `item_name` `name`, `slug`, `menu_url` `MenuLink`, `parent_id` as `parent_menu_id`, `link_type` as `LinkType`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `id_menu` = 16
AND `status` = 1
ORDERBY `menu_order` ASCLIMIT 100
Event: dbquery
Events
0.01 ms
Query
Database
0.27 ms
SELECT *
FROM `wg_front_settings`
Event: dbquery
Events
0.01 ms
Connecting to Database: "prev"
Database
0.84 ms
Query
Database
1.37 ms
SELECT *
FROM `wg_article`
WHERE `status` = 1
AND `id_article` = '126650'
Event: dbquery
Events
0.02 ms
Query
Database
0.40 ms
SELECT *
FROM `wg_category`
WHERE `id_category` = '143'
Event: dbquery
Events
0.02 ms
Query
Database
3.20 ms
SELECT `article_body`
FROM `wg_articledetail`
WHERE `id_article` = '126650'
Event: dbquery
Events
0.02 ms
Query
Database
2.88 ms
SELECT *
FROM `wg_article`
WHERE `status` = 1
AND `id_article` IN ('96683','91326','87536','83432')
ORDERBY `id_article` DESC
Event: dbquery
Events
0.02 ms
Query
Database
1.14 ms
SELECT *
FROM `wg_article`
WHERE `status` = 1
AND `id_article` != '126650'
ORDERBY `id_article` DESCLIMIT 10
Event: dbquery
Events
0.02 ms
Query
Database
0.78 ms
SELECT `id_menuitem`, `parent_id`, `item_name`, `link_type`, `menu_url`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `status` = 1
AND `id_menu` = 1
ORDERBY `menu_order` asc
Event: dbquery
Events
0.01 ms
View: detail.php
Views
1.22 ms
After Filters
Timer
0.01 ms
Required After Filters
Timer
0.22 ms
Database (11 total Queries, 11 of them unique across 2 Connections)
Time
Query String
0.64 ms
SELECT `id_menuitem` as `id`, `item_name` `name`, `slug`, `menu_url` `MenuLink`, `parent_id` as `parent_menu_id`, `link_type` as `LinkType`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `id_menu` = 5
AND `status` = 1
ORDERBY `menu_order` ASCLIMIT 100
SELECT `id_menuitem` as `id`, `item_name` `name`, `slug`, `menu_url` `MenuLink`, `parent_id` as `parent_menu_id`, `link_type` as `LinkType`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `id_menu` = 15
AND `status` = 1
ORDERBY `menu_order` ASCLIMIT 100
SELECT `id_menuitem` as `id`, `item_name` `name`, `slug`, `menu_url` `MenuLink`, `parent_id` as `parent_menu_id`, `link_type` as `LinkType`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `id_menu` = 17
AND `status` = 1
ORDERBY `menu_order` ASCLIMIT 100
SELECT `id_menuitem` as `id`, `item_name` `name`, `slug`, `menu_url` `MenuLink`, `parent_id` as `parent_menu_id`, `link_type` as `LinkType`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `id_menu` = 16
AND `status` = 1
ORDERBY `menu_order` ASCLIMIT 100
article_body -> UTF-8 string (19608) "<p style="text-align: justify;">প্রতিবছর উচ্চ মাধ্যমিক শেষে দেশের বিভিন্ন প্...
$value->article_body
<p style="text-align: justify;">প্রতিবছর উচ্চ মাধ্যমিক শেষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত রাজধানী ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে পাড়ি জমায় হাজার হাজার শিক্ষার্থী। উচ্চশিক্ষার আশায় এসব শিক্ষার্থীরা নিজ পরিবার ছেড়ে আসেন। এছাড়া উচ্চ মাধ্যমিকের আগেও অনেকে পরিবার ছেড়ে নতুন গন্তব্যে স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা করেন। এসব শহরগুলোতে যেসব শিক্ষার্থীদের মাথা গোঁজার ঠাঁই থাাকে না, তারাই হোস্টেল বা মেসে স্থায়ী হন।</p>
<p style="text-align: justify;">হোস্টেল-মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা যখন নিজ পরিবার ছেড়ে ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে পাড়ি জমান তখন সেখানে তাদের অনেকের স্থায়ী হওয়ার কোনো জায়গা থাকে না। ফলে এসব শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে মেস করে থাকে। এর মধ্যে কিছু শিক্ষার্থী পরিবার থেকে টাকা এনে মেস খরচ চালান। তবে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই মেস খরচ চালান টিউশনি অথবা খণ্ডকালীন চাকরির অর্থে।</p>
<blockquote>
<p style="text-align: justify;">বর্তমান পরিবেশে নানান কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মত অবস্থা তৈরি হয়েছে। তবে এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য যে পরিমাণ কর্মসংস্থান প্রয়োজন ছিল সেটি এখন নেই। যার ফলে শিক্ষার্থীরা এমন অবস্থার মধ্যে পড়েছে। <span style="font-size: 10pt;">-সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, শিক্ষাবিদ</span></p>
</blockquote>
<p style="text-align: justify;">এদিকে, প্রতিনিয়ত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকায় প্রভাব পড়েছে এসব শিক্ষার্থীদের মেস জীবনেও। ফলে মেস ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, পানি বিল এবং খাবারের খরচে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। এমন অবস্থায় মাস শেষে হিসাব মেলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ‘মেস জীবনে’ টান পড়ায় অনেকের নতুন শহরে টিকে থেকে পড়াশোনা করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপায় না পেয়ে অনেকে খাবারের তালিকা ছোট করতে শুরু করেছেন।</p>
<p style="text-align: justify;">দামের কারণে গরুর পর তালিকা থেকে অনেকটা বাদের পথে মুরগিও। রুই-কাতলা মাছের দামও নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় পাঙাশ, তেলাপিয়া কিংবা ছোট রুই (নলা) মাছের ওপর শেষ ভরসা করতে হচ্ছে এসব শিক্ষার্থীদের। কিন্তু এসব মাছের দামও বাড়তে থাকায় পিস ছোট করে টিকে থাকার চেষ্টা করছেন রাজধানী ঢাকায় থাকা শিক্ষার্থীরা।</p>
<p><img style="display: block; margin-left: auto; margin-right: auto;" src="https://cdn.thedailycampus.com/resources/img/article/202303/112441-1.jpg" alt="রাজধানীর মেসে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জীবনযাপন" width="630" height="355" /></p>
<p style="text-align: justify;">ঢাকায় মেসে থাকা শিক্ষার্থীরা জানান, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় বাসার মালিকও ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে বর্তমানে একটি বড় অংকের অর্থ তাদের বাসা ভাড়ায় চলে যাচ্ছে। চাইলেই এই ব্যয় কমানো সম্ভব না। যার প্রভাব পড়েছে দৈনন্দিন খাবার তালিকায়। এ কারণে খাবারের ব্যয় কমিয়েই বাড়তি খরচ সামলানোর চেষ্টা করছেন তারা। খাবারের তালিকা আরও কীভাবে কাটছাঁট করা যায় সেই চেষ্টা করছেন তারা।</p>
<p style="text-align: justify;">বাংলাবাজারে ৯ জন সদস্য মিলে একটি ফ্লাটে মেস করে থাকেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, চাকরি হোক কিংবা লেখাপড়া- যে কোনো প্রয়োজনেই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মানুষকে আসতে হয় ঢাকায়। পরিবারের কাছ থেকে দূরে এসে তাদের অধিকাংশেরই অস্থায়ী আবাস হয় রাজধানীর বিভিন্ন মেস। একসঙ্গে অনেকে থাকার ফলে খরচ কিছুটা কম হওয়ায় এসব ব্যাচেলর মেসে থাকেন। সম্প্রতি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মেসে থাকা প্রত্যেকের খাবারের খরচ যেমন বেড়েছে, একইসঙ্গে বেড়েছে সিট ভাড়া (থাকার খরচ)।</p>
<blockquote>
<p style="text-align: justify;">আগে আমাদের মেসে আমরা প্রতিবেলায় মাছ অথবা মুরগির তরকারির সাথে ডাল ও শাকসবজিও রাখতাম। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ায় এখন কমে এক পদে নিয়ে আসা হয়েছে। <span style="font-size: 10pt;">-মেহেদী হাসান লিমন, ঢাকা মেসে থাকা শিক্ষার্থী</span></p>
</blockquote>
<p style="text-align: justify;">তিনি বলেন, আমরা নয় জন একটি ফ্লাটে থাকি। যেখানে আগে আমাদের প্রতি মাসে মিল রেট (প্রতিবেলার খাবারের দাম) ছিল ৩৫ টাকা; সেখানে বিগত মাসে সেটা দাড়িয়েছে ৫৩ টাকায়। আগে একটা ডিম কিনতাম ৮ টাকায়। কিন্তু সেটা এখন ১৩ টাকা, আগে ব্রয়লার মুরগি ১৩০ টাকা দরে কিনলেও এখন কিনতে হচ্ছে ১৯০ টাকা করে। আগে গরুর মাংস ৬০০ টাকা কেজি কিনলেও এখন কিনতে হচ্ছে ৮০০ টাকায়। তাছাড়া, চাউল, গ্যাস, বাসা ভাড়া, তেল সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে আমরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।</p>
<p style="text-align: justify;">পুরান ঢাকায় মেসে থাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান লিমন বলেন, আগে আমাদের মেসে আমরা প্রতিবেলায় মাছ অথবা মুরগির তরকারির সাথে ডাল ও শাকসবজিও রাখতাম। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ায় এখন কমে এক পদে নিয়ে আসা হয়েছে। অথচ আগে যেখানে ৩০-৪০ টাকার মধ্যে মিল রেট থাকতো, এখন খাবারের পদ কমিয়েও মিলরেট আসে ৫০ টাকার উপরে। মাঝেমধ্যে একটা ডিম দিয়ে একবেলা পার করে দিতে হচ্ছে। আগে রুই মাছ দিয়ে অনায়াসে মিল চালানো যেত। কিন্তু রুইয়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন তেলাপিয়া বা নলা মাছে আস্থা রাখতে হচ্ছে। </p>
<p style="text-align: justify;">জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রহমান বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বর্তমানে বাজারের পরিমাণ আগে থেকে কমে গেছে। খাওয়া-দাওয়াও কম খাচ্ছি। খরচের পরিমাণ কমিয়ে আনতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বাজারের সম্ভব হয় না। আগে যেখানে মাসের অধিকাংশ সময়েই প্রোটিন হিসেবে গরুর মাংস বা মুরগি খাওয়া হতো, সেখানে এখন মাছ বা ডিম দিয়ে চলছে। প্রতিবেলায় শাক-সবজিই একমাত্র ভরসা।</p>
<p style="text-align: justify;">আকাশ নামে আরেক শিক্ষার্থী জানান, মাছ হিসেবে আগে রুই মাছ বেশি কেনা হতো। এখন আর সম্ভব হয় না। পাঙাশ ও নলা কিনে মিল চালাতে হয়। রুই মাছ কিনতে গেলে কেজি ৩০০ পার হয়ে যায়, কম দামের মধ্যে এই ২টা মাছই পাই। আমাদের খেয়ে বেঁচে থাকা লাগবে তাই নলা বা পাঙাশ মাছ দিয়ে মিল চালাচ্ছি। কিন্তু এসব মাছের দামও বেড়ে যাওয়ায় পিসের আকার ছোট করে চলতে হচ্ছে।</p>
<p style="text-align: justify;">সাজ্জাদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, টিউশনি করে আমাদের চলতে হয়। টিউশনির স্যালারি আগের মতোই আছে, বাড়েনি। কিন্ত খাবারের দামতো আগে থেকে বেড়ে গেছে। ডিম দিয়ে বেশিরভাগ মিল চলে যায়। মাঝেমধ্যে পাঙ্গাশ মাছ কিনি তাও অতিরিক্ত দাম। টিউশনি করে এতো টাকা দামে বাজার করাও কষ্টকর হয়ে যায়।</p>
<p style="text-align: justify;">রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বড় শহরগুলোতে মেস করে থাকা শিক্ষার্থীদের জীবনও প্রায় একই। ছাত্রদের পাশাপাশি আরও বেশি সমস্যায় ভুগছেন নারী শিক্ষার্থীরা।</p>
<p style="text-align: justify;">নীলফামারীর কলেজপাড়া এলাকার নিরিবিলি ছাত্রীনিবাসের অনুরাধা রায় বলেন, আগে প্রতিদিন মুরগি কিনতাম। এখন আর হয় না। তেল, মশলা কম কিনতে হয়। অল্প তেল, মশলার রান্না খেতে হয়। মুরগিও তো খাওয়া হয় না এখন। এক বেলা ডিম খাচ্ছি ১৫ দিন ধরে৷ আরেক বেলা সবজি দিয়ে খেতে হয়। সকালেতো ডাল-ভর্তা।</p>
<p style="text-align: justify;">মীম ছাত্রীনিবাসের ছাত্রী উম্মে হাবিবা বলেন, মেসে খাওয়া আর না খাওয়া সমান। মিলচার্জ ৪০ টাকা দিয়েও মাংস খেতে পারছি না। সে জায়গায় আগে আমরা গরুর মাংস খেতাম ২৫ টাকা মিল দিয়ে। বাজারের অবস্থা এতটাই খারাপ, আমরা যে খেয়ে ভালো করে পড়াশুনা করবো সে সুযোগও নেই। সরকার ছাত্রাবাসগুলোর দিকে তাকালে হাজার শিক্ষার্থীর আজাহারি শুনতে পারবে। আমাদের জন্য হলেও একটু দাম কমান, আমরা একটু ভালো খেয়ে বাঁচতে চাই।</p>
<blockquote>
<p style="text-align: justify;">খেতে না পারা ছাত্র-ছাত্রীদের যেমন সমস্যা, এর থেকে বড় সমস্যা মানসিক ও আর্থিক চিন্তা। এমন অবস্থা থেকে শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যা হতে পারে। <span style="font-size: 10pt;">-গোলাম রসুল রাখি, চিকিৎসক</span></p>
</blockquote>
<p style="text-align: justify;">পুষ্টিকর খাবারের অভাব কিংবা খাবারের তালিকার কাটছাটে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন হাজারও শিক্ষার্থীরা। নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. গোলাম রসুল রাখি বলেন, খেতে না পারা ছাত্র-ছাত্রীদের যেমন সমস্যা, এর থেকে বড় সমস্যা মানসিক ও আর্থিক চিন্তা। এমন অবস্থা থেকে শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যা হতে পারে। তাদের ঘুম কম হওয়া, হতাশা, হীনমন্যতা, অবস্বাদ, ক্লান্তিভাবসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও রক্তশূন্যতাও দেখা দিতে পারে।</p>
<p><img style="display: block; margin-left: auto; margin-right: auto;" src="https://thedailycampus.com/resources/uploaded/Eleas%20Santo/WhatsApp%20Image%202023-03-21%20at%203-53-04%20PM.jpg" width="672" height="379" /></p>
<p style="text-align: justify;">তিনি আরও বলেন, এখানে মনিটরিং করে অন্য খাবারের মধ্যে যেমন ডিম, উচ্চ পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি, কলাসহ এ ধরনের খাবার দিয়ে তাদের নিয়মিত পুষ্টিমানটা ঠিক রাখা প্রয়োজন। তবে বর্তমানে প্রোটিনের যে সংকট এটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন চলতে থাকলে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপও বেড়ে যেতে পারে।</p>
<p style="text-align: justify;">শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বর্তমান পরিবেশে নানান কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মত অবস্থা তৈরি হয়েছে। তবে এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য যে পরিমাণ কর্মসংস্থান প্রয়োজন ছিল সেটি এখন নেই। যার ফলে শিক্ষার্থীরা এমন অবস্থার মধ্যে পড়েছে। রাষ্ট্রের উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু সে অনুযায়ী কাজ বৃদ্ধি পাচ্ছে না। তাছাড়া শিক্ষার সাথে জীবিকার যে সম্পর্ক আমাদের দেশে সেটিও খুব বেশি সুবিধাজনক না। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের এমন অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কর্মমুখী শিক্ষার ক্ষেত্র তৈরি করা বা কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার বিকল্প নেই।</p>
article_summary -> UTF-8 string (442) "গরু বা খাসির ভুঁড়ি—যা অনেকেই বট নামেও চেনেন—ভোজনরসিক বাঙালির কা...
$value[0]->article_summary
গরু বা খাসির ভুঁড়ি—যা অনেকেই বট নামেও চেনেন—ভোজনরসিক বাঙালির কাছে অত্যন্ত প্রিয় একটি পদ। ঝাল-মসলাদার এই খাবারের স্বাদ যেমন অসাধারণ, তেমনি এর পুষ্টিগুণও কম নয়।...
article_summary -> UTF-8 string (428) "আদি পিতা আদম (আঃ)-এর দুই পুত্র কাবিল ও হাবিলের দেওয়া কুরবানি থেকেই কুরবানির ...
$value[1]->article_summary
আদি পিতা আদম (আঃ)-এর দুই পুত্র কাবিল ও হাবিলের দেওয়া কুরবানি থেকেই কুরবানির সাথে পরিচিত আমরা। পরবর্তীকালে মক্কা নগরীর জনমানবহীন ‘মিনা’ প্রান্তরে ইবরাহিম (আ.) ও...
পবিত্র ঈদুল আজহার সকালে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়েছেন এক বাবা ও তার মেয়ে। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তাদের বসতঘর ও মালামাল। শনিবার (৭ জুন) সকালে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পারুয়াপাড়ার শলারো বাড়িতে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। দগ্ধরা হলেন বাড়ির মালিক জানে আলম ও তার কন্যা।
article_summary -> UTF-8 string (882) "সকালটা অনেক শান্ত। নেই বাসার উঠোনে গরুর ডাক, নেই ঈদের আগের রাতে বাবার সঙ্গে ...
$value[4]->article_summary
সকালটা অনেক শান্ত। নেই বাসার উঠোনে গরুর ডাক, নেই ঈদের আগের রাতে বাবার সঙ্গে হাটে যাওয়ার উত্তেজনা। ঈদের নামাজ শেষে বাড়ি ফিরে মা’য়ের হাতের শিরনি, সেমাই, আর মাংসের গন্ধও নেই। তবুও হাজার হাজার মাইল দূরে বসে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা তাদের মতো করে খুঁজে নিচ্ছেন আনন্দ, খুঁজে নিচ্ছেন নিজেদের ‘বাংলাদেশ’কে।
home_title -> UTF-8 string (172) "ভোটের সমতল মাঠ থাকলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন হবে: জামায়াত আমির"
$value[5]->home_title
ভোটের সমতল মাঠ থাকলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন হবে: জামায়াত আমির
share_title -> UTF-8 string (172) "ভোটের সমতল মাঠ থাকলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন হবে: জামায়াত আমির"
$value[5]->share_title
ভোটের সমতল মাঠ থাকলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন হবে: জামায়াত আমির
article_shoulder -> string (0) ""
$value[5]->article_shoulder
article_hanger -> string (0) ""
$value[5]->article_hanger
article_summary -> UTF-8 string (411) "জাতি যেনতেন নির্বাচন চায় না। বিচার, সংস্কার, জুলাই ঘোষণাপত্র ও ভোটের সমতল মা...
$value[5]->article_summary
জাতি যেনতেন নির্বাচন চায় না। বিচার, সংস্কার, জুলাই ঘোষণাপত্র ও ভোটের সমতল মাঠ থাকলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে বলে মনে করেছেন জামায়াতের আমির ডা....
home_title -> UTF-8 string (180) "'দশাইন মনে পড়ে যায় ঈদে': বাকৃবির নেপালি শিক্ষার্থী দীপেশের অনুভূতি"
$value[6]->home_title
'দশাইন মনে পড়ে যায় ঈদে': বাকৃবির নেপালি শিক্ষার্থী দীপেশের অনুভূতি
share_title -> UTF-8 string (180) "'দশাইন মনে পড়ে যায় ঈদে': বাকৃবির নেপালি শিক্ষার্থী দীপেশের অনুভূতি"
$value[6]->share_title
'দশাইন মনে পড়ে যায় ঈদে': বাকৃবির নেপালি শিক্ষার্থী দীপেশের অনুভূতি
article_shoulder -> string (0) ""
$value[6]->article_shoulder
article_hanger -> string (0) ""
$value[6]->article_hanger
article_summary -> UTF-8 string (869) "দেশজুড়ে ঈদুল আজহার ছুটিতে যখন অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাড়ি ফিরে গেছেন, তখন ব্যতিক...
$value[6]->article_summary
দেশজুড়ে ঈদুল আজহার ছুটিতে যখন অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাড়ি ফিরে গেছেন, তখন ব্যতিক্রম ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অধ্যয়নরত নেপালে থেকে পড়তে আসা ভেটেরিনারি অনুষদের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী দীপেশ আরিয়াল। পূজার সময় নিজ দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকায় এবারের ঈদের ছুটিতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে অবস্থান করেছেন।
home_title -> UTF-8 string (182) "দায়িত্বের কাছে অনুভবের পরাজয়: ঈদেও বাড়ি ফিরছে না কুবির আনসার সদস্যরা"
$value[7]->home_title
দায়িত্বের কাছে অনুভবের পরাজয়: ঈদেও বাড়ি ফিরছে না কুবির আনসার সদস্যরা
share_title -> UTF-8 string (182) "দায়িত্বের কাছে অনুভবের পরাজয়: ঈদেও বাড়ি ফিরছে না কুবির আনসার সদস্যরা"
$value[7]->share_title
দায়িত্বের কাছে অনুভবের পরাজয়: ঈদেও বাড়ি ফিরছে না কুবির আনসার সদস্যরা
article_shoulder -> string (0) ""
$value[7]->article_shoulder
article_hanger -> string (0) ""
$value[7]->article_hanger
article_summary -> UTF-8 string (859) "পবিত্র ঈদুল আজহা খুশিতে যখন দেশের প্রতিটি ঘর আনন্দে মুখর, তখন কুমিল্লা বিশ্ব...
$value[7]->article_summary
পবিত্র ঈদুল আজহা খুশিতে যখন দেশের প্রতিটি ঘর আনন্দে মুখর, তখন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের কপালে নেই বাড়ি ফেরা কিংবা পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার সুযোগ। নিজেদের ঈদের আনন্দ বিসর্জন দিয়ে তাঁরা রয়ে গেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে- নিরাপত্তার স্বার্থে, দায়িত্বের তাগিদে।
home_title -> UTF-8 string (149) "৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি আগে হলে আদালতে যাবেন বদলিপ্রত্যাশীরা "
$value[9]->home_title
share_title -> UTF-8 string (149) "৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি আগে হলে আদালতে যাবেন বদলিপ্রত্যাশীরা "
$value[9]->share_title
article_shoulder -> string (0) ""
$value[9]->article_shoulder
article_hanger -> string (0) ""
$value[9]->article_hanger
article_summary -> UTF-8 string (534) "বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বদলি চালুর আগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে আদালতে রি...
$value[9]->article_summary
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বদলি চালুর আগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে আদালতে রিট করার নীতিমগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বদলিপ্রত্যাশীরা। আসন্ন ঈদুল আযহার ছুটি শেষে লক্ষাধিক শিক্ষক নিয়োগের ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি...